আজব শহর ঢাকা! জীবন বাঁচাতেও ঢাকা, জীবন সাজাতেও ঢাকা! এই ঢাকাতে ক্যান্টনমেন্ট যেমন আছে তেমনি মৎস্য ভবন আছে, শিক্ষা ভবন আছে, বিচারকদের প্রশিক্ষণ কেন্দ্র আছে, সকল সেক্টরের সদর দপ্তর আছে। লাট সাহেব হতে যেমন ঢাকার বিকল্প নেই তেমনি নদী ভাঙ্গনে ভূমিহীনদের জন্যও ঢাকার বিকল্প নেই! বস্তি যেমন আছে তেমনি বিশ্বের ব্যয়বহুল আবাসনও আছে!
যে মানুষটি ১ সপ্তাহ পূর্বেও ঢাকা বসবাসের দিক থেকে বিশ্বের দ্বিতীয় বলে তুচ্ছ তাচ্ছিল্য করত, সরকারের মুন্ডপাত করত সেই মানুষটিও আজ ঢাকায় ফিরে আসতে মরিয়া! সিস্টেম যেহেতু মানুষকে চক্রে আসতে বাধ্য করে সেহেতু ঐ সিস্টেম বহাল রেখে চক্রের বাইরের যাওয়ার দিবা স্বপ্ন দেখে লাভ নেই। ঢাকাকে বিকেন্দ্রীকরণ কেনো করা হচ্ছে না! এটা নিয়ে বিস্ময়ের যেমন শেষ নেই তেমনি মানুষ ঢাকাকে বিকেন্দ্রীকরণের জন্য জোরালো দাবী কেন তুলছে না সেটাও আরেক বিস্ময়!
আজব শহর ঢাকা! জীবন বাঁচাতেও ঢাকা, জীবন সাজাতেও ঢাকা! এই ঢাকাতে ক্যান্টনমেন্ট যেমন আছে তেমনি মৎস্য ভবন আছে, শিক্ষা ভবন আছে, বিচারকদের প্রশিক্ষণ কেন্দ্র আছে, সকল সেক্টরের সদর দপ্তর আছে। লাট সাহেব হতে যেমন ঢাকার বিকল্প নেই তেমনি নদী ভাঙ্গনে ভূমিহীনদের জন্যও ঢাকার বিকল্প নেই! বস্তি যেমন আছে তেমনি বিশ্বের ব্যয়বহুল আবাসনও আছে!
ঢাকা শহরে কেনো শত শত বেসরকারি বিশ্ববিদ্যালয়ের অনুমোদন দেওয়া হলো! পোষাক কারখানা ভেঙ্গে এই নগরে রাতের আঁধারে বিশ্ববিদ্যালয় হয়ে গেলো! এই জাদুর বাক্সো ঢাকাতে একই বিল্ডিং এ বিশ্ববিদ্যালয়, শপিং মল, রেস্টুরেন্ট, মুদির দোকান, আরোও কত কি! এখনও শতশত পোষাক কারখানা রাজার হালে বহাল আছে!
এই শহরে আবাসিক হোটেল গুলো যেন একেকটি সরাইখানা, একেকটি রেড ডিস্ট্রিকট। ওখান থেকে যে মানুষটি বাটোয়ারার টাকা ঘরে তোলে সেই মানুষটিও হজ্বে যায়! টানবাজার তুলে দিলেন, সমাজে বাহবা পেলেন ভালো কথা! তবে, তাঁদের পূণর্বাসনের কি হলো? তাঁদের জীবন জীবিকার কি হলো?
এই শহরে লাইব্রেরির থেকে বিউটি পার্লারের সংখ্যা এবং কদর বেশি, এমনকি মসজিদের সংখ্যা আরোও বেশি! শক্রবারে জুম্মার নামাজ যেমন রাজপথে চলে আসে তেমনি আসরের নামাজে প্রথম কাতারও পুরোন হয় না! ২ কোটি মানুষের শহরে পাবলিক টয়লেটের সংখ্যা কত!
এই শহরের ফুটপাত গুলোতেই চাঁদাবাজী করে আজ অনেকেই কোটিপতি! দোকানদারী/ব্যবসা করতে চাঁদা, বাস, ট্রাক, কার , সিএনজি চালাতে চাঁদা! এমনকি রিক্সা চালাতেও চাঁদা। অথচ, এই সকল ব্যবসার জন্য সরকারকে নির্ধারিত হারে ফি দেওয়ার কথা ছিল বিনিময়ে সরকার থেকে সকল সহায়তা পাওয়ার কথা ছিল! সরকারের টাকা তোলার দায়িত্ব পাড়ার মাস্তানদের কে দিল!
এই শহরের মানুষের চলার গতি কচ্ছপের গতির থেকেও ধীর! ঘন্টায় কত? আগামীতে হয়ত পিঁপড়ার গতির থেকেও ঢাকাবাসীর চলার গতি ধীর হবে। আজ কেউ যানজট নিয়ে কথা বলছে না! কারণ, যানজট আজ ভদ্রলোকদের (they don’t respond in crisis) স্পর্শ করছে না! ভদ্রলোকদের স্পর্শ না করা পর্যন্ত ভদ্রলোক মহাদয়গণ নড়াচড়া করবেন না!
মুনশী জাকির হোসাইন : অনলাইন এক্টিভিস্ট
ক্যাটাগরি: মিনি কলাম
[sharethis-inline-buttons]