এ উচ্চশিক্ষা ও উচ্চক্ষমতার ফলে দেশ-জাতিকে এরা সেবা দেবে দূরের কথা, এদের এবং এদের বংশধরদের সেবা করতে করতেই জাতি ফতুর হয়ে যায়। এরা দেশকে ভাবে নিজেদের একটা পয়সার ফ্যাক্টরি। আর জনগণকে ভাবে তাদের শ্রমিক ও গোলাম।
উচ্চশিক্ষিত ছেলে-মেয়েরা সমাজ-রাষ্ট্রের অতি ভারি বোঝা। বাংলাদেশে সত্যিকার অর্থে কোনো উচ্চশিক্ষা নেই। আছে এর নামে উচ্চবিনিয়োগ, উচ্চপ্রতারণা শেখানো, উচ্চশোষক তৈরি, উচ্চাভিলাস ও ডিগ্রি-সার্টিফিকেট ক্রয়-বিক্রয়। এর বাইরে উচ্চশিক্ষা বলতে কিছু নেই।
পরে যারা যে পেশায় জড়িত হয়, সেটা সম্পর্কে আলাদাভাবে হাতে-কলমে শিখতে হয়। এর জন্য আবার আরো কিছু পয়সা এবং শ্রম দিতে হয় যা এ কথিত উচ্চশিক্ষার গণ্ডি পার না হয়ে অপ্রাতিষ্ঠানিকভাবেও অল্প সময়ে অল্প পয়সায় আরো ভালোভাবে আয়ত্ত করা যায়। ফলে সমাজ ও রাষ্ট্রকে এরা অনেক সেবা দিতে পারতো। অর্থ ও তারুণ্যের মহাঅপচয় এবং উচ্চাভিলাসী মনোভাবের একদল ‘সুকৌশলী অথর্ব’ থেকে জাতি রক্ষা পেতো।
সম্পাদকের মিনি কলাম
অন্যদিকে এ উচ্চশিক্ষা ও উচ্চক্ষমতার ফলে দেশ-জাতিকে এরা সেবা দেবে দূরের কথা, এদের এবং এদের বংশধরদের সেবা করতে করতেই জাতি ফতুর হয়ে যায়। এরা দেশকে ভাবে নিজেদের একটা পয়সার ফ্যাক্টরি। আর জনগণকে ভাবে তাদের শ্রমিক ও গোলাম।
এ সীমাহীন অত্যাচার, বৈষম্য, বিশৃঙ্খলা ও অব্যবস্থাপনার একমাত্র সমাধান- শিক্ষার সর্বস্তরে “মানবিক জীবনবোধ” জাগ্রতকারী বিষয় সম্পৃক্তকরণ। এতে মানুষের জীবনের স্বাভাবিক গতি-প্রকৃতি, মানবসত্ত্বার প্রাকৃতিক সৃষ্টি, বিকাশ, ধ্বংস প্রভৃতির বিশ্লেষণ, ইচ্ছা-আকাঙ্ক্ষার গতি-প্রকৃতি নির্ণয় করে কল্যাণকর পথে নেয়ার বিষয়গুলো আলোচিত হবে।
অথচ এদের শিক্ষা ও ক্ষমতার প্রতিষ্ঠানগুলো সরাসরি জনগণের অর্থে প্রতিষ্ঠিত এবং পরিচালিত। অশিক্ষিত ও অল্পশিক্ষিত মেহনতী মানুষের ঘাম ও রক্তে এরা গড়ে ওঠে। তারপর আবার এদের ঘাম ও রক্ত দিয়েই ওদের ভোগ-বিলাস ও শোষণের মহাপ্রাসাদগুলো নির্মিত হয়।
আরো পড়ুন> ভিপি নুরু ইমরান-লাকির ধারাবাহিকতা
এ সীমাহীন অত্যাচার, বৈষম্য, বিশৃঙ্খলা ও অব্যবস্থাপনার একমাত্র সমাধান- শিক্ষার সর্বস্তরে “মানবিক জীবনবোধ” জাগ্রতকারী বিষয় সম্পৃক্তকরণ। এতে মানুষের জীবনের স্বাভাবিক গতি-প্রকৃতি, মানবসত্ত্বার প্রাকৃতিক সৃষ্টি, বিকাশ, ধ্বংস প্রভৃতির বিশ্লেষণ, ইচ্ছা-আকাঙ্ক্ষার গতি-প্রকৃতি নির্ণয় করে কল্যাণকর পথে নেয়ার বিষয়গুলো আলোচিত হবে।
সর্বশ্রেণির ও সর্বস্তরের শিক্ষাব্যবস্থায় এই একটি বিষয় সম্পৃক্তকরণ ছাড়া সমাধানের বিকল্প কোনো পথ নেই।
জাকির মাহদিন : সমাজ গবেষক, কলামিস্ট
ক্যাটাগরি: মিনি কলাম
[sharethis-inline-buttons]