উগান্ডায় চলছে এখন চরম অরাজকতা। জাতীয় ঐক্যের নামে মঞ্চস্থ হচ্ছে ধারাবাহিক নাটক। উন্নয়নের নামে হচ্ছে কোটি জনগণকে প্রকাশ্য দিবালোকে গলাটিপে কিংবা ব্রাশফায়ারে হত্যা। বিচারের নামে প্রহসন। আইন-আদালত গোল্লায়। খেলা সব মাঠের বাইরে।
উগান্ডা থেকে : উগান্ডায় (একটি কল্পরাজ্য) কথিত সংসদ নির্বাচন যতই এগিয়ে আসছে, শুয়োরের খোয়ারে ঢোকার প্রতিযোগিতা লোকজনের মধ্যে ততই তীব্র থেকে তীব্রতর হচ্ছে। এক্ষেত্রে ধর্মীয় রাজনীতি কিংবা অধর্মীয় রাজনীতির কোনো বাছ-বিচার নেই। ক্ষমতার কথা শুনলে সবাই ‘খাড়ায়া’ যায়, সবাই ক্ষমতার স্বাদ নিতে চায়। ক্ষমতায় যাওয়ার পদ্ধতি কতটা সঠিক, কথিত নির্বাচনের নামে গরিব-দুঃখী মানুষের কী পরিমাণ টাকা অপচয় ও লুটপাট করা হয় সে প্রশ্ন কেউ তোলে না। বরং ক্ষমতার প্রশ্নে শুধু বামদল-রামদল নয়, কথিত ইসলামি দলগুলোও একাকার। বরং এরা আরো কয়েক ধাপ এগিয়ে। যে কোনো মূল্যে এরা ক্ষমতায় যেতে চায়। ক্ষমতায় গিয়ে তাদের নিজ নিজ মনগড়ামতো ধর্ম ‘প্রতিষ্ঠিত’ করতে চায়।
উগান্ডায় নির্বাচনকালীন সরকার, নির্বাচনী ব্যবস্থা, নির্বাচন কমিশনের যোগ্যতা ও নিরপেক্ষতা নিয়ে দীর্ঘদিন ধরেই প্রশ্ন ও বিতর্ক চলে আসছে। কিন্তু ক্ষমতায় যেতে মরিয়া দলগুলোর এদিকে কোনো নজর নেই। যে যতটুকু আওয়াজ তোলে, তা ক্ষমতায় যাওয়ার স্বার্থেই, আবার কারো চুপ থাকাও ক্ষমতার জন্যই। অর্থাৎ প্রায় সবগুলো দলই ক্ষমতাসীন সরকারের জোটে যেতে আগ্রহী। সে টিকেট পেয়ে গেলে তারা চুপ, বরং সরকারের পক্ষে সাফাই। কিন্তু সরকারি জোটে ভিড়তে না পারলে সরকার পরিবর্তনের ফাঁকা আওয়াজ।
উগান্ডায় চলছে এখন চরম অরাজকতা। জাতীয় ঐক্যের নামে মঞ্চস্থ হচ্ছে ধারাবাহিক নাটক। উন্নয়নের নামে হচ্ছে কোটি জনগণকে প্রকাশ্য দিবালোকে গলাটিপে কিংবা ব্রাশফায়ারে হত্যা। বিচারের নামে প্রহসন। আইন-আদালত গোল্লায়। খেলা সব মাঠের বাইরে। আর এদিকে এক সময়ের বিরোধী দল খ্যাতরা জেলে থেকে জেলে গিয়ে ‘ওম’ নিচ্ছে। আর উগান্ডার প্রায় সমস্ত বুদ্ধিবেশ্যারা সেখানকার প্রধান কয়েকটি দলের দালাল হিসেবে নিজেদের বিভক্ত করে রেখেছে। কারণ যুগ যুগ ধরে তারা দালালী করেই বুদ্ধিব্যবসায় শাইন করেছে। তারা ‘দল ও ‘দালালী’ ছাড়া দ্বিতীয় কোনো শিক্ষা পায়নি।
ক্যাটাগরি: প্রধান খবর
[sharethis-inline-buttons]