ব্যাংকে মানা হচ্ছে না স্বাস্থ্যবিধি ও সামাজিক দূরত্ব। গতকাল ও আজ ঢাকার বিভিন্ন ব্যাংকে গিয়ে দেখা যায়, তাদের নেই পর্যাপ্ত জীবাণুনাশক। তদারকিতে নেই পর্যাপ্ত লোকবল।
আর্থিক আয়ের উৎস বন্ধ থাকায় অধিকাংশ মানুষের বর্তমান চলার ব্যবস্থা এখন ব্যাংকগুলোর উপর নির্ভরশীল। তাই অন্যান্য জেলার মতো রাজধানীর ব্যাংকগুলোতেও এখন উপচেপড়া ভিড়। শুধু তাই নয় বরং রাজধানীতেই সবচেয়ে বেশি। আর এটাই স্বাভাবিক। তবে সমস্যা হচ্ছে, এসব ব্যাংকে মানা হচ্ছে না স্বাস্থ্যবিধি ও সামাজিক দূরত্ব। গতকাল ও আজ ঢাকার বিভিন্ন ব্যাংকে গিয়ে দেখা যায়, তাদের নেই পর্যাপ্ত জীবাণুনাশক। তদারকিতে নেই পর্যাপ্ত লোকবল।
যারা করোনা পরিস্থিতিতে প্রাতিষ্ঠানিক লকডাউন এ সচেতনতা ও সাবধানতা অবলম্বনে সামাজিক দূরত্ব নিশ্চিতে ঘরে থাকতেন, তারাও কিন্তু দৈনন্দিন বিশেষ প্রয়োজনে বাইরে বেরিয়ে এসে এসব ব্যাংক, মার্কেট, বাজার এমনকি রাস্তায় সামাজিক দূরত্ব না থাকার কারণে করোনায় আক্রান্ত হচ্ছেন। তাই সরকারি হিসাব অনুযায়ী আকস্মিকভাবেই ব্যাপকহারে বাড়ছে করোণা রোগী, বাড়ছে মৃত্যুর সংখ্যা।
বিশেষজ্ঞগণ বলছেন, যে কারণে মানুষের কর্মস্থান ও আয়ের উৎস বন্ধ রাখা হয়েছে, সে কারণ তো দূর করা যাচ্ছে না। নিয়ন্ত্রণহীন ব্যাংক ও মার্কেটের মাধ্যমে ভাইরাস ঠিকই ছড়াচ্ছে। তাহলে মানুষের অন্যান্য আর্থিক প্রতিষ্ঠানগুলো বন্ধ রেখে লাভ কী? বরং এর দ্বারা ক্ষতিই তো বাড়বে। দেশ ও জাতি দীর্ঘমেয়াদে আর্থিক সংকটে পতিত হবে। তাই তাদের পরামর্শ, ব্যাংকগুলোও সরকার যেন যথাযথভাবে নিয়ন্ত্রণ করে অথবা বন্ধ করে দেয়।
সরকার জুম্মান: স্টাফ রিপোর্টার
ক্যাটাগরি: প্রধান খবর, শীর্ষ তিন
[sharethis-inline-buttons]