রবিবার রাত ২:৪২, ১০ই অগ্রহায়ণ, ১৪৩১ বঙ্গাব্দ. ২৩শে নভেম্বর, ২০২৪ ইং

ব্রাহ্মণবাড়িয়া হার্ট ফাউন্ডেশনের হার্ট অ্যাটাক!

জাকারিয়া জাকির

করুনা পরিস্থিতির কারণে আর্থিক সংকটে পড়েছে। আশানুরূপ রোগী হচ্ছে না। তাই এর কর্মচারীদের বেতন-ভাতা পরিশোধ করাও সম্ভব হচ্ছে না। এমনকি অনেক কর্মচারীকে সাময়িকভাবে অব্যাহতিও দেয়া হয়েছে।

গত ১ ফেব্রুয়ারি যাত্রা শুরু করেছিল “ন্যাশনাল হার্ট ফাউন্ডেশন ব্রাহ্মণবাড়িয়া” এর বহির্বিভাগ। এটা হৃদরোগ চিকিৎসার একটি বিশেষায়িত হাসপাতাল। বর্তমানে ৫০টি বেড, আইসিইউ ও সিসিইউসহ আধুনিক মানের যন্ত্রপাতি নিয়ে এই হাসপাতালটিতে গরীব-দুঃখীদের জন্য অল্প খরচে চিকিৎসা দেওয়া হচ্ছে। এটি ঢাকা ন্যাশনাল হার্ট ফাউন্ডেশনের তত্ত্বাবধানে পরিচালিত একটি প্রতিষ্ঠান।

ব্রাহ্মণবাড়িয়ার এই হার্ট ফাউন্ডেশন হাসপাতালটি বর্তমানে চরমভাবে আর্থিক সংকটে পড়েছে। এর পরিচালক ডাক্তার একেএম জহিরুল হকের সঙ্গে আলাপ করে জানা যায়, করুনা পরিস্থিতির কারণে আশানুরূপ রোগী হচ্ছে না। তাই এর কর্মচারীদের বেতন-ভাতা পরিশোধ করাও সম্ভব হচ্ছে না। এমনকি অনেক কর্মচারীকে সাময়িকভাবে অব্যাহতিও দেয়া হয়েছে। এছাড়াও রয়েছে এর নানারকম সমস্যা।

জানা যায়, ঠিকাদারের অনিয়মের কারণে এক্সরে মেশিন চালু করা যাচ্ছে না। ঠিকাদার যে রকম মেশিন স্যাম্পল দেখিয়ে সাপ্লাই দেওয়ার কথা ছিল, সেই রকম মেশিন দেয়নি। এ কারণে রোগীদের প্রতিনিয়ত অন্যত্র এক্সরে করানোর জন্য পাঠাতে হচ্ছে। এতে হাসপাতালটির বড় রকম আর্থিক ক্ষতি হচ্ছে। ঠিকাদারী প্রতিষ্ঠান হাসপাতালটি চালু করার আগে নির্মাণাধীন অবস্থায় এক লক্ষ একষট্টি হাজার একশত এক টাকার বিদ্যুৎ বিল হাসপাতালের কাধে ঝুলিয়ে দিয়ে যায়। এছাড়া আরও প্রায় ১৩ লক্ষ টাকার যন্ত্রপাতি ও বিভিন্ন সামগ্রী বিল বকেয়া আছে।

এর পরিচালক একেএম জহিরুল হক জানান, অতিশীঘ্রই এই হাসপাতালটির জরুরি ও আন্তঃবিভাগ চালু করা প্রয়োজন। তা না হলে নতুন কিছু যন্ত্রপাতি নষ্ট হওয়ার সম্ভাবনা প্রবল। তিনি আরো বলেন, এটা ব্রাহ্মণবাড়িয়াবাসীর হার্টের সেবার জন্য একটি অত্যাধুনিক হাসপাতাল। এখানে স্বল্প খরচে গরীব-ধনী সবাই সেবা নিতে পারে। এমনও দেখা যায়, আইসিইউ সিসিইউর অভাবে ঢাকা নেওয়ার পথে অনেক রোগী মারা যায়। সুতরাং যদি এই হাসপাতালটি সম্পূর্ণভাবে চালু করা যায়, তাহলে ব্রাহ্মণবাড়িয়াবাসীর উক্ত সমস্যা থাকবে না।

তিনি আরো বলেন, অন্যান্য হাসপাতালের চেয়ে এতে ৩০% থেকে ৫০% পর্যন্ত কম খরচে পরীক্ষা নিরীক্ষা করা হয় এবং বহির্বিভাগে একজন কার্ডিয়াক কনসালটেন্টের মাধ্যমে সকাল ৮টা থেকে বিকাল ৩টা পর্যন্ত সেবা দেওয়া হচ্ছে। এই হাসপাতালে একটি যাকাত ফান্ডও রয়েছে। ইচ্ছা করলে যাকাতের অর্থ দিয়েও গরীব রোগীদের সাহায্য করা যেতে পারে।

ক্যাটাগরি: প্রধান খবর,  শীর্ষ তিন

ট্যাগ:

[sharethis-inline-buttons]

Leave a Reply