শনিবার দুপুর ২:৪৭, ৯ই অগ্রহায়ণ, ১৪৩১ বঙ্গাব্দ. ২৩শে নভেম্বর, ২০২৪ ইং

কালেরকণ্ঠের ধৃষ্টতা: রহস্যজনক কারণে নিশ্চুপ ব্রাহ্মণবাড়িয়াবাসী

বিশেষ প্রতিবেদক

“ব্রাহ্মণবাড়িয়ার পঙ্গপালগুলো সম্মিলিত চাষের ফসল” -কালের কণ্ঠের শিরোনাম

বহুলসমালোচিত যুবায়ের আনসারীর জানাযায় লোকসমাগম নিয়ে কতিপয় গণমাধ্যম ও গণমাধ্যমব্যক্তিত্ব সংঘবদ্ধভাবে ব্রাহ্মণবাড়িয়াকে নিয়ে যতসব নোংরা, অশ্লীল ও ধৃষ্টতাপূর্ণ মত-মন্তব্যে মেতে উঠে। এর মধ্যে গ.ই মামুন নামে সাংবাদিক পরিচয়ধারী এক ব্যক্তি ভুল বানানে ব্রাহ্মণবাড়িয়াকে গালি হিসেবে মন্তব্য করে। যা নিয়ে শুধু ব্রাহ্মণবাড়িয়াবাসীই নয়, পুরো দেশ ওই ব্যক্তির বিরুদ্ধে তীব্র ক্ষোভ ও ঘৃণায় ফেটে পড়ে। তাকে উকিল নোটিশ পাঠানো হলে সে জাতির কাছে ক্ষমা চায়, তাও আবার ভুল শব্দপ্রয়োগে এবং সেই ক্ষমা চাওয়ার পোস্টেও প্রকারান্তরে ব্রাহ্মণবাড়িয়া নিয়ে তার কুরুচিপূর্ণ মনোভাবেরই প্রকাশ ঘটে। তবে সবচেয়ে বড় অপরাধটা সম্ভবত করে ‘কালের কণ্ঠ‘ নামের একটা পত্রিকা।

বাংলাদেশ থেকে বিতাড়িত পর্নোলেখিকা তসলিমা নাসরিন সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে ব্রাহ্মণবাড়িয়ার বাসিন্দাদের নিয়ে একটা জঘন্য মন্তব্যসমেত পোস্ট করে, যা পরক্ষণেই কালের কণ্ঠ নামের পত্রিকাটা আরও জঘন্যতর শিরোনাম দিয়ে তা প্রকাশ করে। এরপর মুহূর্তেই সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে সেটা ভাইরাল হয়। কিন্তু বিচ্ছিন্নভাবে কিছু ব্যক্তি এর প্রতিবাদ জানালেও রহস্যজনক কারণে ব্রাহ্মণবাড়িয়ার কোনো সুপরিচিত ব্যক্তি, প্রতিষ্ঠান, লেখক, সাংবাদিককে এ ব্যাপারে এখনো পর্যন্ত কোনো প্রতিবাদ করতে দেখা যায়নি।

অন্যদিকে পত্রিকাটি তাদের অনলাইনের লেখাটি ফেসবুক পেজে শেয়ার দিলে এর কমেন্টবক্সে পাঠকগণ এর তীব্র সমালোচনা করেন এবং তাদের গুরুতর অপরাধটির দিকে দৃষ্টি আকর্ষণ করেন। কিন্তু তাতেও তাদের কিছুই আসে-যায়নি।

কালের কণ্ঠের ফেসবুক পেজে লেখাটির নীচে পাঠকদের প্রতিক্রিয়া

এদিকে কালের কণ্ঠের প্রকাশ করা সেই লেখাটি দেশ দর্শন প্রতিবেদকের দৃষ্টিগোচর হলে দেশ দর্শন এটি নিয়ে একটি প্রতিবেদন প্রকাশ করে। এতে তরুণদের অনেকেই সামাজিক বিভিন্ন গ্রুপ ও নিজেদের টাইমলাইনে তা শেয়ার দেয়, কালের কণ্ঠের তীব্র সমালোচনা করে এবং লেখাটি ডিলিট করার আবেদন জানায়। কিন্তু বিশেষ কোনো ব্যক্তি বা জায়গা থেকে যথাযথভাবে এর প্রতিবাদ না হওয়ায় সেই পত্রিকাটি নিজেদের জায়গায় অটল থাকে। আর রহস্য দানা বাঁধে ঠিক এখানেই।

এ রহস্যের উন্মোচনে দেশ দর্শন কয়েকজনের সঙ্গে কথা বললে তারা যা বলেন তা প্রকাশের অযোগ্য। ব্রাহ্মণবাড়িয়ার এসব তরুণরা জানতে চায়, একজন দুর্বল ব্যক্তি ‘গালির কথা’ বললে যদি অমন প্রতিবাদ হতে পারে, তবে সরাসরি নোংরা ও কুরুচিপূর্ণ গালি দিলে কেন প্রতিবাদ হবে না এবং ক্ষমা চাইতে বাধ্য করা হবে না। ব্যক্তির অপরাধের চেয়ে তো প্রতিষ্ঠানের অপরাধ অনেক বড়।

 

ক্যাটাগরি: ব্রাহ্মণবাড়িয়া,  শীর্ষ তিন

ট্যাগ:

[sharethis-inline-buttons]

Leave a Reply