দিনশেষে নির্দিষ্ট দর্শনই ক্ষমতা কাঠামোকে বলে দেয়- কাকে মনে রাখতে হবে আর কাকে ধিক্কার জানাতে হবে। আতরাফ জনগোষ্ঠী চিরকাল ধিক্কারের বর্ষণে স্নান করে।
অজয় রায় দেহত্যাগ করার পর তিনি কেন পুত্রহত্যার বিচার দেখে যেতে পারলেন না- সেটা নিয়ে দেশের সুশীল মহলে কান্নার রোল পড়ে গেছে। কিন্তু কেন এখনো অভিজিৎ রায়কে হত্যার বিচার হয়নি, সেটা তো সেই সুশীল সমাজেরই আগে জানার কথা।
অজয় রায়, অভিজিৎ রায়দের নিয়ে বিশ্বব্যাপীই মাতম হয় এবং হবে। অভিজিত রায়ের স্ত্রী’র মত মানুষেরা “টেড টক” এ গিয়ে লম্বা চওড়া বক্তৃতাবাজিও করবেন। কারণ যে দর্শনটি বাংলাদেশের এবং বিশ্বের রাজনীতি ঠিক করে দিচ্ছে-অজয় রায়েরা সেই দর্শনেরই উম্মত।
অভিজিৎ রায়দের নিয়ে বিশ্বব্যাপীই মাতম হয় এবং হবে। অভিজিত রায়ের স্ত্রী’র মত মানুষেরা “টেড টক” এ গিয়ে লম্বা চওড়া বক্তৃতাবাজিও করবেন। কারণ যে দর্শনটি বাংলাদেশের এবং বিশ্বের রাজনীতি ঠিক করে দিচ্ছে-অজয় রায়েরা সেই দর্শনেরই উম্মত।
শুধু বাংলাদেশ নয়, সারা দুনিয়াতেই শত-সহস্র আতরাফ বাপ-মায়ের বুক খালি হয় এবং আগামীতেও হবে। কিন্তু তাদের নিয়ে মাতম হবে না, সুশীল মহলে কান্নার রোলও পড়বে না। কারণ এই আতরাফ জনগোষ্ঠী বর্তমান ক্ষমতা কাঠামোর অংশ নয়। ভবিষ্যতেও হবে না।
আমার কথাটা তিতা লাগবে জানি। কিন্তু এইটাই সত্য যে, দিনশেষে নির্দিষ্ট দর্শনই ক্ষমতা কাঠামোকে বলে দেয়- কাকে মনে রাখতে হবে আর কাকে ধিক্কার জানাতে হবে। আতরাফ জনগোষ্ঠী চিরকাল ধিক্কারের বর্ষণে স্নান করে। এখানে সাম্য, মানিবিক মর্যাদা এবং সামাজিক সুবিচার রুপকথার গল্পমাত্র। ক্ষমতা কাঠামোর কাঁধে চড়ে ছড়ি ঘোরানো দর্শনই শেষকথা…
খান মুহাম্মদ মুরসালীন : সম্পাদক, পোস্টম্যান ডটওয়েবসাইট
ক্যাটাগরি: মিনি কলাম
[sharethis-inline-buttons]