রবিবার দুপুর ১:৫৪, ৮ই পৌষ, ১৪৩১ বঙ্গাব্দ. ২২শে ডিসেম্বর, ২০২৪ ইং

সরাইলে ছিনতাই হওয়া ১৪১ ভরি স্বর্ণালংকার উদ্ধার

১০১৩ বার পড়া হয়েছে
মন্তব্য ০ টি

সরাইল সার্কেলের সিনিয়র  সহকারী পুলিশ  সুপার মো: মনিরুজ্জামান ফকিরের  গভীর আন্তরিকতায় বলিষ্ঠ নেতৃত্বে ছিনতাই হওয়া  ১৪১ ভরি স্বর্ণ অলংকার  উদ্ধার করেছে সরাইল থানা পুলিশ

সায়মন ওবায়েদ শাকিল : ব্রাহ্মণবাড়িয়ার সরাইল উপজেলায় স্বর্ণ ব্যবসায়ীর কাছ থেকে ছিনতাই হওয়া ১৮০ ভরি স্বর্ণালংকার ও সাড়ে ৮ লাখ টাকার মধ্যে ১৪১ ভরি স্বর্ণালংকার উদ্ধার করেছে সরাইল থানা পুলিশ । গত শুক্রবার দিবাগত মধ্যরাতে উপজেলার বণিকপাড়া এলাকার একটি পুকুরপাড়ে মাটি খুঁড়ে স্বর্ণালংকারগুলো উদ্ধার করা হয়। এ ঘটনায় সাঈদুল হক (৪০) ও এমরান খাঁ (৩৫) নামে দুই জনকে আটক করেছে সরাইল থানা পুলিশ। তাদের বাড়ি সরাইল  উপজেলার কুট্টাপাড়া ও বড্ডাপাড়া এলাকায়। পুলিশ জানায়, শুক্রবার দুপুরে গোপন সংবাদের ভিত্তিতে জেলার বিজয়নগর উপজেলার চান্দুরা এলাকায় একটি বাসে অভিযান চালিয়ে ছিনতাইয়ের ঘটনায় জড়িত সাঈদুল ও এমরানকে আটক করে পুলিশ। পুলিশ আটককৃতদের  জিজ্ঞাসাবাদের পরে তারা জানায়, ছিনতাই করা স্বর্ণালংকারগুলো সরাইল উপজেলার বণিকপাড়া এলাকার নিত্য তলাপাত্রের বাড়িতে রাখা আছে। তিনিও ছিনতাইয়ের ঘটনায় জড়িত। তবে তারা জানান, শুক্রবার সকালেই  নিত্য তলাপাত্র ভারতে পালিয়ে গেছেন । পরে তার পরিবারের লোকজনের দেয়া তথ্যমতে বাড়ির পার্শ্ববর্তী একটি পুকুরপাড়ে মাটি খুঁড়ে ১৪১ ভরি স্বর্ণালংকার উদ্ধার করা হয়। 

ব্রাহ্মণবাড়িয়ার জ্যেষ্ঠ সহকারী পুলিশ সুপার (সরাইল সার্কেল) মো. মনিরুজ্জামান ফকির  দেশ দর্শনকে জানান, স্বর্ণালংকার চুরি হওয়ার পর থেকেই গত কয়েক দিন ধরে সরাইল থানার ওসি সহ  থানার সকল অফিসার  মেধা, পরিশ্রম ও এই বিষয়টিকে সর্বোচ্চ গুরুত্ব দিয়েছে বলেই ছিনতাই হওয়া স্বর্ণালংকার উদ্ধা করা সম্ভব হয়েছে। উনি আরো জানান ছিনতাই হওয়া বাকি স্বর্ণালংকার ও নগদ টাকাগুলো উদ্ধারের চেষ্টা চলছে। ধারণা করা হচ্ছে কিছু টাকা নিজেদের মধ্যে ভাগবাটোয়ারা করে বাকি  স্বর্ণালংকার ও টাকা নিয়ে নিত্য তলাপাত্র ভারতে পালিয়ে গেছেন।

উল্লেখ্য গত ১৩ ই নভেম্বর রোজ মঙ্গলবার সন্ধ্যা সাড়ে ৭টার দিকে সরাইল বাজারের আপন শিল্পালয়ের মালিক বিষ্ণু বণিক রিকশাযোগে ১৮০ ভরি স্বর্ণালংকার ও সাড়ে ৮ লাখ টাকা নিয়ে নিজ বাড়ি বণিকপাড়া যাচ্ছিলেন। পথিমধ্যে একদল ছিনতাইকারী তার চোখে মরিচের গুড়া দিয়ে তার সঙ্গে থাকা স্বর্ণালংকার ও টাকাগুলো ছিনিয়ে নেয়। এই ঘটনার দুই দিন পর বিষ্ণু বণিক বাদী হয়ে এজাহার দায়ের করেন। এজাহার দায়ের করার পর থেকেই বিষয়টিকে আমলে নিয়ে গুরুত্ব সহকারে দৌড় ঝাপ শুরু করেন সরাইল সার্কেলের সিনিয়র সহকারী পুলিশ সুপার মনিরুজ্জামান ফকির, এবং তার নেতৃত্বেই  ছিনতাই হওয়া স্বর্ণালংকার উদ্ধার করতে সক্ষম হয় সরাইল থানা পুলিশ । স্বর্ণালংকার উদ্ধার হওয়ার পর থেকেই  সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে বিষয়টি চারদিকে  ছড়িয়ে পরে, এবং অনেকেই সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে   সরাইল সার্কেলের সিনিয়র সহকারী পুলিশ  সুপার মো: মনিরুজ্জামান ফকিরেরর  সততা ও মানবিক গুণাবলি ও তার বলিষ্ঠ নেতৃত্বের প্রশংসা করে অসংখ্য মানুষ তাদের টাইমলাইনে পোষ্ট করে।

 

Some text

ক্যাটাগরি: নাগরিক সাংবাদিকতা

[sharethis-inline-buttons]

Leave a Reply

আমি প্রবাসী অ্যাপস দিয়ে ভ্যাকসিন…

লঞ্চে যৌন হয়রানি