শুক্রবার রাত ১২:৩৬, ৮ই অগ্রহায়ণ, ১৪৩১ বঙ্গাব্দ. ২১শে নভেম্বর, ২০২৪ ইং

খেলারাম খেলে যা

মনযূরুল হক

ক্রিকেট এখন বিশাল ইন্ডাস্ট্রি। এতে শোষকদের বিলিয়ন ডলারের ইনভেস্টমেন্ট রয়েছে। ক্রিকেট এখন শুধু খেলা বা বিনোদন নয়, বিশাল ব্যবসা। আমরা ভাবি, মানুষ খেলে ক্রিকেট। আসলে ক্রিকেটই মানুষকে খেলায়। কী খেলায়? জুয়া? সেঞ্চুরি মেরে সেজদার নামে ধর্মখেলা? হতে পারে।

খেলার আগে খেলার নিয়ম-কানুন জানা জরুরি। আপনার অভিজ্ঞতা কম থাকতে পারে, সেটা দোষের নয়; দোষের হলো খেলার রীতিটা না জানা। এরও আগে জানতে হবে আপনি কার বিরুদ্ধে খেলছেন, কী খেলছেন, কেনো খেলছেন। শুনেছি পাঞ্জাবিরা খুবই আনুগত্যপ্রবণ। তাদের যদি বলা হয়, ওই ঘরটা পুড়িয়ে দাও। সে কিছু না জেনেই কেবল আনুগত্যের বশে ঘরটা পুড়িয়ে ছাই করে দেবে। হয়তো পরে শুনলো তার মা সেই ঘরে ছিলেন… তখন সে চিৎকার করে কাঁদবে এবং নিজেকেই দুষবে, মনিবকে নয়। কেননা মনিব তো শুধু আদেশ করেছেন, পোড়াননি।

না জেনেই এভাবে মাকে পুড়িয়ে ফেলার নজির পৃথিবীজুড়েই আছে। উপমহাদেশের কথাই ধরি। ব্রিটিশরা প্রায় দুশো বছর এখানে নীল-ব্যবসা করেছে। নীলনকশা করে সবাইকে গোলাম বানিয়েছে- এ অপবাদ ছাপিয়ে আমাদের কাছে বড় হয়ে দেখা দেয়- উপমহাদেশে ভারত-পাকিস্তান ভাঙনের হোতা ছিলো তারা। অথচ যেদিন দেশবিভাগ হলো, সে দিনটি ভারত-পাকিস্তান স্বাধীনতা দিবস হিসেবে উৎযাপন করে, মুক্তির নিঃশ্বাসে আনন্দ করে।

ভারত-পাকিস্তান উভয় রাষ্ট্রই পরাধীন ছিলো ব্রিটিশদের হাতে। সে হিসেবে মূল প্রতিপক্ষ হওয়ার কথা বৃটেন। অথচ গত সাত দশক ধরে ভারত তার পেট থেকে বেরিয়ে যাওয়া পাকিস্তানকেই শত্রু হিসেবে গণ্য করে আসছে। যেমনটি পাকিস্তানও করছে। এরই মধ্যে ভারত-পাকিস্তান দুটি বৃহৎ যুদ্ধে মুখোমুখী হয়েছে। নিজেরাই লড়েছে, নিজেরাই মরেছে। পাকিস্তান তো নিজেরই অপর অংশকে ভারত-অনুরাগী আখ্যা দিয়ে নিজের দেহ থেকে ছেঁটে ফেলে দিয়েছে। ভারতীয় মুসলিমরা বাংলাদেশি মুসলিমদের ভাবে গাদ্দার। কেননা বাংলাদেশ জন্ম নেয়ায় পাকিস্তানের শক্তি- যা একসময় মুসলিমদের শক্তি ছিলো- খর্ব হয়েছে। শুনেছি সেই পাঞ্জাবি সৈনিকরা এখন ঘর-পোড়ানো সন্তানের মতো কাঁদে।

