কোরবানীর কিছু বিধি-বিধান ও পশু ক্রয়ের কিছু পরামর্শ
১. প্রচণ্ড গরম এখন, সম্ভব হলে হাতে ছাতা নিয়ে যেতে পারেন।
২. হাটের মধ্যে পানির তৃষ্ঞা পেতে পারে, তাই যারা রোজা রাখেননি তারা হাটে ঢোকার আগেই পানির বোতল রাখতে পারেন সাথে।
৩. নিজের সেফটি বজায় রাখবেন, চোর-বাটপার থেকে সাবধান!
৪. হাটের আশপাশে এটিএম বুথ অধিকাংশ সময় থাকে না, তাই যারা গরু কেনার নিয়ত করে যাচ্ছেন নগদ টাকা সাবধানে সাথে করে নিয়ে যেতে পারেন।
৫. ঝগড়া, বিতর্ক পরিহার করে চলুন।
৬. গরু বিক্রেতা যদি অতিরিক্ত দাম চায় তাহলে তার সাথে খারাপ ব্যবহার না করে, তার সাথে না কথা বলে উক্ত জায়গা পরিত্যাগ করুন।
৭. অসুস্থ ভাইদের হাটে না যাওয়াই উত্তম।
৮. সাথে ছোট শিশুদের নিয়ে গেলে, ওদের দেখে রাখবেন। প্রচুর ভির হয় হাটগুলোতে।
৯. বোনদের গরু কেনার জন্য হাটে না যাওয়াই উত্তম।
১০. হাটে অনেক গরু ছুটোছুটি করে, তাই সাবধান থাকবেন।
১১. বিক্রেতা সহ সকলের সাথে নম্র ও মাধুর্য বজায় রেখে কথা বলবেন। নম্রতা বজায় রাখা উচিত।
১২. দূরের পথে গরু হেটে নেবার চাইতে পিক-আপে করে নিতে পারেন, এতে নিজেদের ও পশুর দুয়েরই ভোগান্তি কম হবে ইন শা আল্লাহ।
১৩. অপরিচিত কারো সাথে কথা না বলাই উত্তম, অপরিচিত কারো দেয়া কোন পানীয় বা কোন খাবার খাবেন না। একদমই না।
১৪. পশুর খাবার সম্পর্কে জানতে যার কাছ থেকে গরু কিনছেন তার কাছে থেকেই জেনে নেবেন তার গরু কি টাইপ খাবার পছন্দ করে।
১৫. রিয়া বা লোক দেখানোর জন্য পশু কুরনানী করবেন না।
১৬. পশু কেনা নিয়ে প্রতিযোগিতা করবেন না, কুরবানী একটি ইবাদত – আর তা শুধুমাত্র আল্লাহ তা’আলা-কে সন্তুষ্টি করার জন্য।
১৭. কোরবানীর পশুকে কেনার পরে নিয়মিত যত্ন নেবেন।
১৮. শুদ্ধ কোরবানীর নিয়মনীতি, মাসালা সম্পর্কে কোন আলেমের নিকট থেকে জেনে নিতে পারেন।
১৯. কোরবানীর পশুর চামরাটা কোন নিকটস্থ এতিমখানা বা মাদ্রাসায় দান করে দিতে পারেন।
২০. পশু কোরবানী করার পর, পশুর জবেহকৃত রক্ত পরিষ্কার পানি দিয়ে ধুয়ে ফেলুন।
.
আল্লাহ আমাদের সকলের কোরবানীকে শুদ্ধ কোরবানী হিসেবে কবুল করুন- আমীন।
সংগৃহীত
ক্যাটাগরি: মিনি কলাম
[sharethis-inline-buttons]