এদের দ্বারা কোনোদিন দেশ ও দশের উপকার হতে দেখিনি আমি। এদের মাতা পিতারাও পরে নির্বাসিত হন কোনো এক বৃদ্ধাশ্রমে। তার চাইতে মা বাবার দু:খ কষ্টগুলো ভাগ করে নেওয়া ওই গ্রাম্য যুবকটির পরিবারে অধিক সুখ দেখি আমি।
নিজের পিঠা বিক্রেতা মাকে পিঠা বানাতে দিয়ে কিংবা, রিকশাওয়ালা বাবাকে রিকশা চালাতে দিয়ে যে সব ছেলে বা মেয়ে গ্র্যাজুয়েট অর্জন করে বা ডক্টরেট সম্পন্ন করে, তারা কি ধরণের সন্তান আমার বোধগম্য হয় না। যদিও কথিত গ্র্যাজুয়েট অর্জনের সুখ আমরা পত্রিকা টেলিভিশনে দেখি।
আমার দেখামতে, এমন অনেক ঘটনা আছে, যেখানে নিতান্তই দিনমজুরের সন্তানকে ইউনিভার্সিটিতে পড়ানো হয়। কিন্তু গ্র্যাজুয়েট হবার আগেই তার পিতাটি মারা গেছে। তখন প্রশ্ন আসে সেই ছেলেটির বিবেক নিয়ে। এ কেমনতর সন্তান? যেখানে বাবা মা সবচাইতে কষ্টকর কাজ করে চলছে, সেখানে সে স্ট্যান্ডার্ড বা এলিট ক্লাসে পৌছানোর জন্য প্রাতিষ্ঠানিক পরিবেশে বিদ্যা গিলছে। এইসব কথিত শিক্ষাব্যবস্থায় অর্জিত সফলতাই কি জীবনের শ্রেষ্ঠ গৌরব? তার চাইতে অনেক গৌরব তো পড়ে আছে।
আমার কাছে সে সন্তান ও পিতা মাতার সম্পর্কটাই শ্রেয়তর মনে হয়, যে সন্তান কি না দরিদ্র পিতা মাতার সাথেই তার জীবনকে মিশিয়ে রাখে, সাহায্য করে, দু:খগুলো ভাগ করে নেয় প্রতিমুহুর্তে। যদিও হয়নি সে গ্র্যাজুয়েট। অন্যদিকে গরিব ঘরের গ্র্যাজুয়েট ছেলেটি, যে কি না মা বাবাকে দূরে ফেলে রেখে বছর বছর স্রেফ রোবট হয়ে উঠেছে, তাতে তার চাকরি নিশ্চিত হতে পারে, এর বেশি কিছু নয়।
এদের দ্বারা কোনোদিন দেশ ও দশের উপকার হতে দেখিনি আমি। এদের মাতা পিতারাও পরে নির্বাসিত হন কোনো এক বৃদ্ধাশ্রমে। তার চাইতে মা বাবার দু:খ কষ্টগুলো ভাগ করে নেওয়া ওই গ্রাম্য যুবকটির পরিবারে অধিক সুখ দেখি আমি।
ক্যাটাগরি: পাঠকের মত, মিনি কলাম
[sharethis-inline-buttons]