বাংলাদেশ দোষারোপ করে পাকিস্তানকে। শত্রু ভাবে ভারতকেও। অথচ এই তিনটি দেশই আজও সময়-অসময়ে ব্রিটিশদের আনুকুল্য পেতে উদগ্রীব, যাদের গোলামি করেছে তারা দীর্ঘ দুশো বছর। অথচ আজাদীর একশ বছরও পেরোয়নি। আমার বুঝে আসে না, ভারত কি ব্রিটিশ থেকে মুক্তির স্বাধীনতা উদযাপন করে, নাকি পাকিস্তান থেকে? আর পাকিস্তান করে কিসের আনন্দ? কারামুক্ত বাবাকে যদি মুক্তির পরপরই আপন সন্তানকে নিজ হাতে গোর দিতে হয়, তবুও কি মুক্তির আনন্দ তাকে উল্লসিত করবে? বাংলাদেশের স্বাধীনতা-প্রসঙ্গ নাইবা তুললাম।

ভারত-পাকিস্তান উভয় রাষ্ট্রই পরাধীন ছিলো ব্রিটিশদের হাতে। সে হিসেবে মূল প্রতিপক্ষ হওয়ার কথা বৃটেন। অথচ গত সাত দশক ধরে ভারত তার পেট থেকে বেরিয়ে যাওয়া পাকিস্তানকেই শত্রু হিসেবে গণ্য করে আসছে। যেমনটি পাকিস্তানও করছে। এরই মধ্যে ভারত-পাকিস্তান দুটি বৃহৎ যুদ্ধে মুখোমুখী হয়েছে। নিজেরাই লড়েছে, নিজেরাই মরেছে। পাকিস্তান তো নিজেরই অপর অংশকে ভারত-অনুরাগী আখ্যা দিয়ে নিজের দেহ থেকে ছেঁটে ফেলে দিয়েছে।

আবার ফিলিস্তিনকে দেখুন। তারা কখনো স্বাধীনতার আস্বাদই পায়নি। এ অঞ্চলও একই সময় ব্রিটিশ কলোনি ছিলো। যে সময়ে ব্রিটিশ উপনিবেশ ভারত থেকে উঠে গেছে, একই সময়ে ফিলিস্তিন অঞ্চলকেও তারা ইহুদিদের হাতে হাওলা করে সরে পড়েছে। তারপর থেকে শুরু হয়েছে ইসরায়েল-ফিলিস্তিন লড়াই। ফিলিস্তিনিরা করেছে কী? সারা পৃথিবীতে ইহুদিদের প্রতি ঘৃণা ছড়িয়ে দিয়েছে। যদিও ঘৃণা পাওয়ার কথা ছিলো ব্রিটেনের।

এসব হলো খেলাটা না জানার পরিণতি, প্রতিপক্ষ না চিনে খেলার ফল। সামনের প্রতিপক্ষের আগে পেছনের শত্রুকে না চিনে এগিয়ে গেলে এর থেকে ভালো পরিণতি আশা করা যায় না। আপনি প্রশ্ন করবেন, তাহলে কি বাংলাদেশের উচিত ছিলো না পাকিস্তানের বিরুদ্ধে লড়াই করার? কিংবা ফিলিস্তিন কি ইসরায়েলকে শত্রু ভাববে না? এই প্রশ্নের উত্তর আমরা একটু ঘুরিয়ে দেবো। আমরা বলবো, লড়াই হবে অন্যায়ের বিরুদ্ধে। যার অন্যায় যতো বেশি, তার বিরুদ্ধে লড়াই হবে ততো তীব্র। দাবা খেলায় সৈন্য, নৌকা, ঘোড়া, মন্ত্রী খেতে বাধা নেই, কিন্তু টার্গেট হলো রাজা চেক দেয়া, রাজাকে ফাঁদে ফেলা, নিঃসঙ্গ অবস্থায়ও রাজা যেনো ১৬ কোর্ট দৌড়ানোর সুযোগ না পায়।

