একটা সুন্দর ঘাসফড়িং দেখছেন। সবুজ একটা ঘাসের ডগা বেয়ে শিশুর মত হেঁটে হেঁটে উঠছে। একটা কাঠঠোকরা পাখি এসে এক ঠোকরে তাকে তুলে নিয়ে খেয়ে ফেললো। ঘাসফড়িংয়ের হৃদযন্ত্র, ডানা, চোখ মুখ থ্যাতলানো একদলা খাবার হয়ে গেল। হয়ত মনে হবে, কি সুন্দর রঙির ডানার পাখিটা কী নিষ্ঠুর! সে যদি না খেতো তাকে!
আবার পাখিটা গাছের গুহায় আরাম করে যখন বসে আছে অতর্কিতে একটা সাপ ছোবল দিয়েছে | এখন সেই সুন্দর পাখিটা হয়ে গেল সাপের খাবার। এ যেন ষড়যন্ত্রের জাল, কে কখন কাকে খাবে। একজনের শরীরের উপাদান আরেক শরীর বানাবে। আমাদের সৌভাগ্য যে প্রকৃতি বংশবৃদ্ধির কৌশলও দিয়ে গেছে | তাই তারা বিলুপ্ত হচ্ছে না |
আমরা মানুষেরাও যা পাচ্ছি খাবার বানিয়ে ফেলছি। কোটি কোটি লোকের উদরপুর্তির জন্য এখন খাঁচায় মুরগী পুষছি। ছাগলের খামার তৈরি করছি, দল বেঁধে গরু পুষছি। মানুষ বুদ্ধিমান, বড় দেয়াল তুলে আরামে ঘুমাচ্ছি। বাঘ ভাল্লুককে কাছে ঘেঁষতে দিচ্ছি না। কিন্তু আমাদের শরীর খেতে ঘুর ঘুর করছে চোখে দেখা যায় না এমন সব প্রাণী। ভাইরাস, ব্যাকটিরিয়া হলো সবচেয়ে ভয়ঙ্কর জাত। শরীরে এন্টিবায়োটিক ঢুকিয়ে তাদের মারা হচ্ছে।
প্রকৃতি বাঁশ ঝাড়ের পাতার শিরশির বাতাসে আনমনে হাসে ! মানুষ তুই অমর হতে চাস? পরদিন ফের আবার চায়না অথবা ভারতীয় শেইপে তারা হাজির। চোখ নাক-মুখ আক্রণন করে অসুস্থ বানিয়ে আইসিওতে পাঠায় | কখনো বাঁচার উপায় থাকে না। শরীরটা কবরে রেখে আসার পর সপ্তাহ ঘুরতেই মাংস হাড় আলাদা করে জীবাণূরা খেয়ে কঙ্কাল বানিয়ে ফেলে |
Some text
ক্যাটাগরি: মতামত
[sharethis-inline-buttons]