অভাব দেখে ভয় পেয়ে জীবন থেকে পালিয়ে বেড়ায় কাপুরুষেরা। সাহসী মাত্রই অভাবকে আলিঙ্গন করে জীবনের বন্ধুর পথ পাড়ি দেবার সংকল্প করে তাদের জীবনের অবশিষ্ট সময়গুলো অতিবাহিত করবে। মানুষকে উপহার দেওয়ার চেষ্টা করবে সুন্দর এক জীবন।
অভাব মানুষের চিরসঙ্গী। কারো অভাব হয়তো অর্থ-বিত্ত-যশ, বাড়ি-গাড়ি-সঙ্গীর। অভাব একেক মানুষের একেক রকম হয়ে থাকে, যা একেবারে নিঃশেষ করা যায় না। তবে নিয়ন্ত্রণ করা যায়। অভাব শেষ হবার নয়। তাই তাকে তার মতো অনুধাবন করে যথাযথ উপায়ে দূর করার চেষ্টা করতে হয় মানুষকে। অভাব এবং তা দূর করার উপায়ের মাঝে ভারসাম্য না থাকলে অভাব দূর হবার পরিবর্তে অভাবের মাত্রা বেড়ে নতুন অভাব তৈরি হয়ে থাকে।
বিশ্ব জগতের সবকিছুরই একটা গতি-প্রকৃতি আছে। তাকে জানার ও বোঝার জন্য নিরলস সাধনার প্রয়োজন হয়। যদিও সবাই তা করে না। তাই যারা কষ্ট করতে প্রস্তুত নয়, তাদের তখন অন্ধের মতো করে আকড়ে ধরতে হয় সেসবকে, যা খুব সহজে তার জীবনধারার সঙ্গে যায়। কিন্তু মানুষ বুদ্ধি-বিবেক সম্পন্ন এক সৃষ্টি। তাই সে জীবনের কোনো না কোনো মুহূর্তে এগুলোর দংশন থেকে বাঁচতে পারে না। তাকে তার অতিক্রান্ত ঘটনাগুলো প্রতিমুহূর্তে যন্ত্রণার সাগরে ভাসিয়ে নিয়ে যায়এবং এর ভার তাকে একাই বইতে হয়।
পৃথিবী থেকে অভাব চিরস্থায়ীভাবে দূর করা সম্ভব নয়। তবে অভাব নিয়ন্ত্রণ করা সম্ভব। অভাব মানুষকে যতটা না দুর্বল করে তারচেয়ে বেশি শক্তিশালী করে তুলে। তাকে নিয়ন্ত্রণ করার জন্য প্রয়োজন প্রকৃত জ্ঞান, উপলব্ধি করার ক্ষমতা, মেনে নেওয়ার ইচ্ছা, তা দূরীকরণে সঠিক পথ অনুসন্ধান করার মন মানসিকতা। অভিযোগে অভাব বাড়ে, অভিযোগ তোলার পূর্বে অভাব দূর করার পন্থা আবিষ্কার জরুরি।
এটা অস্বীকার করার উপায় নেই, প্রতিটা বৃহৎ কাজ বা সফল গবেষণা ব্যক্তি পর্যায় থেকেই শুরু হয়। পরবর্তীতে তা ছড়িয়ে পড়ে সারা বিশ্বে। তবে ব্যক্তির বিচক্ষণতা, বিশ্বাস, বুদ্ধি, ব্যক্তিত্ব বিচ্ছিন্নভাবে গড়ে উঠলে তাকে দিয়ে সামগ্রিক অভাব দূর করার কথা চিন্তা করাও অমাবস্যার চাঁদের মতো অন্ধকারাচ্ছন্ন। আজকের যত ধরনের সমস্যা আমরা দেখতে পাচ্ছি, তার মূলে রয়েছে অভাব। ব্যক্তিও অভাবে পড়েই তার অভাব দূর করার লক্ষ্যে নিজেকে নিয়োজিত করে পদ্ধতি বা পন্থা আবিষ্কার করে থাকে। প্রতিটি সমস্যা সমাধানের পদ্ধতির শক্তিশালী ও কার্যকর হওয়া নির্ভর করে ব্যক্তির চিন্তা ও গড়ে ওঠার সমন্বয় সাধনের উপর।
