বায়ুর সক্রিয়তায় সারাদেশেই কমবেশি বৃষ্টি হচ্ছে। তবে দক্ষিণ ও দক্ষিণ-পশ্চিমাঞ্চলে বৃষ্টির প্রবণতা বেশি। এই অবস্থা আগামী আরও দু’দিন অব্যাহত থাকতে পারে বলে জানিয়েছে আবহাওয়া অধিদপ্তর।
অপরদিকে বঙ্গোপসাগরে সৃষ্ট সুস্পষ্ট লঘুচাপের প্রভাবে বাংলাদেশের উপকূলীয় এলাকা ও সমুদ্রবন্দরগুলোর ওপর দিয়ে ঝড়ো হাওয়া বয়ে যেতে পারে। তাই চট্টগ্রাম, কক্সবাজার, মংলা ও পায়রা সমুদ্রবন্দরে ৩ নম্বর স্থানীয় সতর্কসংকেত বহাল রাখা হয়েছে।
এদিকে বুধবার (২৯ সেপ্টেম্বর) সকাল থেকেই ঢাকার আকাশ মেঘলা রয়েছে। কোথাও আবার থেমে থেমে হালকা বৃষ্টি হচ্ছে।
গত ২৪ ঘণ্টায় ঢাকায় ৪ মিলিমিটার বৃষ্টি হয়েছে। এ সময়ে সবচেয়ে বেশি বৃষ্টি হয়েছে খেপুপাড়ায়, ১০৯ মিলিমিটার।
আবহাওয়াবিদ এ কে এম রুহুল কুদ্দুছ বলেন, উত্তর-পশ্চিম বঙ্গোপসাগর ও কাছাকাছি বাংলাদেশ-পশ্চিমবঙ্গ উপকূলীয় এলাকায় অবস্থানরত লঘুচাপটি বর্তমানে পশ্চিমবঙ্গ ও কাছাকাছি উত্তর-পশ্চিম বঙ্গোপসাগর এলাকায় সুস্পষ্ট লঘুচাপ আকারে অবস্থান করছে। ভারতের উত্তর অন্ধ্রপ্রদেশের উপকূল ও কাছাকাছি এলাকায় অবস্থানরত নিম্নচাপটি বর্তমানে সুস্পষ্ট লঘুচাপ আকারে অবস্থান করছে গুজরাট অঞ্চলে। মৌসুমি বায়ু বাংলাদেশের ওপর সক্রিয় এবং উত্তর বঙ্গোপসাগরে মাঝারি থেকে প্রবল অবস্থায় বিরাজ করছে।
আগামী তিনদিনের মধ্যে বৃষ্টিপাতের প্রবণতা কমতে পারে বলেও জানান এই আবহাওয়াবিদ।
বুধবার সকাল ৯টা থেকে আগামী ২৪ ঘণ্টার পূর্বাভাসে জানানো হয়, রাজশাহী, খুলনা ও বরিশাল বিভাগের অধিকাংশ জায়গা এবং রংপুর, ঢাকা ও চট্টগ্রাম বিভাগের অনেক জায়গায় ও ময়মনসিংহ, সিলেট বিভাগের কিছু কিছু জায়গায় অস্থায়ীভাবে দমকা হাওয়াসহ হালকা থেকে মাঝারি ধরনের বৃষ্টি বা বজ্রসহ বৃষ্টি হতে পারে। সেই সঙ্গে দেশের দক্ষিণ-পশ্চিমাঞ্চলের কোথাও কোথাও মাঝারি ধরনের ভারি থেকে ভারি বর্ষণ হতে পারে।
এ সময়ে সারাদেশে দিন এবং রাতের তাপমাত্রা প্রায় অপরিবর্তিত থাকতে পারে বলেও পূর্বাভাসে জানানো হয়।
ক্যাটাগরি: শীর্ষ তিন, সারাদেশ
[sharethis-inline-buttons]