কুরবানীর পশুর বর্জ্য এবং সিটি কর্পোরেশনের পরিচ্ছন্ন কর্মীদের নিয়মতান্ত্রিকভাবে আবর্জনা পরিষ্কার না কারণে হঠাৎ করেই এডিশ মশার উপদ্রব বেড়ে যায়
দেশবাসী যখন তীব্র করোনাতঙ্কে আতঙ্কিত, ঠিক তখনই নতুন করে আরও একটা আতঙ্ক ঘিরে ধরেছে রাজাধানীসহ পুরো দেশকে। এডিশ মশার উপদ্রবে শঙ্কিত সমগ্র জাতি। এডিশ মশার কামড়ে ডেঙ্গু জ্বরে আক্রান্ত হয়ে গত কয়েকদিনে রাজধানীর বিভিন্ন হাসপাতালে কয়েকশো রোগী ভর্তি হয়েছে এরই মধ্যে।
কুরবানীর পশুর বর্জ্য এবং সিটি কর্পোরেশনের পরিচ্ছন্ন কর্মীদের নিয়মতান্ত্রিকভাবে আবর্জনা পরিষ্কার না কারণে হঠাৎ করেই এডিশ মশার উপদ্রব বেড়ে যায় বলে ধারণা করা হচ্ছে।
এদিকে ডেঙ্গু জ্বর ও চিকুনগুনিয়া প্রতিরোধে ‘জনসচেতনতা’ তৈরির লক্ষ্যে আজ সকাল সাড়ে দশটায় গাড়ি বহরের মাধ্যমে র্যালীর আয়োজন করে ঢাকা উত্তর সিটি কর্পোরেশন। এরই প্রভাবে তীব্র যানজটের তৈরি হয় রাজধানীর বিভিন্ন সড়কে। অথচ সারাদেশে সরকার ঘোষিত কঠোর লকডাউন চলছে।
লকডাউন উপেক্ষা করে কর্মমুখী মানুষ তাদের কাজে বের হচ্ছে ঠিকই। এতে আইন-শৃঙ্খলা বাহিনীর তৎপরতাও কাজে আসছে না। সকালে রাজধানীর মোহাম্মদপুর নুরজাহান রোডে বেলা ১১টার দিকে তীব্র যানজটে ভোগান্তিতে পড়ে মানুষ।
একজন পথচারী মহিউদ্দীন সাহেব বলেন, “যারা এ ধরনের প্রচারণা চালাচ্ছেন তাদের মাঝেই স্বাস্থ্যবিধি মানার তেমন কোনো লক্ষণ দেখতে পাচ্ছি না। সাধারণ মানুষ কী করে স্বাস্থবিধি মেনে কাজ করবে?”
এছাড়া সাধারণ মানুষের বক্তব্য বিশ্লেষণ করলে দেখা যায়, লকডাউন না মানার কারণ মূলত অর্থনৈতিক ক্ষতিগ্রস্ততা। তাদের এক কথা, পেটে ভাত থাকলে সারা বছর ঘরে বসে থাকতে আপত্তি নেই। অথচ সরকার বিভিন্ন সাহায্যের নামেও বিভিন্ন প্রতারণা করছে। নতুবা অন্তত দুমাসের গ্যাস বিল বিদ্যুৎ বিল মওকুফ করতো।
শরীফ উদ্দীন রনি: নিজস্ব প্রতিবেদক
ক্যাটাগরি: প্রধান খবর, শীর্ষ তিন
[sharethis-inline-buttons]