ঘটনা গতকাল শুক্রবার রাত প্রায় পৌনে নয়টায়, এশার নামাজের পরপর, নারায়ণগঞ্জের তল্লা এলাকার মসজিদর ভেতরে। তিতাস গ্যাস লিকেজ থেকে ভয়াবহ এসি বিস্ফোরণ! মুহূর্তেই অনেকে পুড়ে যান, অনেকে লাশ! এই বিস্ফোরণে মৃতের সংখ্যা বেড়ে এখন ২০ জনে দাঁড়িয়েছে। গুরুতর আহত অবস্থায় চিকিৎসাধীন আরো ১৯ জন। নিহতদের মধ্যে ইমাম-মুয়াজ্জিনের সাথে অনেক নিয়মিত মুসল্লিসহ একজন সাত বছরের শিশুও রয়েছে। শেখ হাসিনা জাতীয় বার্ন ও প্লাস্টিক সার্জারি ইনস্টিটিউটে আহতরা টিকিৎসা নিচ্ছেন।
এর আগে আজ সকাল সাড়ে ৯টার দিকে শেখ হাসিনা জাতীয় বার্ন ও প্লাস্টিক সার্জারি ইনস্টিটিউটের সমন্বয়ক চিকিৎসক সামন্ত লাল সাংবাদিকদের জানান, নারায়ণগঞ্জের মসজিদে বিস্ফোরণে মারা গেছেন ১১ জন। তাঁর ওই ব্রিফিংয়ের পর সন্ধ্যা সাড়ে ৬টা পর্যন্ত আর ৭ জনের মৃত্যু হয়। আর রাত সাড়ে আটটায় শেষ খবর পাওয়া পর্যন্ত এ সংখ্যা দাঁড়ায় ২০-এ।
বিস্ফোরণে দগ্ধ হয়ে মারা যাওয়াদের মধ্যে রয়েছেন মসজিদের মোয়াজ্জিন দেলোয়ার হোসেন (৪৮) ও তাঁর ছেলে জুনায়েদ (১৭), দুই ভাই জোবায়ের (১৮) ও সাব্বির (২১), মুন্সিগঞ্জের কুদ্দুস ব্যাপারী (৭২), চাঁদপুরের মোস্তফা কামাল (৩৪), পটুয়াখালীর গার্মেন্টস কর্মী রাশেদ (৩০), নারায়ণগঞ্জের হুমায়ুন কবির (৭২), পটুয়াখালীর রাঙ্গাবালীর জামাল আবেদিন (৪০), গার্মেন্টস কর্মী ইব্রাহিম বিশ্বাস (৪৩), নারায়ণগঞ্জের কলেজ শিক্ষার্থী মো. রিফাত (১৮), চাঁদপুরের মাইনুউদ্দিন (১২), ফতুল্লার জয়নাল (৩৮), লালমনিরহাটের গার্মেন্টসকর্মী নয়ন (২৭), নারায়ণগঞ্জের রাসেল (৩৪), খুলনার কাঞ্চন হাওলাদার (৫০), শিশু জুবায়ের (৭) এবং বাহার উদ্দিন (৫৫) । মারা যাওয়া ব্যক্তিরা তল্লা এলাকার বাসিন্দা।
এদিকে প্রাথমিকভাবে এসি নয়, গ্যাসলাইন থেকেই মসজিদে বিস্ফোরণ ঘটেছে বলে জানিয়েছেন নারায়ণগঞ্জ ফায়ার সার্ভিসের উপ-সহকারী পরিচালক আব্দুল্লাহ আল আরেফিন। শুক্রবার (৪ সেপ্টেম্বর) রাতে ঘটনাস্থল পরিদর্শন করে এ কথা জানান তিনি।
অন্যদিকে পঞ্চাশ হাজার টাকা ঘুষ না দেয়ায় গ্যাসের সেই লিকেজ ঠিক না করারও অভিযোগ ওঠেছে তিতাস গ্যাস কর্তৃপক্ষের বিরুদ্ধে, যা প্রকারান্তরে সরকারেরই অব্যস্থা ও দুর্নীতির প্রমাণ হিসেবে দেখছেন সাধারণ মানুষজন।
ক্যাটাগরি: প্রধান খবর, শীর্ষ তিন
[sharethis-inline-buttons]