শনিবার দুপুর ১:২২, ৯ই অগ্রহায়ণ, ১৪৩১ বঙ্গাব্দ. ২৩শে নভেম্বর, ২০২৪ ইং

উন্নত জাতির অদ্ভুত মানবতা

আরিফ মাহমুদ

বড় অদ্ভূত তোমাদের মন। একটা মথের জন্য উথলা হও। অথচ কত শিশুকে তোমরা বোমা, বারুদ, জ্বরে পুড়িয়ে মেরে ফেলো।

পানি পান করার একেবারে পূর্বমুহুর্তে একটা মথ এসে গ্লাসে পড়লো। ছিংকে ফেলতে যাবো। পাশ থেকে সহকর্মী বললো- হায় হায়! করছো টা কি? হয়তোবা এখনো প্রাণ আছে। বাইরের লনে ছেড়ে দিলে হয়তো বেঁচে যেতেও পারে। বড় অপরাধবোধ করলাম। মথটিকে বাইরে ছেড়ে দিলাম। সহকর্মী ছিলেন রিটায়ার্ড এয়ারফোর্স পাইলট।

বিষণ্ন মনে কাজে মন দিলাম। মন বসছেনা। কাজের ফাঁকে পত্রিকা দেখছি। ওয়াশিংটন পোস্টের মাত্র ঘন্টাখানেক আগের খবর- “আমেরিকার বর্ডার পেট্রোলের কাস্টডিতে ৭ বছরের অভিবাসী মেয়ের করুণ মৃত্যু”।

৭ বছর মাত্র মেয়েটির বয়স। বর্ডার চিনে না। সীমান্ত চেনে না। শুধু বুঝে ক্ষুধা। বড় বুভুক্ষু ছিলো- আহার দাওনি। হেঁটে হেঁটে খুবই তৃষ্ঞার্ত ছিলো- পান করাওনি। চোখ-জোড়ায় ক্লান্তির ঘুম ছিলো- ঘুমাবার জায়গা দাওনি। রিফিউজি হিসাবে একটু ঠাঁই চেয়েছিলো- তাও দাওনি। এই খৃসমাসের উৎসবের মাঝে ভুলে গেলে জেসাসও রিফিউজি ছিলেন।

৭ বছর মাত্র মেয়েটির বয়স। বর্ডার চিনে না। সীমান্ত চেনে না। শুধু বুঝে ক্ষুধা। বড় বুভুক্ষু ছিলো- আহার দাওনি। হেঁটে হেঁটে খুবই তৃষ্ঞার্ত ছিলো- পান করাওনি। চোখ-জোড়ায় ক্লান্তির ঘুম ছিলো- ঘুমাবার জায়গা দাওনি। রিফিউজি হিসাবে একটু ঠাঁই চেয়েছিলো- তাও দাওনি। এই খৃসমাসের উৎসবের মাঝে ভুলে গেলে জেসাসও রিফিউজি ছিলেন।

তোমাদের বড়গৃহে একটা খুকিকে জায়গা দাওনি। অথচ আমাদের কুঁড়েঘরে আমরা ৭ লক্ষ মানুষকে আশ্রয় দিয়েছি। ৭ বছরের প্রজাপতিটি জ্বরে পুড়তে পুড়তে মারা গেলো; আর তোমাদের শ্বেত গৃহখানা এই শিশুর রক্তে আরেকটু লাল হলো।

বড় অদ্ভূত তোমাদের মন। একটা মথের জন্য উথলা হও। অথচ কত শিশুকে তোমরা বোমা, বারুদ, জ্বরে পুড়িয়ে মেরে ফেলো। প্রাণেশ্বর কাকে বানালে তোমরা। এক নরকে নাকি বানরকে?

ক্যাটাগরি: মিনি কলাম

ট্যাগ:

[sharethis-inline-buttons]

Leave a Reply