পরাজিত তুমি সাংস্কৃতিকভাবে, পরাজিত অর্থনৈতিকভাবে, বঞ্চিত সমঅধিকারে। পাবলিক বিশ্ববিদ্যালয়ের ছাত্র তোমরা অনেকেই। তোমাদের দায়িত্বহীনতার জন্য ইতিহাস ক্ষমা করবে না।
ওহে তরূণ ও যুবক, কোনটি তোমার কাছে প্রিয়? কিসে তোমার আকর্ষণ? “আমরা নিজেকে নিয়ে ব্যস্ত আছি”। তাহলে বাঁচো নিজেকে নিয়ে। তবে জেনে রাখো, একে বাঁচা বলে না। জড় পদার্থের মতো বেঁচে লাভ কী?
এই তরূণ-যুবারা খুব বেশি আত্মকেন্দ্রিক হয়ে যাচ্ছে। আর ঘুণে ধরা সমাজ শুধু ক্ষয়ে যাচ্ছে। এক ভূখণ্ডে বসবাস করেও যেন আমরা শেকড়হীন। তোমরা তো যুক্ত হবে না বার্মার সাথে, বিলীনও হবে না এই সাগরে। ভারত-পাকিস্তানকেও বন্ধু রাষ্ট্র ভাবতে সংশয়। তাহল বন্ধু কে তোমার? ভারত? পাকিস্তান? তাহলে কেন মেনে নিচ্ছ বারংবার পরাজয়?
পরাজিত তুমি সাংস্কৃতিকভাবে, পরাজিত অর্থনৈতিকভাবে, বঞ্চিত সমঅধিকারে। পাবলিক বিশ্ববিদ্যালয়ের ছাত্র তোমরা অনেকেই। তোমাদের দায়িত্বহীনতার জন্য ইতিহাস ক্ষমা করবে না। দায়িত্ব এড়াতে পারো না তোমরা। কুলাঙ্গার সন্তানরূপী হিসেবে পরিচিত হচ্ছো।
সমাজটাকে তোমরাই তো বদলিয়ে দিতে পারো। বর্বরতা থেকে সভ্যতায় এসেছ। আবার ফিরে যাচ্ছ কেন পিছনে? কর্তাব্যক্তিরা আজ সফল। সফল এই জন্যে যে, তারা তোমাদের আত্মকেন্দ্রিক করতে পেরেছে। কর্তাব্যক্তিরা আরো পেরেছে, সমাজপতি আর মসজিদপতি আলাদা করতে।
পরিশেষে রেনেসার কবি ফররুখেআহমেদের দু-চার লাইন লিখে ইতি টানতে চাই। “রাত পোহাবার কত দেরি পাঞ্জেরি? এখনো তোমার আসমান ভরা মেঘে? সেতারা, হেলাল এখনো ওঠেনি জেগে? তুমি মাস্তলে, আমি দাঁড় টানি ভুলে;
ক্যাটাগরি: মিনি কলাম
[sharethis-inline-buttons]