দুই. খেলায় পরিবর্তন আসে। বেসিক বদল না হলেও পরিবেশের বদল হয়। ক্রিকেট কি বদলে গেছে? ক্রিকেট কি বদলায়নি? দুটি প্রশ্নকে পাশাপাশি রেখে ভাবুন কী বদলেছে, আর কী বদলায়নি। ক্রিকেট এখন বিশাল ইন্ডাস্ট্রি। এতে শোষকদের বিলিয়ন ডলারের ইনভেস্টমেন্ট রয়েছে। ক্রিকেট এখন শুধু খেলা বা বিনোদন নয়, বিশাল ব্যবসা। ক্রিকেটের মাঠে-ব্যাটে-স্ট্যাম্পে যে ক্যামেরা বসানো, তা কিন্তু মানুষকে টিভির সামনে বসার কথা বলে না, বরং প্রবল আকর্ষণে স্টেডিয়ামে ডেকে নিয়ে যায়। আমরা ভাবি, মানুষ খেলে ক্রিকেট। আসলে ক্রিকেটই মানুষকে খেলায়। কী খেলায়? জুয়া? সেঞ্চুরি মেরে সেজদার নামে ধর্মখেলা? হতে পারে। কেবল ক্রিকেটের ওপর নির্ভর করে কতো লেদার, ইলেক্ট্রনিক, গার্মেন্ট কোম্পানি টিকে আছে, সে-খেলার মূল্যও কি কম? তাহলে বদলটা কোথায় এসেছে, সামান্য ইঙ্গিত কি পাওয়া গেলো?

দিন বদলের কথায় অনেকেই ভয় পায়। আমাদের কোনো এক কবি সম্ভবত রসিকতা করে বলেছেন- যামানার সাথে বদলায় যারা তারা বড় অসহায়। আমরা তার কবিতাকে ঠাট্টা হিসেবেই নিচ্ছি। কিছু মানুষ প্রবাদ আকারে এই রসিকতা ছড়িয়ে দিচ্ছেন। এক পাঠান যুবকের কথা বলি। একবার জিয়াউর রহমান ফারুকি পেশওয়ার গিয়েছেন এক মাহফিলে। সেই পাঠান যুবক গলা ফাটিয়ে নারায়ে তাকবির বলছিলো। তিনি পাঠানকে ধরে জিজ্ঞেস করলেন, জনাব, আপনি তো বেশ জোর গলায় নারাধ্বনী দিচ্ছেন। আলাচনা কিছু বুঝতে পারছেন কি? পাঠান নেহায়েত বিনয় বিগলিত কণ্ঠে বলে, হুজুর, আপনার তাত্ত্বিক কথাবার্তা আমি তেমন বুঝিটুঝি না। আপনারা জোশ চাগিয়ে দেন, তাই আমরা নারাধ্বনী দিই।

বিষয়টা অনেক ক্ষেত্রে এইরকম। কোরআন-হাদিসের টেক্সট বদলাবে না, কিন্তু পরিবেশ আমূল বদলে গেছে- এই কথাটা বহুবার বহুখানে বলে অপমানিত হতে হয়েছে। পরিবর্তিত পরিবেশে সেকালে উদ্ভাবিত বিধান যদি ফিট করতে চান, সেটা তো ফিট হবে না। বারুদ ঠিক আছে, কিন্তু রাইফেলের ঢঙ বদলানোর ফলে গুলির আকার বদলে গেছে। আপনাকে এখন একই বারুদ দিয়ে নতুন গুলি বানাতে হবে। এটাই যুগের সাথে বদল। এই বদল একটা প্রলয়ঙ্করী স্রোত, যে স্রোত রোখা যাবে না, কিন্তু স্রোতকে নিয়ন্ত্রণে রেখে আরও বেশি সুবিধা হাসিল করা যাবে। অনেকটা ক্রিকেটের পেস বলকে ব্যাটে হালকা ঘুরিয়ে ছক্কা মারার মতো। অথবা কাপ্তাইয়ের প্রবল স্রোতকে আটকিয়ে বিদ্যুৎ উৎপাদনের মতো।

