এ কারখানা সম্পূর্ণরূপে প্রতিবন্ধীদের দ্বারা চলে। কোন স্বাভাবিক, সুস্থ মানুষকে এখানে কাজ দেওয়া হয় না। আর এখান থেকে যে লাভ হয় তার পুরো অংশই প্রতিবন্ধীদের কল্যাণে ব্যয় করা হয়। সরকারি হাই লেভেলের মিটিং ও প্রোগ্রামগুলোতে এ পানি ব্যবহার করা হয়।
আমরা অনেকেই জানি না, বাংলাদেশের একটি সরকারি ড্রিংকিং ওয়াটার কারখানা আছে। হ্যাঁ এ পানির নাম মুক্তা।
কী, হাসি আসছে? আমারও আসছিল। কিন্তু পুরাটা পড়লে বুঝতে পারবেন। এটি গাজীপুরে অবস্থিত, সমাজকল্যাণ মন্ত্রণালয়ের অধীনে পরিচালিত হয়। এর বিশেষত্ব হল, এ কারখানা সম্পূর্ণরূপে প্রতিবন্ধীদের দ্বারা চলে। কোন স্বাভাবিক, সুস্থ মানুষকে এখানে কাজ দেওয়া হয় না। আর এখান থেকে যে লাভ হয় তার পুরো অংশই প্রতিবন্ধীদের কল্যাণে ব্যয় করা হয়। সরকারি হাই লেভেলের মিটিং ও প্রোগ্রামগুলোতে এ পানি ব্যবহার করা হয়। সহজেই বুঝা যায়, এটি কেমন বিশুদ্ধ হতে পারে। অথচ দাম একই।
কোন বিজ্ঞাপন না থাকার কারণে এর প্রসার ঘটছে না। সেই সাথে প্রতি জেলায় জেলায় ডিলার দরকার। এক বোতল পানি কিনেও যদি এই পিছিয়ে পড়া মানুষগুলোর উপকার করতে পারি, এতে ক্ষতি কী? পানি তো আমরা কিনিই। অন্তত এ পানিতে কখনোই শেওলা বা ময়লা পাওয়ার সম্ভাবনা নেই। কেউ কারখানাটি দেখলে অবাক হবেন, এখানে কীভাবে পানি মাটির নিচ থেকে তোলা হয়, বিশুদ্ধ করা হয় এবং বোতলজাত করা হয়।
প্রচারে প্রসার। অনগ্রসর জনগোষ্ঠীর জীবন মান উন্নয়নে আপনিও প্রচার করুন। মুক্তা ড্রিংকিং ওয়াটার এর বিজ্ঞাপন হউক আমাদের টেলিভিশন এর এবং আপনাদের মাধ্যমে।
(নিউজ সোর্স : বণিক বার্তা)
ক্যাটাগরি: মিনি কলাম
[sharethis-inline-buttons]