ব্রাহ্মণবাড়িয়ার সরাইল উপজেলার পাকশিমুল ইউনিয়নের জয়ধরকান্দি গ্রামে ইউনিয়ন উপ-স্বাস্থ্য কেন্দ্রে ডাক্তার না থাকায় বন্ধ রয়েছে স্বাস্থ্যসেবা। ফলে সরকারি চিকিৎসা সেবা থেকে বঞ্চিত রয়েছে পাকশিমুল ইউনিয়নের প্রায় অর্ধলক্ষাধিক মানুষ। উপ-স্বাস্থ্য কেন্দ্রের মূল গেইটটি তালা লাগানো রয়েছে এবং সবগুলি কক্ষও বন্ধ।
জয়ধরকান্দি গ্রামের স্থানীয় বাসিন্দা হাজী ফয়েজ উদ্দিন জানান, সপ্তাহে ৭ দিনের মধ্য ৪/৫ দিনই বন্ধ থাকে হাসপাতালটি। এখানে নেই কোন ডাক্তার নেই। একজন মাত্র পিয়ন প্রনেশ চক্রবর্ত্তী। সে সপ্তাহে ২/৩ দিন আসে ঘন্টা দুইয়েক পর সে চলে যায়। স্বাস্থ্য কেন্দ্রের পাশেই অবস্থিত জয়ধরকান্দি ইসলামিয়া মাদ্রাসা। এ মাদ্রাসার প্রধান শিক্ষক মাওঃ লিয়াকত আলী জানান, এখানে প্রায় দুই বছর ধরে কোন ডাক্তার নেই। নানাবিধ জটিল রোগে আক্রান্ত হয়ে এ উপ-স্বাস্থ্য কেন্দ্রে প্রতিদিন ৫০/৬০ জন নারী-পুরুষ, শিশু চিকিৎসা সেবার জন্য এসে থাকেন। কিন্তু তারা সঠিক চিকিৎসা সেবা পাচ্ছে না। এ নিয়ে ক্ষোভ প্রকাশ করছেন সাধারণ মানুষ।
পাকশিমুল ইউপি চেয়ারম্যান মোঃ সাইফুল ইসলাম জানান, পাকশিমুল ইউনিয়নে ৪০ থেকে ৫০ হাজার জনগণের বসবাস, এর বিপরীতে একটি মাত্র সরকারি চিকিৎসা সেবাকেন্দ্র। এখানে নেই কোনো প্রাথমিক চিকিৎসা ব্যবস্থা। কেউ অসুস্থ হলে সরাইল সদরে বা নৌ যোগে কষ্ট করে চিকিৎসা নিতে হয় অথবা কোন ফার্মেসী ডাক্তারের কাছ থেকে ওষুধ কিনে খেতে হয়। কেন্দ্রটি নারী-পুরুষ শিশু মিলে প্রতিদিন গড়ে অর্ধলক্ষাধিক রোগী চিকিৎসা নিতে আসেন। উপ-স্বাস্থ কেন্দ্রটি দীর্ঘদিন ধরে মেডিকেল অফিসার না থাকায় এলাকাবাসী সরকারি নূন্যতম স্বাস্থ্যসেবা প্রাপ্তি থেকে বঞ্চিত হচ্ছে। তাই জরুরী ভিত্তিতে এখানে ডাক্তার দেয়ার জন্য ঊর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষের নিকট দাবি জানাচ্ছি।
এ ব্যাপারে সরাইল উপজেলা স্বাস্থ্য ও পরিবার-পরিকল্পনা কর্মকর্তা ডাঃ নোমান মিয়া বলেন, করোনা মহামারি এবং পর্যাপ্ত জনবলের অভাবে জয়ধরকান্দি উপ-স্বাস্থ্য কেন্দ্রটিতে কোন চিকিৎসক নেই। আগে যিনি ছিলেন অবসরে চলে যাওয়ার কারণে এ সংকট দেখা দিয়েছে। চিকিৎসক না থাকার বিষয়টি নিয়ে ঊর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষের কাছে প্রস্তাব পাঠানো হয়েছে।
প্রতিবেদক: শেখ মোঃ ইব্রাহীম
ক্যাটাগরি: ব্রাহ্মণবাড়িয়া, শীর্ষ তিন
[sharethis-inline-buttons]