জগতের সাথে সম্পর্কহীন থাকলে শিক্ষাব্যবস্থার মৌলিক উদ্দেশ্য কখনোই হাসিল হবে না। পৃথিবীকে স্বীকার করে, তার চাহিদা ও উপযোগিতাকে গুরুত্ব দিয়ে যে কোনো বিষয়ে অগ্রসর হওয়া জরুরি।
সরকারী স্বীকৃতির আগে মাদরাসায় নৈতিকতার চর্চা বলতে প্রশ্নফাঁস না হওয়ার কথা উল্লেখ করা হচ্ছে৷ আদতে নৈতিকতার ধারণা মাদরাসায় এতোটা ক্ষুদ্র না। প্রশ্নের যখন গুরুত্ব থাকে না তখন তা ফাঁস হওয়া না হওয়া নিয়ে আলাপ উঠাবার প্রয়োজন নেই। যখন তার গুরুত্ব বাড়ে, বৈষয়িক মূল্য তৈরি হয় তখন তা নিরাপদ থাকা অবশ্যই গৌরবজনক ও কৃতিত্বপূর্ণ ব্যাপার৷ ফাঁস না হওয়াকে তখন নৈতিকতার মানদণ্ড বলে বিবেচনা করা যেতে পারে। আমার ধারণা, মাদরাসা আমাদেরকে নৈতিকতার সবক বলতে এটাই শেখাতে চাচ্ছে।
সরকারি স্বীকৃতির অন্যতম একটা ফায়েদা হচ্ছে, আমরা যথেষ্ট নৈতিক- এই প্রবল ধারণা বা বিশ্বাসের মধ্যে বড়সড় আক্রমণ। জগতের নানা কার্যক্রমের মধ্যে ব্যস্ত থেকে কী করে তার যাবতীয় মন্দ প্রভাব থেকে বেঁচে থাকতে হবে এই শিক্ষাটা গুরুত্বপূর্ণ। আমরা যে তা খুব কমই ধারণ করতে পেরেছি, প্রশ্নফাঁসের ব্যাপক ঘটনা এর যথার্থ প্রমাণ।
জগতের সাথে সম্পর্কহীন থাকলে শিক্ষাব্যবস্থার মৌলিক উদ্দেশ্য কখনোই হাসিল হবে না। পৃথিবীকে স্বীকার করে, তার চাহিদা ও উপযোগিতাকে গুরুত্ব দিয়ে যে কোনো বিষয়ে অগ্রসর হওয়া জরুরি।
ক্যাটাগরি: মিনি কলাম
[sharethis-inline-buttons]