আজকের শিল্প-সাহিত্য-সংস্কৃতি এরই নাম। যে যত লুচ্চামি-বদমায়েশি করে সেগুলো লিখে ধর্ম, সমাজ ও নীতি-নৈতিকতাকে বুড়ো আঙ্গুল দেখাতে পারে, সে তত বড় সাহিত্যিক, সংস্কৃতিমনা এবং মুক্তবুদ্ধি চর্চাকারী।
আল মাহমুদ বুড়ো বয়সে ভীমরতি করল কি করল না সেটা গুরুত্বপূর্ণ নয়। গুরুত্বপূর্ণ হচ্ছে, তার সাহিত্যের প্রধান অংশই অশ্লীলতা ও লুচ্চামিতে ভরা। শুধু তাই নয়, আজকের শিল্প-সাহিত্য-সংস্কৃতি এরই নাম। যে যত লুচ্চামি-বদমায়েশি করে সেগুলো লিখে ধর্ম, সমাজ ও নীতি-নৈতিকতাকে বুড়ো আঙ্গুল দেখাতে পারে, সে তত বড় সাহিত্যিক, সংস্কৃতিমনা এবং মুক্তবুদ্ধি চর্চাকারী। সব বড় বড় সাহিত্যিক-বুদ্ধিজীবী সচরাচর এসব করছে। সেখানে এক আল মাহমুদ কি করল না করল তা নিতান্তই গৌণ।
সম্পাদকের মিনি কলাম
এরা চূড়ান্ত অর্থে ধর্ম ও নীতি-নৈতিকতা নিয়ে বারবার প্রশ্ন তোলে। সমাজকে, যুবসমাজকে, নারীসমাজকে এসবে আহ্বান জানায়। তোমরা যে সাহিত্য লালন কর, সে সাহিত্যে এসব অহরহ। তাহলে বুড়োদের ভীমরতিতে এত ঘেন্না কেন? আমি তো বলি, এটা স্বাভাবিক। কেউ গোপনে করে, কেউ প্রকাশ্যে করে। আর কেউ কেউ বিভিন্ন কারণে করার সুযোগ পায় না। কিন্তু সুযোগ দিয়ে দেখুন, কী করে আর কী করে না।
এক আল মাহমুদ সমাজের ভয়ে এই কুঁজো বয়সে যুবতী নাইবা বিয়ে করল। কিন্তু তার এবং তার বয়সের লাখো বুড়োর মন কি যুবতীর নগ্ন শরীরের তৃষ্ঞা থেকে মুক্ত? অসম্ভব। আপনি, আমি, বারো বয়সের ছেলে থেকে আশি বছরের বৃদ্ধ- তাবৎ পুরুষ সমাজ কি এই লালসা থেকে মুক্ত? কিংবা মুক্ত থাকার প্রয়োজন বোধ করে?
এক আল মাহমুদ সমাজের ভয়ে এই কুঁজো বয়সে যুবতী নাইবা বিয়ে করল। কিন্তু তার এবং তার বয়সের লাখো বুড়োর মন কি যুবতীর নগ্ন শরীরের তৃষ্ঞা থেকে মুক্ত? অসম্ভব। আপনি, আমি, বারো বয়সের ছেলে থেকে আশি বছরের বৃদ্ধ- তাবৎ পুরুষ সমাজ কি এই লালসা থেকে মুক্ত? কিংবা মুক্ত থাকার প্রয়োজন বোধ করে?
আরো পড়ুন> মানুষের আবেগ-সাংঘষিকতা
কেন করবে? কীভাবে করবে? শিক্ষাঙ্গন, পরিবার, সমাজ এসবের প্রশিক্ষণ দেয়? যৌক্তিকতা প্রমাণ করতে পারে? না। তাহলে কিভাবে পুরুষদের এর বাইরে রাখতে চায়? যদি সমাজ ও রাষ্ট্র আসলেই এসব লুইচ্চামি না চায়, তাহলে এসব নিয়ে বিশ্লেষণাত্মক কথা বলা ও পরীক্ষা-নিরীক্ষামূলক কাজ এবং প্রশিক্ষণ জরুরি। কীভাবে এটি সম্ভব, কেন এটি প্রয়োজন, কী এর উপকারিতা; এসব নিয়ে প্রচুর চিন্তা, কাজ এবং দায়-দায়িত্ব আছে।
বিশেষ দ্রষ্টব্য : লেখাটি কয়েক বছর আগে স্বঘোষিত কবি আল-মাহমুদের বিয়ে সংক্রান্ত একটি ভুয়া নিউজের প্রেক্ষিতে লেখা হয়েছিল। তবে আজো এটি প্রাসঙ্গিক। বিশেষ করে আল-মাহমুদের মৃত্যুর পর তাকে নিয়ে উদ্ভূত বিতর্কও এটি কমাতে সাহায্য করবে বলে আশা করা যায়। অন্যদিকে সাম্প্রতিক বাংলাদেশে একের পর এক ধর্ষণ, হত্যা, আগুনে পুড়িয়ে মারা ইত্যাদির কারণগুলোও এ লেখা নির্দেশ করে। আরো বিশেষভাবে বললে, সম্প্রতি ফেনীর সোনাগাজিতে আগুনে পুড়িয়ে মারা নুসরাত জাহান রাফির প্রসঙ্গটিও এ লেখার সঙ্গে মিলিয়ে দেখা যেতে পারে।
ক্যাটাগরি: মিনি কলাম
[sharethis-inline-buttons]