লোভ-লালসা ও চাওয়া-পাওয়ায় যাদের খামতি নেই, তারা ইতিহাসের আঁস্তাকুড়েই নিক্ষিপ্ত হয়। ইতিহাসের মত গণমানুষের অন্তরেও তাদের স্থান হয় না। দেশের বিরুদ্ধে দাঁড়িয়ে স্বজাতির অপূরণীয় ক্ষতি করেছিল যারা, আমার সুদৃঢ় ধারণা, বিশ্বাসভঙ্গকারী বর্তমানের তারাও একই কাতারে নিজেদের যুক্ত করেছে।
দলছুট নীতিবর্জিত কিছু রাজনীতিক নির্বাচনের ঘোষিত তারিখের পূর্বে এককথা আর পরে অন্যকথা বলে পুনঃপুনঃ হুঙ্কার দিচ্ছে। মুক্তিযুদ্ধের বিপক্ষে স্বাধীনতার শত্রু হানাদার ও দোসরদের ভাষায় কথা বলছে। নিজেদেরকে মাসলম্যান গডফাদারের সারিতে নামিয়ে এনে চটকদার সব বাণী প্রচারে ব্যস্ত রয়েছে।
এদের স্ববিরোধী কর্মকাণ্ড লক্ষ্য করলে প্রতীয়মান হয়, এরা বাঙালি জাতিকে বোকা ভাবে। ইতিহাস পর্যালোচনায় জানা যায়, বাঙালিরা অতীতে ব্রিটিশ বেনিয়া শাসক ও তাদের এদেশীয় দোসরদের স্বরূপ দ্রুত বুঝে ওঠতে পারেনি, চিনতেও সক্ষম হয়নি। একথা সত্য। তবে চেনা ও বোঝার পর তাদের দিক থেকে শুধু মুখই ফিরিয়ে নেয়নি, ঘৃণাভরে প্রত্যাখ্যানও করেছে। সেই ধারা কিন্তু এখনো অব্যাহত আছে। তাই জটিল কুটিল চরিত্রকে বাঙালিরা ‘ব্রিটিশ’ বলে গালমন্দ করে।
লোভ-লালসা ও চাওয়া-পাওয়ায় যাদের খামতি নেই, তারা ইতিহাসের আঁস্তাকুড়েই নিক্ষিপ্ত হয়। ইতিহাসের মত গণমানুষের অন্তরেও তাদের স্থান হয় না। দেশের বিরুদ্ধে দাঁড়িয়ে স্বজাতির অপূরণীয় ক্ষতি করেছিল যারা, আমার সুদৃঢ় ধারণা, বিশ্বাসভঙ্গকারী বর্তমানের তারাও একই কাতারে নিজেদের যুক্ত করেছে। অবশ্য তারা একাজ থেকে বিরত হলে ভিন্নকথা।
ক্যাটাগরি: মিনি কলাম
[sharethis-inline-buttons]