রবিবার রাত ৮:৪৩, ৮ই পৌষ, ১৪৩১ বঙ্গাব্দ. ২২শে ডিসেম্বর, ২০২৪ ইং

নয়নাভিরাম বিদ্যাপিঠ

৮০৩ বার পড়া হয়েছে
মন্তব্য ০ টি

চলতে চলতে কোলাহল ছেড়ে পৌঁছে গেলাম চবিতে। সবুজ পাহাড়ে ঘেরা প্রকৃতির কোলে গড়ে উঠা ঐ বিদ্যাপিঠে। প্রাকৃতিক সৌন্দর্যের অপূর্ব লীলাভূমি। পাহাড় থেকে নেমে আসা দৃষ্টিনন্দন জলরাশী যান্ত্রিকতা থেকে দূরে এক অপরূপ নৈস্বর্গে। প্রকৃতি আর মানব প্রাণের মেলাবন্ধন। সবুজ বৃক্ষসারির উপর উড়ন্ত বিচিত্র রঙের হরেক রকম পাখি উদ্ভিদ উদ্যান, জাদুঘর, ঝুলন্ত সেতু রহস্যময় চালন্দা গিরিপথ, ঝর্ণাধারা, সবুজ পাহাড়ের কোলে থাকা হরিণ, অজগর কিংবা বিচিত্র আরও দুর্লভ প্রাণীর জীবন্ত জাদুঘর। রাঙামাটির সৌন্দর্য্যও দেখা যায় চবি ক্যাম্পাসে। রাঙামাটির ঝুলন্ত সেতুর মতো চবিতেও রয়েছে হৃদয়কাড়া এক ঝুলন্ত সেতু। সেতুটি সমাজ বিজ্ঞান বিভাগের কাছে অবস্থিত।

বিশ্ববিদ্যালয় প্রাঙ্গন জুড়ে রয়েছে আঁকাবাঁকা পথ, পাহাড়ী পথ, বিভিন্ন প্রজাতির গাছ এবং বন্য প্রাণী। প্রায়ই বিশ্ববিদ্যালয়ের কাটা পাহাড়, বাণিজ্য অনুষদের পেছনে, ফরেস্ট্রি একালাসহ অন্যান্য প্রাকৃতিক পরিবেশে ছোট আকারের লালচে বাদামী পিঙ্গল রংয়ের মায়া হরিণ দেখা যায়। এইসব মায়া হরিণগুলো খর্বকায় ও লাজুক স্বভাবের। ষড়ঋতুর পালাবদল হৃদয় দিয়ে অনুভব করা যায় চবি ক্যাম্পাসে। গ্রীষ্মের আগমনে রুক্ষ প্রকৃতি, হঠাৎ সবুজ পাহাড় ঘিরে কালো মেঘের আনাগোনা, কালবৈশাখী ঝড়, বর্ষার আগমনে প্রকৃতির সতেজতা লাভ, শরতের কাশফুলে হাতছানী, হেমন্তের সোনালী ধান কিংবা ঋতুরাজ বসন্তে ফোঁটা ফুল দেখে মুগ্ধ হয়েছি আমি।

শাটল ট্রেন চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয়ের সবচেয়ে বড় বিশেষত্ব হলো শাটল ট্রেন। শিক্ষার্থীদের যাতায়াতের আষ্টেপিষ্টে জড়িয়ে আছে এটি। ক্যাম্পাস শহর থেকে প্রায় ২২ কিলোমিটার দুরে হওয়ায় ছাত্রদের যাতায়াতের জন্য শাটলের ব্যবস্থা করা হয়েছে। রোজ ১৫-১৬ হাজার শিক্ষার্থীর যাতায়াতের মাধ্যম এই শাটল ট্রেন। পৃথিবীতে একমাত্র চবিতে বিশ্ববিদ্যালয়গামী শাটল ট্রেন এখনও চলাচল করে। চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রাণ বলা হয় শাটল ট্রেনকে। চলন্ত শাটল ট্রেনের জানালার ফাঁকে দেখা যায়, মানুষের বিচিত্র জীবন, অপরূপ প্রকৃতি।

ওয়াজেদা পারভীন পপি

০৫ নভেম্বরর, ২০১৮ ইং।

Some text

ক্যাটাগরি: ভ্রমণ কাহিনি

[sharethis-inline-buttons]

Leave a Reply

আমি প্রবাসী অ্যাপস দিয়ে ভ্যাকসিন…

লঞ্চে যৌন হয়রানি