আরো পড়ুন >> অপরিণামদর্শী বিয়ে, আস্থার সংকট ও তালাক
আজ আমরা অভাব দূর করার যত তত্ত্ব দেখছি, তার প্রায়োগিক অবস্থা আমাদের চোখের সামনে দৃশ্যমান। কোনোটারই ফলাফল মঙ্গলজনক নয় আমাদের জন্য। তবে জন্মগতভাবে পৃথিবীর প্রতিটি মানুষ এক একজন গবেষক। তাই সে কোনোক্রমে তার গবেষণা কার্য বন্ধ রাখতে পারে না। প্রায়োগিক ক্ষেত্রে প্রয়োগ করা হলে তার ফলাফল হয় কল্যাণকর না হয় অকল্যাণকর। যা অকল্যাণকর তা সর্বদাই পরিত্যাজ, অন্যথায় জীবনে দুঃখ-হতাশা ব্যতীত আর কিছুই অবশিষ্ট থাকবে না। অভাব দেখে ভয় পেয়ে জীবন থেকে পালিয়ে বেড়ায় কাপুরুষেরা। সাহসী মাত্রই অভাবকে আলিঙ্গন করে জীবনের বন্ধুর পথ পাড়ি দেবার সংকল্প করে তাদের জীবনের অবশিষ্ট সময়গুলো অতিবাহিত করবে। মানুষকে উপহার দেওয়ার চেষ্টা করবে সুন্দর এক জীবন।
অভাবকে অধিকাংশ লোকই মৃত্যুসম ভয় পায়। যারা অভাবকে ভয় পায় তারা অধিকাংশ সময় বাস্তবতাকে দেখে মানসিকভাবে দুর্বল হয়ে পড়ে। যে কারণে সে জীবনে সামনের দিকে অগ্রসর হতে পারে না। অভাব দূর করার সহজ পথটাও তখন তার সামনে থেকে সরে যায়। তখন দ্বিধা-দ্বন্দ্বের কারণে ভুল পদ্ধতি বা রাস্তায় পা বাড়াতে হয় তাকে। যেখান থেকে সে জীবনে আর ফেরত আসতে পারে না। হতে হয় তাকে অভাবের দায়ে এক মানসিক রোগী।
পৃথিবী থেকে অভাব চিরস্থায়ীভাবে দূর করা সম্ভব নয়। তবে অভাব নিয়ন্ত্রণ করা সম্ভব। অভাব মানুষকে যতটা না দুর্বল করে তারচেয়ে বেশি শক্তিশালী করে তুলে। তাকে নিয়ন্ত্রণ করার জন্য প্রয়োজন প্রকৃত জ্ঞান, উপলব্ধি করার ক্ষমতা, মেনে নেওয়ার ইচ্ছা, তা দূরীকরণে সঠিক পথ অনুসন্ধান করার মন মানসিকতা। অভিযোগে অভাব বাড়ে, অভিযোগ তোলার পূর্বে অভাব দূর করার পন্থা আবিষ্কার জরুরি।
অভাবকে অধিকাংশ লোকই মৃত্যুসম ভয় পায়। যারা অভাবকে ভয় পায় তারা অধিকাংশ সময় বাস্তবতাকে দেখে মানসিকভাবে দুর্বল হয়ে পড়ে। যে কারণে সে জীবনে সামনের দিকে অগ্রসর হতে পারে না। অভাব দূর করার সহজ পথটাও তখন তার সামনে থেকে সরে যায়। তখন দ্বিধা-দ্বন্দ্বের কারণে ভুল পদ্ধতি বা রাস্তায় পা বাড়াতে হয় তাকে। যেখান থেকে সে জীবনে আর ফেরত আসতে পারে না। হতে হয় তাকে অভাবের দায়ে এক মানসিক রোগী।
শরীফ উদ্দীন রনি : বার্তা সম্পাদক, দেশ দর্শন
ক্যাটাগরি: মিনি কলাম
[sharethis-inline-buttons]