গত ১১ আগস্ট থেকে লকডাউন শিথিল করে সরকারি-বেসরকারি সব অফিস, ব্যাংক থেকে শুরু করে গণপরিবহন, শপিং মল, দোকানপাট খুলে দেয়ার ঘোষণা দেয় সরকার। আর সরকারের এই যুগ উপযোগী সিদ্ধান্তের পরিপ্রেক্ষিতে ১২ আগস্ট থেকে ব্রাহ্মণবাড়িয়াসহ সারা বাংলাদেশে স্বাস্থ্যবিধি মেনে সব প্রতিষ্ঠান গুলো খুলতে শুরু করেছে। কর্মমুখী লোকেরা স্ব স্ব কর্মে ফিরতে শুরু করেছেন।
সারাদেশে আজ শিথিল লকডাউনের ২৪ দিন অতিবাহিত হচ্ছে। চারদিকে কর্ম চঞ্চলতা বেড়েছে। লকডাউন শিথিত হওয়ার কারণে কর্মজীবী, ব্যবসায়ী,চাকরীজীবী সহ অন্যান্য পেশার লোকরা বেশ খুশি।
আজ ৫ সেপ্টেম্বর রোজ রবিবার। সরকারি কর্মদিবসের প্রথম দিন। তাই সড়কে বেড়েছে ভিষণ যাটজট। সকালে দেখা গেছে, পৌর এলাকার হাসপাতাল রোড,কুমারশীল মোড়, কালাইশ্রী পাড়া মোড়, কোর্ট রোড মোড়, মসজিদ রোড, সড়ক বাজার, টি এ রোডসহ অন্যান্য রোডে ভীষণ যানজট। খোলা হয়েছে শহরের বিভিন্ন বিপনি বিতান, দোকানপাট, রেস্তোরা, অফিস-আদালত, ব্যাংক সহ বিভিন্ন প্রতিষ্ঠান।
সবচেয়ে বেশি ভিড় ছিলো ব্যাংকগুলোতে। তবে দোকানপাটগুলোতে তুলনামুলক ভিড় কম ছিলো। তারপরও দোকানীরা বেশ খুশি। হকার্স মাকের্টের দোকানী আইয়ুব আহমেদ জানান, বেচাকেনা বর্তমানে কম হলেও আস্তে আস্তে বাড়ছে। ইমাম উদ্দীন নামক এক ব্যাংকার জানান,আবার আগের মত হয়ে গেছে ব্রাহ্মণবাড়িয়া শহর।
শহরজুড়ে রিকশার জটলা আগের মতোই বেড়েছে। তবে যানজট বেড়ে যাওয়াতে অটোরিকশার ড্রাইভাররা বেশ খুশি। রতন মিয়া নামে এক অটো রিকশা চালক জানান, এতো দিন কর্মহীন অবস্থায় ছিলাম। যানজট বাড়াতে আমাদের ক্ষেপও বেড়েছে। সরেজমিনে দেখা গেছে,ব্রাহ্মণবাড়িয়া পৌর এলকার ৮/১০ টি পয়েন্টে ট্রাফিক পুশিল যানজট নিরসনের জন্যে আপ্রাণ চেষ্টা করে যাচ্ছে। তাদের এই প্রচেষ্টা সত্যিই প্রশংসার দাবি রাখে।
আনন্দায়ক খবর-দেশে করোনাভাইরাসে আক্রান্ত হয়ে তিন মাসের মধ্যে গতকাল সবচেয়ে কম মৃত্যু ও রোগী শনাক্ত হয়েছে। গবেষকদের মতে, এভাবে চলতে থাকলে আস্তে আস্তে করোনাভাইরাসে মৃত্যুজনিত সংখ্যা কবে আসবে এবং লকডাউনের প্রয়োজন হয়তো হবে না।
Some text
ক্যাটাগরি: নাগরিক সাংবাদিকতা, বিবিধ
[sharethis-inline-buttons]