সারাদেশে বিএনপি-ঐক্যফ্রন্টের এবং তাদের সমর্থিত অনেক প্রার্থী ভোট বর্জনের ঘোষণা দিয়েছেন। এর মধ্যে রয়েছেন ফরিদপুর-২ আসনের শামা ওবায়েদ, ঢাকা-১ এর সালমা ইসলাম, খুলনা-৫ (জামায়াত) এর গোলাম পরওয়ারসহ অনেকেই।
সমস্ত জল্পনা-কল্পনার অবসান ঘটিয়ে অবশেষে আওয়ামী লীগ নিরঙ্কুশ বিজয়োৎসবে মেতে ওঠার অপেক্ষায় আছে। আজ রাত বারোটার ভেতরেই মোটামুটি ফলাফল নিশ্চিত হয়ে যেতে পারে। তারপর যত দ্রুত সম্ভব এমনকি ১০ জানুয়ারির ভেতরেই নতুন মন্ত্রীসভা গঠন করা হতে পারে বলে বিশ্লেষকগণ মনে করছেন।
এদিকে সারাদেশে বিএনপি-ঐক্যফ্রন্টের এবং তাদের সমর্থিত অনেক প্রার্থী ভোট বর্জনের ঘোষণা দিয়েছেন। এর মধ্যে রয়েছেন ফরিদপুর-২ আসনের শামা ওবায়েদ, ঢাকা-১ এর সালমা ইসলাম, খুলনা-৫ (জামায়াত) এর গোলাম পরওয়ারসহ অনেকেই।
পরিস্থিতি অস্বাভাবিক বলে কোনো কোনো প্রার্থী নিজেই ভোট দিতে যাননি বা পারেননি। এছাড়া একে একে বিচ্ছিন্ন সংঘর্ষ-সহিংসতার খবর পাওয়া যাচ্ছে। দুদলেরই কয়েকজন নিহত ও প্রচুর আহত হয়েছে। কিন্তু তবু বিশ্লেষকরা বলছেন, নির্বাচন কিছুটা গ্রহণযোগ্যতা পাবে। যেহেতু সব দলই নির্বাচনে অংশগ্রহণ করেছে। আর এতটুকুই আওয়ামী লীগের জন্য সরকার গঠনে যথেষ্ট।
নির্বাচন হয়ে যাওয়ার পর পরাজিত দলের পক্ষে ফলাফল মেনে না নেওয়ার সংস্কৃতি বাংলাদেশে অনেক পুরনো। তাই সেসব পাত্তা পাবার খুব একটা সুযোগ নেই। বিএনপি-জামায়াত বা ঐক্যফ্রন্টের সবচেয়ে বড় দুর্বলতা হল, গত পাঁচ বছরেও তারা মৌলিক পরিবর্তনের কোনো দর্শন দিতে পারেননি। তাদের চিন্তা-চেতনা ও দর্শনের সমস্ত ফলাফল তারা ভোগ করেছে ২০০১ সালের পরবর্তী পাঁচ বছর। এরপর আর সেসব হালনাগাদ হয়নি।
এদিকে বাংলাদের মৌলিক চেতনাগত ও সাংস্কৃতিক পরিবর্তনের শক্ত চিন্তা-দর্শন কেউ উপস্থিত করতে না পারায় রাজনৈতিক বিশ্লেষকগণ বিএনপি-ঐক্যফ্রন্টের ক্ষমতায় যাওয়া যেমন ক্ষতিকর হিসেবে দেখছেন, একইভাবে আওয়ামী লীগের লাগাতার তৃতীয়বারের মতো ক্ষমতায় যাওয়ার বিষয়টিও ভালো চোখে দেখছেন না।
বাংলাদের মুক্তিযুদ্ধে সরাসরি নেতৃত্ব দানকারী একটি ক্ষমতাসীন দলকে হটিয়ে গদি দখল করতে কী পরিমাণ চিন্তা-দর্শন ও মানবিকতা-যোগ্যতা প্রয়োজন তা তারা ঠাহর করতে পারছে না। তাই তারা পুরনো বুলিই বারবার কপচায়। এতে সাধারণ মানুষ না আশ্বস্ত হয়, না একটু পরিবর্তিত হয়, আর না সরকার সামান্য টলে।
এদিকে বাংলাদেশের মৌলিক চেতনাগত ও সাংস্কৃতিক পরিবর্তনের শক্ত চিন্তা-দর্শন কেউ উপস্থিত করতে না পারায় রাজনৈতিক বিশ্লেষকগণ বিএনপি-ঐক্যফ্রন্টের ক্ষমতায় যাওয়া যেমন ক্ষতিকর হিসেবে দেখছেন, একইভাবে আওয়ামী লীগের লাগাতার তৃতীয়বারের মতো ক্ষমতায় যাওয়ার বিষয়টিও ভালো চোখে দেখছেন না। এতে বিরোধী মত-পথ আরো বন্ধ হয়ে যাওয়ার আশঙ্কা রয়েছে। অন্যদিকে জনজীবনের দৈনন্দিন খরচ আরো বেড়ে যাবে। সরকারী দুর্নীতি, দমন-পীড়ন ছাড়াও আওয়ামী লীগের অভ্যন্তরীণ সংঘাতও বাড়বে। মানুষের যান্ত্রিকতা আরো বাড়বে। জীবনের প্রকৃত স্বাদ, চেতনা, মানসিক স্বাতন্ত্র্য ইত্যাদি অনেকটাই হারিয়ে যাবে।
ক্যাটাগরি: প্রধান খবর
[sharethis-inline-buttons]