মুসলিম উম্মার কাছে ঈদুল ফিতর হচ্ছে অন্যতম প্রধান ধর্মীয় ও জাতীয় উৎসব। এই উৎসবে আমার যতখানি পরস্পরের সঙ্গে ভালবাসার বন্ধনে আবদ্ধ হই, ততখানি অন্য কোনো উৎসবে হতে পারি না। এ উৎসবের অন্যতম বৈশিষ্ট হলো, দীর্ঘ এক মাস সিয়াম পালনের পর আমরা এক প্রশান্তি অনুভব করি। স্বাভাবিক জীবনে ফিরে আসি। এজন্য আমারা শারীরিক-মানসিকভাবে এক ধরনের আনন্দ ও স্বাধীনতা উপভোগ করি।
গত বছরের মতো এবারও আমাদেরকে করোনা মহামারীকালে ঈদুল ফিতর উদযাপন করতে হচ্ছে। এরচেয়ে বেদনাদায়ক বিষয় আর কী হতে পারে! এবারও যে আমাদের আনন্দের স্বপ্নভঙ্গ হবে, এটা কল্পনা করতে পারিনি। সবারই ধারণা ছিল, করোনাভাইরাস স্বল্প সময়ের জন্য মানুষের দেহে হানা দিয়ে আবার চলে যাবে- অন্যান্য রোগের মতো। এটা যে এমন ভয়াবহ আকার ধারণ করবে এবং মানুষের চিন্তা-চেতনা পাল্টে তার মনকে অস্থির করে তুলবে, এটা কেউ ভুলেও কল্পনা করেনি।
আরো পড়ুন> শোকাবহ পঁচাত্তরের পনেরো আগস্ট
সুতরাং এই দুঃখজনক অবস্থার মধ্যেই আমাদেরকে ঈদ পালন করতে হচ্ছে। ঈদ আর বর্জন করা যাচ্ছে না। তাই স্বাস্থ্যবিধি মেনে অতি সাবধানে এই আনন্দ উৎসব পালন করতে হবে। এক্ষেত্রে আমাদেরকে বড় ধরনের অনুষ্ঠান বা সামবেশ বর্জন করতে হবে। মুখে মাস্ক পড়তে হবে এবং সবসময় পরিষ্কার-পরিছন্ন থাকতে হবে। যদি আমরা এভাবে চলতে পারি তাহলে করোনাভাইরাস নিশ্চিত পরাজিত হবে।
সৃষ্টির সেরা জীব মানুষ কখনো এই ভাইরাসের নিকট হার মানতে পারে না, এটা যতই শক্তিশালী হোক না কেন। আমার দৃঢ় বিশ্বাস, এই যুদ্ধে মানুষের জয় হবেই। এ রণক্ষেত্রে মানুষের বিজয় অনিবার্য। করোনা মহামারীকালে এই ঈদ উদযাপন হোক সবার জন্য নিরাপদ, আনন্দময় ও প্রাণবন্ত। নিজে সুস্থ থাকুন ও অন্যকে সুস্থ থাকতে সহায়তা করুন। সবার প্রতি রইল ঈদুল ফিতরের আন্তরিক শুভেচ্ছে ও অভিনন্দন।
খায়রুল আকরাম খান: ব্যুরো চীফ, দেশ দর্শন
ক্যাটাগরি: মিনি কলাম, সম্পাদকীয়
[sharethis-inline-buttons]