গত কয়েকদিন আগে নেত্রকোনা দুর্গাপুরের তিন নং চণ্ডিগড় ইউনিয়ন পরিষদে মেয়ে সংক্রান্ত বিষয়ে একটি দরবার হয়। দরবারে উপস্থিত ছিলেন ইউনিয়নটির বর্তমান চেয়ারম্যান আলতাবুর রহমান কাজল। চেয়ারম্যান উপস্থিত থাকাবস্থায় তাকে উপেক্ষা করে দরবারে একপর্যায়ে দুপক্ষের মাঝে মারামারি হয়। এতে একজনের মাথা ফেটে যায় এবং বেশ কয়েকজন আহত হয়। এ ঘটনা এলাকায় বেশ চাঞ্চল্য সৃষ্টি করে।
ঘটনা ঘটার পর প্রায় অর্ধমাস পেরিয়ে গেলেও এখনো এলাকায় এ নিয়ে সমালোচনা থেমে নেই। এমন ঘটনার প্রেক্ষিতে অনেকেই চেয়ারম্যানের যোগ্যতা ও জনগণকে নিয়ন্ত্রণ করার ক্ষমতা নিয়ে প্রশ্ন তোলছেন। তারা বলছেন, ইউনিয়ন পরিষদ একটি গুরুত্বপূর্ণ স্থান। সেখানে চেয়ারম্যান উপস্থিত থাকাকলীন দরবারে মারামারি, মাথা ফাটাফাটি হয় কীভাবে? এটা নিঃসন্দেহে চেয়ারম্যানের ‘দুর্বলতার’ বহিঃপ্রকাশ বলে মনে করছেন তারা।
এ ছাড়াও এলাকায় বিভিন্ন দরবার বা সালিশি বৈঠকে নেতাগণ চেয়ারম্যানকে তেমন একটা গুরুত্ব দেয় না, তার উপর দিয়ে কথা বলে- এমন কথাও এলাকার মানুষজনের মুখে শোনা যাচ্ছে। এ বিষয়ে কিছু দিন আগে এক দরবারে নেতাদের সাথে চেয়ারম্যানের বাকবিতণ্ডাও হয় বলে জানা যায়।
এ ব্যাপারে জানতে ফোনে চেয়ারম্যানেরকে প্রশ্ন করলে এ প্রতিবেদকের প্রশ্ন শোনে শেষ হওয়ার আগেই তিনি বলে উঠেন, এটা মীমাংসা হয়ে গেছে। আমি বিচার করতে চেয়েছিলাম কেনো এটা করলো।
পরে প্রতিবেদক বলেন, মীমাংসা হয়েছে তো ভালো হয়েছে, কিন্তু ইউনিয়ন পরিষদে আপনি উপস্থিত থাকা সত্ত্বেও দুই দলের মাঝে মারামারি কীভাবে হয়? এমন প্রশ্ন শোনে তিনি কিছুটা উত্তেজিত হয়ে বলেন, আরে উপস্থিত থাকার কথা বলে লাভ আছে? উপস্থিত থাকা অবস্থায় কত মারামরি খুনাখুনি হয়ে যায়! পরে তিনি দরবারে আছেন এবং পরে কথা বলবেন বলে ফোন রেখে দেন।
জুনায়েদ আহমেদ: স্টাফ রিপোর্টার
ক্যাটাগরি: প্রধান খবর, শীর্ষ তিন
[sharethis-inline-buttons]