খুব কাছ থেকে এমন একজন ব্রিলিয়ান্ট টিচার (মেয়ে) দেখেছি, যার কাছে অনেক জ্ঞানী পুরুষও হার মেনে নেয়। কিন্তু বিয়ের বাজারে তার দাম নেই। কারণ তিনি পুরোদস্তুর কালো।
ধরুন, আপনার খুব কাছের কেউ একজন বিয়ে করবে, সে আপনাকে বলল তার জন্য পাত্রী দেখতে। আপনি প্রথমেই যে কাজটি করবেন, আশেপাশের যেসব মেয়েদের বিয়ের বয়স হয়েছে তাদের কথা ভাববেন। বিশ্বাস করুন আর না ই করুন, আপনার অবচেতন মনই কালো মেয়েদের এই লিস্ট থেকে কখন বাদ দিয়ে দেবে, আপনি নিজেই টের পাবেন না।
আমার পরিচিত একজন ভদ্রমহিলা আছেন, যিনি কখনো তার মেয়েকে কোথাও বেড়াতে নিয়ে যেতেন না শুধুমাত্র কালো বলে। মেয়েটা যখন সদ্য কলেজে ভর্তি হলো, তখন কি সব আয়ুর্বেদিক পণ্য মুখে মাখিয়ে এখন মুখের দিকে তাকানো যায় না, পুরো মুখে গোটা গোটা দাগ! উনি নিজের মেয়েকে কম ভালোবাসেন, ব্যাপারটা এমন না। সমাজই এমন রূঢ় আচরণ করতে বাধ্য করেছে।
“কালো জগতের আলো” এটা শুনতেই ভালো লাগে। কিন্তু বাস্তবে প্রয়োগ করতে কারোই ভালো লাগে না। অন্তত নিজের বেলায় তো অবশ্যই না। এখন শো-অফের যুগ, পুতুলগুলোকে সাজিয়ে গুছিয়ে লোকের সামনে উপস্থাপন করো, সবাই বাহবা দিক! বাহ! কি সুন্দর!
খুব কাছ থেকে এমন একজন ব্রিলিয়ান্ট টিচার (মেয়ে) দেখেছি, যার কাছে অনেক জ্ঞানী পুরুষও হার মেনে নেয়। কিন্তু বিয়ের বাজারে তার দাম নেই। কারণ তিনি পুরোদস্তুর কালো। যে লেবেল উনি মেইনটেন করেন, তাতে উনার জন্য যে প্রপোজাল আসে, তা নিতান্তই হাস্যকর!
ছেলে কালো মেয়েকে বিয়ে করার পর শাশুড়ি মানতে পারেননি শুধুমাত্র কালো বলে। সবসময় বলতে শুনেছি, “ফর্সা হইলেও মানা যাইত!” যখন মেয়েটা সন্তানসম্ভবা, তখন আশংকিত হয়ে বারবার বলেছেন, “নামাজ পড়ে দোয়া করো, যাতে তোমার মত গায়ের রং না হয়!”
“কালো জগতের আলো” এটা শুনতেই ভালো লাগে। কিন্তু বাস্তবে প্রয়োগ করতে কারোই ভালো লাগে না। অন্তত নিজের বেলায় তো অবশ্যই না। এখন শো-অফের যুগ, পুতুলগুলোকে সাজিয়ে গুছিয়ে লোকের সামনে উপস্থাপন করো, সবাই বাহবা দিক! বাহ! কি সুন্দর! সুন্দরের অন্তরালে মনটা ঘুঁটঘুঁটে আঁধার কি না, কে জানতে চায় সে খবর?
ফারজানা ববি : শিক্ষার্থী, ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়
ক্যাটাগরি: মিনি কলাম
[sharethis-inline-buttons]