কোরআন-হাদিসের টেক্সট বদলাবে না, কিন্তু পরিবেশ আমূল বদলে গেছে- এই কথাটা বহুবার বহুখানে বলে অপমানিত হতে হয়েছে। পরিবর্তিত পরিবেশে সেকালে উদ্ভাবিত বিধান যদি ফিট করতে চান, সেটা তো ফিট হবে না। বারুদ ঠিক আছে, কিন্তু রাইফেলের ঢঙ বদলানোর ফলে গুলির আকার বদলে গেছে। আপনাকে এখন একই বারুদ দিয়ে নতুন গুলি বানাতে হবে। এটাই যুগের সাথে বদল।

তিন. খেলার জন্যে সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ বিষয় হলো, অ্যাটাক ও ডিফেন্স পদ্ধতি জানা। জনৈক খুনিকে আদালতে তোলা হলো। অর্ডিয়েন্স সকলেই তার দিকে ভর্ৎসনার দৃষ্টিতে তাকাচ্ছে। মা-বাবা সবাই তাকে দোষারোপ করছেন। বিচারক মৃত্যুদ- দেবেন নিশ্চিত। খুনি নির্বিকার। বিচারক রায় পড়ে শোনাবার আগে জানতে চাইলেন তার কিছু বলার আছে কি না। খুনি জবাব দিলো, সবাই আমাকে খুনের দোষে দোষারোপ করছে, অথচ খুন করতে গিয়ে যে আমার চারটি বুলেট খরচা হয়েছে, যা কিনতে আমাকে পকেটের শেষ পয়সাটা ব্যয় করতে হয়েছে, প্ল্যান করতে গিয়ে বিনিদ্র রাত কাটাতে হয়েছে, সে কথা কেউ একবার ভাবছে না।

এখানে ডিফেন্স হয় নি। এ জাতীয় ডিফেন্স যদি আপনার বুদ্ধিতে এসে থাকে তাহলে নির্ঘাৎ আপনাকে দণিডত হতে হবে। অথচ লোকটা কেনো খুনটা করলো, অবশ্যই ক্রোধ তাকে জ্বালিয়েছে, সেটা কী, তা সে জানাতে পারতো। এই ধরনের নির্বুদ্ধিতা এ দেশে বহুবার হয়েছে। একাত্তরে লাখো মানুষকে হত্যা করা হয়েছে, তার কী প্রতিকার বাংলাদেশ পেয়েছে? প্রতিকারের কী কী চেষ্টা করা হয়েছে? একটা চেষ্টাই আপনি শুধু দেখবেন, তা হলো, মৃতের সংখ্যা বাড়িয়ে বলা, ইজ্জত হারানো মায়েদের সংখ্যা ফাঁপিয়ে প্রচার করা। নিজের পরাজয় কত গভীর, জয়ী হয়েও যে আমরা আসলে পরাজিতই, সেটাই কি প্রকারান্তরে ফুটে উঠছে না? ৫ মে’র কথাই ধরুন। ডিফেন্স হয়েছে? প্রতিরোধের কোনো ব্যবস্থা কি আগে থেকে নির্ধারিত ছিলো? যা হয়েছে তার কোনো প্রতিকার কি হয়েছে? এখানেও সংখ্যা নিয়ে গোলমাল। অ্যাটাক ও ডিফেন্সের জন্যে ডকুমেন্ট অত্যন্ত জরুরি। কাকে অ্যাটাক করতে গেলেন এবং পরিণতি কী হয়েছে- সেটা আবার স্মরণে আনুন।
আপনি জেনেছেন সাম্রাজ্যবাদিরা ইংরেজির মাধ্যমে অ্যাটাক করে, অমনি আপনি ইংরেজি শেখা ছেড়ে দিলেন ডিফেন্সের নিয়তে। অথচ আপনি লক্ষ করলেন না, পৃথিবীতে আশিভাগ গবেষণা জার্নাল ইংরেজি। আপনার মতামতকে প্রতিষ্ঠিত করতে হলে এই জার্নাল ঘেঁটে দেখতে হবে। এখান থেকেই ডিফেন্সের সিস্টেমটা বের করে আনতে হবে।

