আজকের ধর্মগুলোই যেখানে শত শত বছর ধরে পুঁজিবাদের শেকলে বন্দি, সেখানে শিক্ষা, গণনীতি, বিজ্ঞান, দর্শন, মুক্তচিন্তা ইত্যাদি নিয়ে প্রশ্ন তোলার কোনো প্রয়োজনই হয় না।
নষ্ট শিক্ষা পারমাণবিক বোমার চেয়েও ভয়ঙ্কর। পারমাণবিক অস্ত্র যেমন একসাথে অগণিত মানুষের বাহ্যিক অস্তিত্বকে মুহূর্তে ধ্বংস করে দেয়, কলুষিত শিক্ষাও তেমনি কোটি কোটি মানুষের অন্তরাত্মাকে একযোগে ধ্বংস করে।
শুধু তাই নয়, কলুষিত শিক্ষা পুরো বিশ্বের মনুষ্যত্ব ও সভ্যতা অতি অল্পসময়ে পরপারে পাঠাতে পারে, যা পারমাণবিক অস্ত্র দিয়ে কখনো সম্ভব নয়।
ধর্মের নামে আমরা গত কয়েকশত বছর ধরে যা দেখছি, তা আসলে ধর্ম বলে আমি মনে করি না। বরং আমার চোখে এগুলো পুঁজিবাদের কেনা গোলাম, প্রকৃত ধর্ম নয়। পুঁজিবাদ বহু আগেই এদের বাপ-দাদাদের কিনে নিয়েছে।
অন্যদিকে ধর্মের নামে আমরা গত কয়েকশত বছর ধরে যা দেখছি, তা আসলে ধর্ম বলে আমি মনে করি না। বরং আমার চোখে এগুলো পুঁজিবাদের কেনা গোলাম, প্রকৃত ধর্ম নয়। পুঁজিবাদ বহু আগেই এদের বাপ-দাদাদের কিনে নিয়েছে। আর এরা বংশানুক্রমেই গোলাম, নতুন করে এদের কেনারও প্রশ্ন আসে না। সুতরাং আসলেই কেউ ধর্মকে খুঁজতে হলে বা বুঝতে হলে তাকে অনেক দূর দিয়ে অনেক কঠিন পথ পাড়ি দিতে হবে- এতে কোনো সন্দেহ নেই।
আরো পড়ুন> উচ্চশিক্ষিতরা সমাজরাষ্ট্রের ভারি বোঝা
আজকের ধর্মগুলোই যেখানে শত শত বছর ধরে পুঁজিবাদের শেকলে বন্দি, সেখানে শিক্ষা, গণনীতি, বিজ্ঞান, দর্শন, মুক্তচিন্তা ইত্যাদি নিয়ে প্রশ্ন তোলার কোনো প্রয়োজনই হয় না। তবুও সামান্য কিছু মানুষ সবকিছুর ঊর্ধে্ব একটা প্রশ্নই তুলবে ও খুঁজবে। তাহলো- মানুষের মুক্তি কীসে? কীভাবে? আদৌ সম্ভব কি না?
জাকির মাহদিন : শিক্ষক, কলামিস্ট
ক্যাটাগরি: মিনি কলাম
[sharethis-inline-buttons]