নির্বাচন যেহেতু সামনে, এ ধরনের প্রতারণার আশ্রয় নিতে অনেকেই গুহা (বিলাসবহুল প্রাসাদ ও অফিস) থেকে বেরিয়ে আসবে কিছুদিনের জন্য। অন্যদিকে তিনি একজন ভালো অভিনেত্রীও। অভিনয় তার পেশারই একটা অংশ। সেদিক থেকে অবশ্য অভিনয়টা মন্দ হয়নি।
দেশ দর্শন প্রতিবেদক : জনগণের ‘দুঃখ-দুর্দশা’ ও ‘সমস্যা’ দেখতে নাকি গতকাল বুধবার (১২ সেপ্টেম্বর) অফিসশেষে লোকাল বাসে চড়ে বাসায় ফিরলেন তথ্য প্রতিমন্ত্রী ও সাবেক অভিনেত্রী তারানা হালিম। এমনটাই জানিয়েছে বাংলাদেশের বর্তমান প্রায় সব মিডিয়া। কিন্তু সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম ফেসবুকে এ নিয়ে চলছে তুমুল সমালোচনা। কেউ বলছেন, এটা যখন সব মিডিয়ায় ‘নিউজ’ ও ফলাও প্রচার হয়, এতেই বোঝা যায় বাংলাদেশের মন্ত্রী-এমপিরা কতটা জনবান্ধব। জনগণের টাকায় চলা জনগণের একজন কর্মচারী বাসে চড়বে, তাতে মিডিয়ায় নিউজ ও ফলাও প্রচারের কী আছে? তাতে করে কি ‘মিডিয়ার শতভাগ সরকারিকরণ’ সম্পন্ন হল?
কেউ বলছেন, আসলে জনগণের সমস্যা দেখতে হলে ছদ্মবেশে যেতে হয়। এসব মিডিয়ায় প্রচার করতে হয় না। ‘মাসোহারাভুক্ত’ সাংবাদিক ও মিডিয়া দিয়ে এভাবে ফলাও প্রচারের কোনো মানে নেই। তাছাড়া তারা কি অন্ধ ও বধির যে, জনগণের সমস্যা প্রতিদিন তারা দেখে না-শুনে না? নাকি তারা অন্যকোনো গ্রহে বাস করে যে, পাঁচ বছর পর পর একবার পৃথিবীতে আসতে হয়?
সমালোচকগণ বলছেন, নির্বাচন যেহেতু সামনে, এ ধরনের প্রতারণার আশ্রয় নিতে অনেকেই গুহা (বিলাসবহুল প্রাসাদ ও অফিস) থেকে বেরিয়ে আসবে কিছুদিনের জন্য। অন্যদিকে তিনি একজন ভালো অভিনেত্রীও। অভিনয় তার পেশারই একটা অংশ। সেদিক থেকে অবশ্য অভিনয়টা মন্দ হয়নি।
তারানা হালিমকে নিয়ে এ ধরনের নানামুখী সমালোচনার ঝড় বয়ে যাচ্ছে ফেবু পাড়ায়। এদিকে ‘বাংলানিউজ ২৪’ নামে একটি অনলাইন পোর্টাল অন্যের তোলা ওসব ছবিতে নিজেদের লোগো লাগিয়ে আরেক সমালোচনার জন্ম দিয়েছে। এতে করে মিডিয়া ও সাংবাদিকতা আরেকদফা সমালোচনা ও জনসাধারণের তিরষ্কারের সম্মুখীন হল।
ক্যাটাগরি: প্রধান খবর
[sharethis-inline-buttons]