একাত্তরে লাখো মানুষকে হত্যা করা হয়েছে, তার কী প্রতিকার বাংলাদেশ পেয়েছে? প্রতিকারের কী কী চেষ্টা করা হয়েছে? একটা চেষ্টাই আপনি শুধু দেখবেন, তা হলো, মৃতের সংখ্যা বাড়িয়ে বলা, ইজ্জত হারানো মায়েদের সংখ্যা ফাঁপিয়ে প্রচার করা। নিজের পরাজয় কত গভীর, জয়ী হয়েও যে আমরা আসলে পরাজিতই, সেটাই কি প্রকারান্তরে ফুটে উঠছে না?

যুদ্ধ মানেই খতম করা নয়, শত্রু গড়া নয়। এটাও একটা খেলার মতো। যুদ্ধে যদি শত্রুকে খতম না করে নিজের তাঁবুতে ভেড়ানো যায়, তবে জয়টা হয় সত্যিকারের। দীর্ঘদিনের পরাজয় মানুষকে থিতিয়ে দেয়। শীতের মতো ওম পেতে মানুষ কাথা মুড়ি দিয়ে আশ্বস্ত হতে চায়। আগুন জ্বাললেও বাইরে আসে না, আসতে চায় না। বাঘের গর্জন শুনলে আরও গুটিসুঁটি মেরে পড়ে থাকে। তবু তাকে দোষ দেবো না। তাকে মানুষই বলবো। কিন্তু খেলারাম, যেই পরাজিত সৈনিক পালিয়ে এসেও বুক ফুলিয়ে মিথ্যাচার করে, তাকে জয়ী করার দায়িত্ব কে নেবে? আমাদের, আমাদের ছেলেদের মিথ্যার বুজরুকিতে পেয়েছে।

অ্যাডাল্টই হয়নি, কিন্তু মাথায় বিয়ের ভূত চেপেছে। কী খেলা খেলবে এখন? বিয়ের খেলা? নাকি বিয়ের উপযুক্ত করার খেলা। পাত্রী যদি হাতছাড়া হয়ে যায়? তাহলে কি অ্যাঙ্গেজমেন্ট করে রাখবে? সাঁতার শেখার আগেই অথৈ জলে পড়েছো বাবা, হাল ছেড়ো না তবু। নতুন করে শুরু করো। হাতিয়ার ধরার যোগ্য যারা নয়, তাদের হাতে অঙ্গার তুলে না দিয়ে প্রতিপক্ষের সৈনিককে তাঁবুতে আনার খেলাটাই না হয় খেলো। অথবা যা জানো তাই খেলো। ভালোবাসার খেলা খেলো, অভিনয়ের নয়। ভণ্ডমি ছেড়ে নিজের খেলায় মনোযোগ দাও। জয়ের জন্যে না হলেও, খেলার মাঠে টিকে থাকার জন্যে খেলো। পরাজয় জেনেও খেলো, ব্যবধান কমাও। অ্যাটাক-ডিফেন্সের কথা মনে রাখো। মনে রাখো দিন বদলের কথা। জার্সি না থাক, প্রতিপক্ষ চিনতে যেনো ভুল না হয়। খেলো, খেলারাম। খেলো যাও।

মনযূরুল হক : সাহিত্যিক, প্রাবন্ধিক
manzurul.haque267@gmail.com

ক্যাটাগরি: প্রধান কলাম,  সাহিত্য

ট্যাগ:

[sharethis-inline-buttons]

Leave a Reply