আমাদের উপমহাদেশের মেয়েরা বংশ পরম্পরায় একটা কুসংস্কারকে সযত্নে লালন করে চলেছে| সেটা হলো, পরিবারের পুরুষ লোকেরা খাওয়ার আগে তারা খায় না| স্বামী–শ্বশুরের খাওয়ার আগে খেলে নাকি তাদের অমঙ্গল হয়| আর আয়ু কমে যায়! ইত্যাদি ইত্যাদি| আবহমানকাল ধরে গ্রামাঞ্চলের প্রতিটা পরিবারে এই চিত্র চিরচেনা|
একটা মেয়ে যখন নতুন বউ হয়ে কোন সংসারে আসে তখন সে ইচ্ছায় বা অনিচ্ছায় শ্বাশুড়িকে নকল করতে থাকে| কোন কোন পরিবারে তাকে এটা করতে বাধ্যও করা হয়|
নতুন বউ এসেই দেখে সারাদিন রান্নাঘরে কাটিয়ে খাবার পাকানোর পর শুরু হয় অপেক্ষার পালা| কখন উনারা আসবেন! একসময় তারা এসেও যায়| অতঃপর সব ভাল ভাল খাবারগুলি তাদের খাওয়ানোর পর নিজেদের জন্য তেমন কিছুই অবশিষ্ট থাকেনা| আমার মনে হয় না কোন পুরুষ জোরপূর্বক তার ঘরে এই প্রথা কয়েম করে।
কারন গ্রামের প্রতিটা ঘরে রেওয়াজ হলো আগে পুরুষরা খায়| তারপর মেয়েরা খায়| একই পরিবারে দুই জাতি আলাদা সময়ে খাওয়ার ফলে একটা গ্যাপ থেকে যায়, এই প্রচলন রোধ করতে পারলে কিছুটা হলেও উপকারে আসবে|
আমাদের মায়েদের দেখা দেখি ঘরের বৌ-ঝিরাও এসব রপ্ত করে ফেলেছে। আর এই অজ্ঞতা থেকে মুক্তিও দিতে পারে সেই পতিরাই| এটার জন্য একমাত্র দায়ী হলো অকৃত্রিম পতিভক্তি|
Some text
ক্যাটাগরি: চিন্তা, নাগরিক সাংবাদিকতা, নিয়ম-কানুন, প্রকৃতি ও পরিবেশ, সমকালীন ভাবনা
[sharethis-inline-buttons]