রবিবার সকাল ৮:৩৯, ১০ই অগ্রহায়ণ, ১৪৩১ বঙ্গাব্দ. ২৪শে নভেম্বর, ২০২৪ ইং

আলেমদের সঙ্গে দেশ দর্শন গোলটেবিল আলোচনা

দেশ দর্শন প্রতিবেদক

দেশ দর্শনের প্রথম গোলটেবিল বৈঠকেই কেন “সাম্প্রতিক সমস্যার মোকাবেলায় আলেমদের ভূমিকা” শিরোনামটি বাছাই করা হয় এবং আলেমদের নিয়েই কেন বসা হয় তা বিস্তারিত ব্যাখ্যা করেন জাকির মাহদিন।

গত ৪ এপ্রিল বৃহস্পতিবার “সাম্প্রতিক সমস্যার মোকাবেলায় আলেমদের ভূমিকা” শীর্ষক এক গোলটেবিল আলোচনা অনুষ্ঠিত হয় কয়েকজন আলেমের সঙ্গে। এটি হয়েছে দেশ দর্শনের ব্রাহ্মণবাড়িয়া অফিসের কনফারেন্স রুমে। এতে উপস্থিত ছিলেন ঢাকা যাত্রাবাড়ির ধোলাইপাড়ে অবস্থিত মারকাজুল বুহুস আল-ইলমিয়ার প্রতিষ্ঠাতা ও পরিচালক এবং লেখক মুফতি আনোয়ার ইদ্রিস, ব্রাহ্মণবাড়িয়া জেলার কসবা থানাধীন পানিয়ারূপ মসজিদের (আইনমন্ত্রী আনিসুল হক এর বাড়ির পার্শ্ববর্তী মসজিদ) ইমাম ও খতিব মাওলানা মোহাম্মদ শাওয়াল, ব্রাহ্মণবাড়িয়া সদরের খতমে নবুওয়ত তাজুল উলুম মাদরাসার হিফজ বিভাগের পরিচালক ও প্রধান শিক্ষক হাফেজ আবুল হাসান (কুমিল্লার হুজুর)। এদিকে ইচ্ছে থাকা সত্ত্বেও উপস্থিত থাকতে পারেননি খতমে নবুওত তাজুল উলুমের সিনিয়র শিক্ষক, হাফেজ মাওলানা ইউসুফ এমরানী। অনুষ্ঠান সঞ্চালনা করেন দেশ দর্শন সম্পাদক জাকির মাহদিন। তার সাথে ছিলেন ইসলামি তরুণ লেখক এইচ এম জাবেদ হুসাইন।

অনুমতি না থাকায় আলেমদের ছবি দেয়া যায়নি

আলোচনার শুরুতেই সবার সামনে একটি করে কলম, কাগজ এবং আলোচ্য বিষয়ের শিরোনাম ব্যাখ্যা করে বুঝিয়ে দেয়া হয়। প্রিন্ট করে শব্দগুলো প্রশ্ন আকারে ভেঙ্গে ভেঙ্গেও ব্যাখ্যা করে দেয়া হয়। দেশ দর্শনের প্রথম গোলটেবিল বৈঠকেই কেন “সাম্প্রতিক সমস্যার মোকাবেলায় আলেমদের ভূমিকা” শিরোনামটি বাছাই করা হয় এবং আলেমদের নিয়েই কেন বসা হয় তা বিস্তারিত ব্যাখ্যা করেন জাকির মাহদিন। তিনি বলেন, ‘আলেম’ অর্থ জ্ঞানী। আর যুগে যুগে পারিবারিক, আর্থসামাজিক ও অন্যান্য সর্বপ্রকার সমস্যার ক্ষেত্রে জ্ঞানীরাই সর্বপ্রথম সমাধান দিয়ে আসছেন। শুধু তাই নয়, সমস্যা ঘটার অনেক আগেই তারা নিজেদের দূরদৃষ্টি দিয়ে অনুধাবন করতে পারেন এবং তখন থেকেই দেশ-জাতি ও মানুষের জন্য তাদের ত্যাগ, সাধনা, কোরবানী শুরু হয়। সুতরাং গুরুত্বপূর্ণ সবক্ষেত্রে সর্বপ্রথম আলেমগণেরই ডাক পাওয়া উচিত। তাদের সম্মান ও মর্যাদা যেমন বেশি, দায়িত্বও অনেক বেশি এবং ব্যাপক।

মাওলানা, মুফতি ও লেখক আনোয়ার ইদ্রিস বলেন, আলেমগণকে ‘আলেম’ হিসাবে শ্রেণিবিন্যাসের কোনো প্রয়োজন নেই। একজন আলেমও প্রথমে একজন মানুষ। তাই প্রথমত মানুষের কাতার থেকেই তিনি সমস্যা উপলব্ধি করবেন এবং সমাধান পেশ করবেন। তা না করে প্রথমেই আলেম হিসাবে নিজেকে প্রকাশ করলে এবং কথা বললে এটি সমাজে শ্রেণিবৈষম্য সৃষ্টি করবে।

হাফেজ আবুল হাসান বলেন, এ ধরনের গুরুত্বপূর্ণ বৈঠক মাত্র দুয়েকটি করলে কোনো লাভ হবে না। এটি ধারাবাহিক হতে হবে। তাছাড়া আলেমদের নিয়ে না বসে প্রথমে বাছাই করা বিশেষ কিছু ব্যক্তিকে নিয়ে বসা প্রয়োজন। কারণ ‘আলেম’ বলতে এখন বিশেষ একটা শ্রেণিই সমাজে পরিচিত। তিনি শিরোনামের পুরো বিষয়টিও সমর্থন করেননি।

মাওলানা মোহাম্মদ শাওয়াল বলেন, এ ধরনের বৈঠক ধারাবাহিক হওয়ার কোনো বিকল্প নেই। প্রতি সপ্তাহেই এমন আলোচনা প্রয়োজন এবং এতে আরো অনেকের সম্পৃক্ততা প্রয়োজন। তিনি দুয়েকজনের নামও প্রস্তাব করেন। অন্যরাও কয়েকজনের নাম প্রস্তাব করলে হাফেজ আবুল হাসান বলেন, প্রথম বৈঠকে যারা উপস্থিত হয়েছে, তাদের আরো কয়েকবার বসে তারপর অন্যদের সম্পৃক্ত করা প্রয়োজন।

৪ এপ্রিল বৃহস্পতিবার বিকাল তিনটা থেকে সন্ধ্যা সাতটা পর্যন্ত বসার পর শুক্রবার বাদ ফজর আবারো বসা হয়। সবশেষে আগামী বুধবার আবারো বসার সিদ্ধান্ত নেয়া হয়।

বিশেষ দ্রষ্টব্য : আলোচনার বিষয়টির উপর আলেম এবং অন্যান্য যে-কেউ গুরুত্বপূর্ণ মতামত, পরামর্শ এবং গঠনমূলক সমালোচনা পাঠাতে পারবেন দেশ দর্শনের অফিসিয়াল ফেসবুক পেইজে।  ফেসবুক পেইজে যেতে লিঙ্কে ক্লিক করুন। অথবা ফেসবুকের সার্চবক্সে লিখুন- facebook.com/DeshDorshon

ক্যাটাগরি: প্রধান খবর

ট্যাগ:

[sharethis-inline-buttons]

Leave a Reply