শুক্রবার রাত ২:৩৯, ৮ই অগ্রহায়ণ, ১৪৩১ বঙ্গাব্দ. ২১শে নভেম্বর, ২০২৪ ইং

জ্ঞা‌ন: আ‌বেগ-বি‌বে‌কের সমন্ব‌য়

শরীফ উদ্দীন রনি

বর্তমা‌নে আমরা আ‌বে‌গের বে‌গে বেগবান যেসব মানুষ দে‌খি, তা‌দের আ‌বেগ কতটা প্রকৃত তা বাস্তবতাই ব‌লে দেয়।

চারপা‌শে আ‌বেগ ও বি‌বে‌কের ভা‌রে ভারাক্রান্ত মানু‌ষের অভাব নেই। তবুও কেন এত অমান‌বিকতা? ভে‌বে পাওয়া মুশ‌কিল। ত‌বে কী শুধু আ‌বেগ ও বি‌বে‌কের না‌মে ছলনা?

মানু‌ষের অনুভব, পর্য‌বেক্ষণ ও উপল‌ব্ধি শ‌ক্তি যখন তার ক্ষমতা প্র‌য়ো‌গে অক্ষম হ‌য়ে প‌ড়ে, তখন মানুষ যন্ত্রমানব ব্যতীত আর কিছুই থা‌কে না। অনুভব, পর্য‌বেক্ষণ আর উপল‌ব্ধি দ্বারা আ‌বেগ ও বি‌কেক‌কে সর্বা‌গ্রে জানা প্র‌য়োজন। অন্যথায় এ ছলনা হ‌তে মু‌ক্তি লাভ সম্ভবপর নয়। আ‌বেগ হ‌লো বাস্তব ও কল্পনার দ্বারা গ‌ড়ে ওঠা সাম‌য়িক এক অনুভূ‌তি। যা থে‌কে সহ‌জে মানুষ পালা‌তে পা‌রে না।

আরো পড়ুন> বিজ্ঞান গবেষণায় বস্তু ও জ্ঞান

তাই তো মানুষ কো‌নো না কো‌নোভা‌বে ঘটনার প্র‌তি টান অনুভব ক‌রে। কিন্তু সে টা‌নে জ্ঞা‌নের সংস্পর্শ না থাকায় তা অ‌ধিকাংশ সময় অপ্রকা‌শিত থে‌কে যায়। যেসব আ‌বেগ প্রকা‌শিত হয় তা ক্ষণস্থায়ী। বর্তমা‌নে আমরা আ‌বে‌গের বে‌গে বেগবান যেসব মানুষ দে‌খি, তা‌দের আ‌বেগ কতটা প্রকৃত তা বাস্তবতাই ব‌লে দেয়। কিছু আ‌বেগ মানু‌ষের স্থায়ী। তাই সেস‌বের প্র‌তি আ‌বেগ প্রকা‌শে মানু‌ষ স্বয়ং‌ক্রিয়। ‌

আ‌বেগ ও বি‌বে‌কের পর্যায় যদি ভারসাম্যহীন না হ‌য়ে প‌ড়ে, ত‌বে হয়‌তো জীব‌নের ভারসাম্যই হা‌রি‌য়ে যায়। সে‌ক্ষে‌ত্রে জ্ঞা‌নের দ্বারস্থ হ‌য়ে তা‌কে নিয়ন্ত্রণ কর‌তে হয়।

বি‌বেক হ‌লো বা‌হ্যিক ও অভ্যন্তরীণ বিচা‌রের মানদণ্ড। এর দ্বারা আমরা প্র‌ত্যে‌কেই বিচা‌রের সম্মুখীন হয়। কেউ তা পাশ কা‌টি‌য়ে চ‌লে, আবার কেউবা নি‌জের মা‌ঝে লালন ক‌রে। যারা তা‌দের বি‌বেক‌কে পাশ কা‌টি‌য়ে চ‌লে তারা ধ্বংসশীল হ‌য়ে থা‌কে। অপর‌দি‌কে যারা সুষ্ঠু ও প্রকৃত বি‌বেক চর্চার লালন ক‌রে, তারা সমাজ বি‌নির্মা‌ণে ভূ‌মিকা পালন ক‌রে। ব্য‌ক্তির বি‌বেকবান হওয়ায় জ্ঞান বিকা‌শের প‌রি‌বেশ ও শিক্ষার প্র‌ক্রিয়া সহায়ক ভূ‌মিকা পালন ক‌রে।

লেখকের অন্যান্য লেখা

এ ভুব‌নের সকল‌কিছুই চায় সমন্বয়। হাই‌ড্রো‌জেন ও অ‌ক্সি‌জেনে যখন মিশ্রণ ঘ‌টে, তখন তা‌তে উৎপন্ন হয় ভিন্নধর্মী এক পদার্থ। একইভা‌বে ব্য‌ক্তির মা‌ঝে বি‌বেক ও আ‌বেগের স‌ম্মিলন ঘট‌লে দেখা যা‌বে এক অনুপম মানুষ। তার মধ্যে ভারসামপূর্ণ ক‌ঠোরতা ও কোমলতা প‌রিল‌ক্ষিত হ‌বে। আ‌বেগ ও বি‌বে‌কের পর্যায় যদি ভারসাম্যহীন না হ‌য়ে প‌ড়ে, ত‌বে হয়‌তো জীব‌নের ভারসাম্যই হা‌রি‌য়ে যায়। সে‌ক্ষে‌ত্রে জ্ঞা‌নের দ্বারস্থ হ‌য়ে তা‌কে নিয়ন্ত্রণ কর‌তে হয়।

শরীফ উদ্দীন রনি : বার্তা সম্পাদক, দেশ দর্শন

sharifuddin420953@gmail.com

ক্যাটাগরি: মিনি কলাম

ট্যাগ: শরীফ উদ্দীন রনি

[sharethis-inline-buttons]

Leave a Reply