জনগণের ভোট নিয়ে ছিনিমিনি খেলা, ভোটাধিকারের নামে প্রতারণা করা, রাজনীতির নামে নোঙরামি করা, গণনীতির সুষ্ঠু বিকাশকে বাধাগ্রস্ত করার এসব নষ্টামীকে আমি সমর্থন করতে পারি না। যারা ‘মানুষ’ চিনে না, মানুষের মর্যাদা ও অধিকার চিনবে কী করে?
বরাবরের মতো এবারও আমি ‘বোবা ভোট’ বর্জন করলাম। কেননা ভোট তো আমি সারাবছরই দিয়ে আসছি। এ ভোট নির্বাক নয়, সবাক। কথা বলতে পারে। এমনকি বিভিন্ন জটিল প্রশ্নের উত্তরও দিতে পারে। তাই বিশেষ মেয়াদের নির্দিষ্ট কোনো দিনে অন্যদের শিখিয়ে দেয়া সেকেলে পদ্ধতিতে ‘বোবা ভোট’ দেয়া আমার ক্ষেত্রে একেবারেই অনুচিত।
আমি একজন মোটামুটি সচেতন নাগরিক এবং অনলাইন এক্টিভিস্ট। আমার ‘সবাক ভোট’ আমি আমার জায়গা থেকে প্রায়ই দেই। কারো প্রয়োজন হলে দেখে নেবে। আরো প্রয়োজন মনে করলে আমার কাছে আসতে পারে বা আমাকে ডেকে পাঠাতে পারে।
শুধু মৌখিক নয়, প্রয়োজনে সবিস্তারে ‘লিখিত ভোট’ দিয়ে দেব। কিন্তু ভোটটা আমি আমার মতোই দেব এবং দিচ্ছি, আপনাদের মতো দেয়ার কোনো বাধ্যবাধকতা আমার নেই।
তাহলে প্রশ্ন, ভোট না দিলেই বা কী হবে? নির্বাচন থেমে থাকবে? অন্যায় প্রতিরোধ হবে? এসব মূর্খতাসূলভ প্রশ্ন আপাতত না শুনলেও আমার চলবে।
জনগণের ভোট নিয়ে ছিনিমিনি খেলা, ভোটাধিকারের নামে প্রতারণা করা, রাজনীতির নামে নোঙরামি করা, গণনীতির সুষ্ঠু বিকাশকে বাধাগ্রস্ত করার এসব নষ্টামীকে আমি সমর্থন করতে পারি না। যারা ‘মানুষ’ চিনে না, মানুষের মর্যাদা ও অধিকার চিনবে কী করে?
ভোটাধিকার থাকার মানে এই নয় যে সৎ ও যোগ্য কোনো একটি দল বা ব্যক্তি না থাকলেও কাউকে না কাউকে ভোট দিতেই হবে। আর বিচ্ছিন্নভাবে কোনো ব্যক্তি সৎ এবং যোগ্য হলেও দেখার বিষয়, সারাজীবন সিস্টেমের গোলামী করে অতঃপর আবার সিস্টেমের ভেতরে ঢুকে তার পক্ষে পরিবর্তন আনা কতটুকু সম্ভব। আর যদি সম্ভব হয়ই তবে সে এর বাইরে থেকেও অনেক কিছুই করতে পারবে। সুতরাং ভোটাধিকার প্রয়োগের নামে এ ধরনের পাগলামির পক্ষে আমি নেই।
তাহলে প্রশ্ন, ভোট না দিলেই বা কী হবে? নির্বাচন থেমে থাকবে? অন্যায় প্রতিরোধ হবে? এসব মূর্খতাসূলভ প্রশ্ন আপাতত না শুনলেও আমার চলবে।
ক্যাটাগরি: মিনি কলাম
[sharethis-inline-buttons]