শনিবার সকাল ৬:৩২, ৯ই অগ্রহায়ণ, ১৪৩১ বঙ্গাব্দ. ২৩শে নভেম্বর, ২০২৪ ইং

অঢেল সম্পদ ও ভোগই শেষকথা?

সরকার জুম্মান

যদি সমস্ত বস্তু বা শক্তি দ্বারাও কেউ নিরবচ্ছিন্ন শান্তি উপভোগ করতে না পারে, তবে কিসের পানে ভবিষ্যৎ? ভাবতেই অবাক লাগে, সামান্য বিদ্যুৎ না থাকায় এত বড় মাপের অশান্তি আসতে পারে! অথচ আরো কত কষ্ট রয়েই গেছে।

ঠিকানা, একটা ঠিকানা বা উন্নত বাসস্থান, সামাজিক মর্যাদা, লৌকিক সম্মান, বিলাসবহুল জীবন ব্যবস্থা, সারাক্ষণ সকল সাধারণ-অসাধারণের চিন্তা চেতনায় জাগ্রত। এখানে যে সুবিধাভোগী তার প্রেক্ষাপট কী? যার নেই তার বাস্তবতা কী? একজন কৃষকের জীবন যাপন আমাদের সবার বোধগম্য, তা নতুনভাবে উপস্থাপনের কিছু নেই। কাঠফাটা রোদে খালি গতরে রোদের তীব্রতা, কঠোর পরিশ্রম উপেক্ষা করেও তার স্বপ্নের লাগাম জমিনেই বাধা পড়ে থাকে। তার কাছে পরিবেশ-পরিস্থিতি, উপভোগ, বিলাসিতা বিশেষ কিছু নয়।

আবার কথিত উচ্চ শ্রেণির কথায় আসলে, তাদের চারদিকে হিমশীতল পরিবেশ, মোহ, চাকচিক্যের ছড়াছড়ি। শারীরিক কষ্টের উপলব্ধি নেই বললেই চলে। তবে তাদের স্বপ্ন লাগামহীন। এ দুধরনের মানুষের মানসিক সহনশীলতায় কিন্তু আকাশ-পাতাল তফাৎ। একজনের কাছে সমসাময়িক কষ্টের মানে পান্তাভাত, অপরজনের কাছে অল্পতেই ঘামিয়ে পড়া। বৈশ্বিক জলবায়ু পরিবর্তনের কারণে দেশে তীব্র তাপদহন বাড়ছে। এমতাবস্থায় পুরো দেশে বিদ্যুৎ বিভ্রাট দেখা দিলে কার অবস্থা কী হবে তার হিসাব সহজ।

একজনের কাছে সমসাময়িক কষ্টের মানে পান্তাভাত, অপরজনের কাছে অল্পতেই ঘামিয়ে পড়া। বৈশ্বিক জলবায়ু পরিবর্তনের কারণে দেশে তীব্র তাপদহন বাড়ছে। এমতাবস্থায় পুরো দেশে বিদ্যুৎ বিভ্রাট দেখা দিলে কার অবস্থা কী হবে তার হিসাব সহজ।

যদি সমস্ত বস্তু বা শক্তি দ্বারাও কেউ নিরবচ্ছিন্ন শান্তি উপভোগ করতে না পারে, তবে কিসের পানে ভবিষ্যৎ? ভাবতেই অবাক লাগে, সামান্য বিদ্যুৎ না থাকায় এত বড় মাপের অশান্তি আসতে পারে! অথচ আরো কত কষ্ট রয়েই গেছে। আসলেই কি আমরা সঠিক পথে এগুচ্ছি, না পিছিয়ে পড়ছি? যে ব্যাক্তি কখনো হিমশীতলতা ছাড়া থাকতে পারে না, অসুস্থ হয়ে পড়ে, তাকে কিনা মৃত্যু হলে আবদ্ধ ঘরে বন্দি করে দিয়ে আসে। আস্তিক নাস্তিক সবাইকে দেয়। কেন দেয়? পঁচে দুর্গন্ধ ছড়াবে।

কি আজব বিষয়! তবুও এটা বাস্তবতা। তাহলে অঢেল সম্পদের প্রয়োজন কী? যা অর্জনে এত জুলুম, অত্যাচার, অবিচার, অন্যায় করতে গিয়েও ভয়, দুশ্চিন্তা, পদে পদে শত্রু, অবাধ্য সংসার- সব মিলিয়ে হ-য-ব-র-ল জীবন। সারাজীবন অর্থের পেছনে দৌড়ে কীভাবে মৃত্যুকে জয় করা সম্ভব? চূড়ান্ত শান্তি অর্জন সম্ভব?

তারা মনীষীদের অনুকরণ করে নিজের ইচ্ছেমতো। যার দরুন এখন বানী আছে, আদর্শ নেই। পৃথিবীর সব মনীষীই হেঁটেছেন জ্ঞান ও শান্তির পথে। আর আমরা হাঁটি নিজ প্রবৃত্তির পথে, যা সুবিধার মোড়কে কষ্ট বয়ে আনে। আদর্শিক মনীষীদের পদাঙ্ক অনুসরণ বা ঠিকানা পুঁজিবাদকে সম্পূর্ণ অস্বীকার করে বিশ্ব মানবতার কল্যাণ কামনায় উজ্জীবিত করে।

ক্যাটাগরি: মিনি কলাম

ট্যাগ:

[sharethis-inline-buttons]

Leave a Reply