সাধু আর শয়তানের পার্থক্যও দৃষ্টিভঙ্গিই। একজনের দৃষ্টিতে যা ভালো, অন্যজনের দৃষ্টিতে তা মন্দ। একজন যে মন্দকে নাশ করতে জীবনের ঝুঁকি নেয়; আরেকজন তাকেই রক্ষা করতে জীবন বাজি রাখে
“মুখ দেখে ভুল করো না, মুখটা তো নয় মনের আয়না”। সাধু কিংবা শয়তান- মুখ তো একই। জীবন তো একই। একই জীবনকে মানুষ বনও বানাতে পারে, আবার কাননও বানাতে পারে। ‘জীবন’ শব্দটি কী অদ্ভুত? প্রথম অক্ষর বাদ দিলে ‘বন’; শেষের অক্ষর বাদ দিলে ‘জীব’; মাঝের অক্ষর বাদ দিলে ‘জীন’। জীব থাকে ‘বনে’। মনুষ্য বনে থাকবে না কাননে, তা নির্ভর করে দৃষ্টিভঙ্গির উপর।
সাধু আর শয়তানের পার্থক্যও দৃষ্টিভঙ্গিই। একজনের দৃষ্টিতে যা ভালো, অন্যজনের দৃষ্টিতে তা মন্দ। একজন যে মন্দকে নাশ করতে জীবনের ঝুঁকি নেয়; আরেকজন তাকেই রক্ষা করতে জীবন বাজি রাখে- শুধু দৃষ্টিভঙ্গির ভিন্নতার কারণেই। বাস্তবে ভালোও নেই, মন্দও নেই। আছে শুধু দৃষ্টিভঙ্গির ভিন্নতা।
যখনই কেউ নিজের দৃষ্টিভঙ্গি প্রতিষ্ঠা করতে যায় তখনই অন্যের দৃষ্টিভঙ্গিকে চ্যালেঞ্জ করা হয় এবং তা সংঘর্ষের পর্যায়ে চলে যায়। দৃষ্টিভঙ্গিকে ‘সত্য’ মনে করার কারণে সাধুও শয়তান হয়ে যায়।
প্রত্যেকেই তার বিকাশস্তর অনুযায়ী ভালো-মন্দের সিদ্ধান্ত নেয়। ভালোকে মন্দ বানায়; মন্দকে ভালো বানায় মানুষেরই দৃষ্টিভঙ্গি। মন্দরা সক্রেটিসের মধ্যে ভালো দেখতে পায়নি। যে যেমন, তেমনই হয় তার বিচার। সমস্যা হলো, যখনই কেউ নিজের দৃষ্টিভঙ্গি প্রতিষ্ঠা করতে যায় তখনই অন্যের দৃষ্টিভঙ্গিকে চ্যালেঞ্জ করা হয় এবং তা সংঘর্ষের পর্যায়ে চলে যায়। দৃষ্টিভঙ্গিকে ‘সত্য’ মনে করার কারণে সাধুও শয়তান হয়ে যায়।
সোহাগ জাকির : অনলাইন এক্টিভিস্ট
ক্যাটাগরি: মিনি কলাম
[sharethis-inline-buttons]