বর্তমানে মাহফিলগুলোতে প্রচুর দোকানপাট আসার কারণে জমজমাট মেলায় পরিণত হয়েছে। মাহফিলস্থলের চেয়ে দোকানে মানুষের সংখ্যা বেশি থাকে। মাহফিলে কেনো এসব থাকবে?
দ্বীনি মাহফিলগুলো এখন আর মাহফিল নেই। মাহফিল এখন জমজমাট মেলায় পরিণত হয়েছে বলে মন্তব্য করেছেনে আমেরিকা প্রবাসী প্রবীণ আলেম হাফেজ মাওলানা মুফতি জামালুদ্দীন। গত মঙ্গলবার ৫ জানুয়ারি রাতে নেত্রকোনা দুর্গাপুর চণ্ডিগড়ে প্রাচীন ঐতিহ্যবাহী জামিয়া হোসাইনিয়া ফয়জুল উলুম মাদরাসার বার্ষিক মাহফিলে বিশেষ অতিথির আলোচনায় তিনি এ মন্তব্য করেন।
তিনি বলেন, বর্তমানে হাজার হাজার মাহফিল হচ্ছে। হাজার হাজার আলেমগণ আলোচনা করছেন। কিন্তু এ আলোচনা যায় কোথায়? প্রতি মাহফিলে যদি অন্তত দশজন করে মানুষ নামাজি হতো তাহলে তো পুরো বাংলাদেশে একজন বেনামাজিও খোঁজে পাওয়া যেতো না। মানুষ এক কান দিয়ে আলোচনা শোনছে, অন্য কান দিয়ে বের করে দিচ্ছে। ফলে কোনো কাজ হচ্ছে না। অনেক মানুষ এমন আছেন, তারা তিরিশ, চল্লিশ কেউ আশি বছর ধরে মাহফিল শুনছেন। অথচ এখনো তারা সঠিক নিয়মে নামাজ পড়তে পারেন না, হালাল-হারাম সম্পর্কে তাদের কোনো ধারণা নেই।
তাহলে এতোদিন মাহফিল শোনে লাভটা কী হলো? তিনি আরো বলেন, বর্তমানে মাহফিলগুলোতে প্রচুর দোকানপাট আসার কারণে জমজমাট মেলায় পরিণত হয়েছে। মাহফিলস্থলের চেয়ে দোকানে মানুষের সংখ্যা বেশি থাকে। মাহফিলে কেনো এসব থাকবে? তিনি খুব জোরগলায় বলেন, মাহফিলে কোনো দোকানপাট, বাজার চলবে না। এগুলো সম্পূর্ণরূপে বন্ধ করতে হবে।
তার মতে, বর্তমানে যেভাবে যত্রতত্র মাহফিল হচ্ছে, বক্তারা যে পদ্ধতিতে মানুষকে সঠিক পথে আসার আহ্বান করছেন, তাতে অনেক ত্রুটি আছে। এগুলো সংশোধন করা প্রয়োজন। না হলে হাজারো মাহফিল হবে, অনেক জনসমাগম হবে, বক্তারা ঘণ্টার পর ঘণ্টা আলোলোচনা করবে, কিন্তু আখেরে কোনো কাজে আসবে না।
ঐতিহ্যবাহী এ মাহফিল শুরু হয় আসরের পূর্ব থেকে। শেষ হয় ফজরের নামাজের পর সম্মিলিত মোনাজাতের মাধ্যমে। মাহফিলে আরো আলোচনা করেন মাওলানা হাবিবুল্লা মাহমুদ কাসেমী, আবু ইউসুফ মাহমোদী, খোরশেদ আলম কাসেমী প্রমুখ।
জুনায়েদ আহমেদ: স্টাফ রিপোর্টার
ক্যাটাগরি: প্রধান খবর, শীর্ষ তিন
[sharethis-inline-buttons]