কাউকে তোমার পৃথিবী বানানোর আগে অনেকবার ভেবে নিও, একজন মানুষ কখনোই তোমার পৃথিবী হতে পারে না, হওয়া সম্ভব নয়। ভেবে দেখো, এই পৃথিবীর পুরোটাই জল হলে তুমি ভেসে যেতে। পুরোটাই স্থল হলে তুমি তৃষ্ণায় মরে যেতে। সুতরাং সবকিছুতে একটা ব্যালেন্স লাগে।
শুধু চা-পাতা দিয়ে চা হয় না, শুধু চিনি দিয়েও চা হয় না। দুটোই লাগে, পরিমিত পরিমাণে লাগে। তোমাকে পরিমাণটা বুঝতে হবে। কতটুকু তুমি দিচ্ছো একজন মানুষকে, আর কতটুকু দেয়া দরকার? প্রশ্ন করো নিজেকে, সময় থাকতেই প্রশ্ন করো! ভালোলাগা থাকবেই, কিন্তু অতিরিক্ত ভালোলাগা মানুষকে অন্ধ করে দেয়। অন্ধ মানুষ একটা হাত পেলেই তাকে ভরসা করতে শুরু করে। সে জানে না, ঐ হাতটা তাকে গন্তব্যে পৌঁছে দেবে, নাকি মাঝপথে ছেড়ে চলে যাবে।
অন্ধ মানুষটা মাঝে মাঝেই হেরে যায়। বিশ্বাস করে, ভরসা করে হেরে যায় । তাই চোখ থাকার পরেও অন্ধ হয়ে হেরে যেও না। এই পৃথিবী হেরে যাওয়া মানুষদের মনে রাখে না। কাউকে পুরো পৃথিবী বানিয়ে ফেলো না। কাউকে পুরো পৃথিবী দিয়ে ফেলো না। এক আকাশ সমান ভালোবাসা দেয়ার আগে ভেবে নিও…।
এক আকাশের নিচে তারা গোনার স্বপ্ন দেখেছিলে যে মানুষটার সাথে, সে থাকবে তো? হয়তো একদিন মানুষটা তোমার সেই আকাশটাও চুরি করে নিয়ে চলে যাবে। তোমার বুকের ভেতর জমে থাকা মেঘগুলো কিন্তু তখনো রয়ে যাবে। সেই মেঘ ঝরে ঝরে সমুদ্র সমান অশ্রু হবে। সেই সমুদ্রের তীরে তুমি একা দাঁড়িয়ে থাকবে …
তুমি টের পাবে, তোমার আকাশবিহীন পৃথিবীতে তুমি ভীষণ ভীষণ একা! কারণ একটা মানুষকে পুরো পৃথিবী বানানোর সময়টাতে অন্য মানুষগুলোকে তুমি নিজের অজান্তেই সরিয়ে দিয়েছিলে অনেক দূরে। অনেক অনেক দূরে!
নিজের ‘সব’ কাউকে দিয়ে দিতে হয় না, কিছু দিতে হয়। সেই কিছু নিয়ে কেউ চলে গেলে কিছু থেকে যায়। বাকি ‘কিছুকে’ আকড়ে ধরে বাঁচা যায়। সব নিয়ে কেউ চলে গেলে, শুধু শূন্যতা থেকে যায়। শূন্যতা আকড়ে ধরে বাঁচা যায় না। একদম বাঁচা যায় না!
ক্যাটাগরি: মিনি কলাম
[sharethis-inline-buttons]