শিষ্যরা বিশ্বাস করতে শুরু করে যে তারা মূল্যহীন, তারা তাপী, তারা বিশ্বাসঘাতক, অাত্মপ্রতারক, মিথ্যাবাদী। ধীরে ধীরে সঙ্ঘপ্রধানের চিন্তা শিষ্যদের মগজে প্রবিষ্ট করে মগজধোলায় করা হয়।
সাম্প্রধায়িক সঙ্ঘ গড়ে উঠে একজন ব্যক্তির প্রতি শ্রদ্ধাবোধ থেকে। সঙ্ঘ-আবদ্ধদের মধ্যে থাকে হীনন্মন্যতা, নিরাপত্তার অভাব, খ্যাতি ও অর্থের লোভ। যারা সঙ্ঘের প্রতি অাকৃষ্ট হয় তারা নিজেরাও জীবন সম্বন্ধে হতাশা ও হীনম্মন্যতায় ভোগে। তাদেরও থাকে নানান অপরাধবোধ, জীবনের নানা যন্ত্রণা থেকে মুক্তির অাশা।
সঙ্ঘে এসে সে একজনকে খুঁজে পায়, যার উপর নির্ভর করা যায়। সে নির্ভর করে, বিশ্বাস করে, শ্রদ্ধা করে, ভক্তি করে। কিন্তু সঙ্ঘবদ্ধজীবন তাদের সুখকর হয় না, আরো হীনন্মন্যতা ঢুকিয়ে দেওয়া হয় তাদের মধ্যে। জীবনের সমস্যাগুলি মোকাবেলা করার জন্য সে পুরোপুরি অসমর্থ হয়ে উঠে। সিদ্ধান্তের জন্য সে সঙ্ঘগুরুর উপর নির্ভরশীল হয়ে উঠার এবং তার ছাতার নিচে অাশ্রয় নেওয়ার প্রবণতা বৃদ্ধি পায়।
শিষ্যরা বিশ্বাস করতে শুরু করে যে তারা মূল্যহীন, তারা তাপী, তারা বিশ্বাসঘাতক, অাত্মপ্রতারক, মিথ্যাবাদী। ধীরে ধীরে সঙ্ঘপ্রধানের চিন্তা শিষ্যদের মগজে প্রবিষ্ট করে মগজধোলায় করা হয়। এমন একটা পরিবেশ সৃষ্টি করা হয় যে, যা সঙ্ঘপ্রধানের সাথে মিলে না তা ভুল। সত্য কেবল সে-ই জানে, আর কেউ কিছু জানে না। সে-ই সর্বশ্রেষ্ঠ। অন্যের সাথে তার তুলনা করা, এমনকি অন্য কেউ কিছু জানে না।
সঙ্ঘে এসে সে একজনকে খুঁজে পায়, যার উপর নির্ভর করা যায়। সে নির্ভর করে, বিশ্বাস করে, শ্রদ্ধা করে, ভক্তি করে। কিন্তু সঙ্ঘবদ্ধজীবন তাদের সুখকর হয় না, আরো হীনন্মন্যতা ঢুকিয়ে দেওয়া হয় তাদের মধ্যে। জীবনের সমস্যাগুলি মোকাবেলা করার জন্য সে পুরোপুরি অসমর্থ হয়ে উঠে।
গুরু যা করেন তাই ভালো। ফলে যা হবার তাই হয়। ব্যক্তিত্ব হারিয়ে, স্বরূপ হারিয়ে উদ্ভ্রান্ত হয়ে যায় শিষ্যদল। কিন্তু ফিরে আসার আর পথ থাকে না। বিরামহীনভাবে তথাকতিত গুরুরা শিষ্যদের বিশ্বাস ও আনুগত্যের পরীক্ষা নেয়, ভালোবাসার পরীক্ষা নেয়। কিন্তু কোনোদিন গুরুর ভালোবাসার পরীক্ষা নিতে পারে না।
এটাই সমাজের বাস্তবতা। বর্তমান সমাজে পুরোহিত, পীর, রাজনৈতিক দলের গুরুরা এভাবেই তাদের কর্পোরেট ব্যবসা চালিয়ে রাখছে।
ক্যাটাগরি: মিনি কলাম
[sharethis-inline-buttons]