শনিবার ভোর ৫:৩৫, ৯ই অগ্রহায়ণ, ১৪৩১ বঙ্গাব্দ. ২২শে নভেম্বর, ২০২৪ ইং

একজন মাহাথিরের অপেক্ষায় বাংলাদেশ

৯৪৬ বার পড়া হয়েছে
মন্তব্য ০ টি

আধুনিক মালয়েশিয়ার স্বপ্নদ্রষ্ট্রা দাতোক ড. মাহাথির মোহাম্মদ ৯২ বছর বয়সে দেশের অতি দুর্বল বিরোধী দলকে সংগঠিত করে ১২০ টি আসন পেয়ে প্রধানমন্ত্রীর আসনে পুনঃপ্রতিষ্ঠিত হয়েছেন। মাথিরের এ বিজয় তৃতীয় বিশ্বে  তথা  মুসলিম  বিশ্বে আলোরন সৃষ্টি করেছে। এ ছাড়াও  তার এ বিজয় বিস্ময়কর তো বটেই, পৃথিবীর রাজনৈতিক ইতিহাসে গণতান্ত্রিক পদ্ধতিতে এটি শুধু অভূতপূর্ব, অবিস্মরণীয় ও অসাধারণই নয়, অদ্ধিতীয়ও বটে। মালয়েশিয়ার প্রান্তিক মানুষের কাছে তিনি নির্ভীক, সৎ ও সত্যাশ্রয়ী হিসেবে  সুপ্রতিষ্ঠিত। দীর্ঘ দিন ক্ষমতায় থাকার পরও তার বিরুদ্ধে দুনির্তী কেনো অভিযোগ আজ পযন্র্ত কেউ আনতে পারে নি!

বাংলাদেশে তার বিজয়ে নানারকম প্রতিবেদন ও প্রতিক্রিয়া আসছে। মূলত সবাই এ বিজয়টির কারন হিসেবে ‘নাজিব রাজাকের’ সীমাহীন দুর্নীতি ও স্বজনপ্রীতিকেই দায়ী করেছেন। ঘটনাটি সত্য বিধায় কোনোমতেই ভিন্নমত পোষণ করার অবকাশ নেই। তবুও এ কথাটি অস্বীকার করার উপায় নেই যে, ১২০টি আসনে বিজয়ী হওয়ার পেছনে দুর্বল বিরোধী দলকে ঢেলে সাজানো এবং প্রার্থী বাছাই করা শুধু অচিন্ত্যনীয় ব্যাপারই নয়,মাহাথির মোহাম্মদের কল্পনাতীত সাংগঠনিক শক্তি ও দূরদর্শিতার পরিচয় বহন করে। তা  সত্যেও তার শারীরিক শক্তি ও মনোবল এবং চিওের প্রত্যয়দৃঢ়তা যে কতখানি তা কল্পনা করও কঠিন। এখানে ছোট্ট করে একটি গল্প উল্লেখ করে রাখি-১৯৯৩ সালে এপ্রিলের শেষের দিকে আমি মালয়েশিয়ায় ঘুড়তে গিয়ে ছিলাম;অবস্থান কিেছলাম প্রায় এক বৎসর। এই সময় একাধিকবার তাকে বিভিন্ন রাষ্ট্রীয় ও সামাজিক অনুষ্ঠানে সারাসরি দেখেছি ও গুরুত্বপূর্ণ বক্তব্য শোনেছি। তখন লোকমুখে একটি কথা ব্যাপক ভাবে প্রচলন ছিল যে, মাহাথির মোহাম্মদের পিতামহ বাংলাদেশের ‘চট্রগ্রাম জেলা’ থেকে মালয়েশিয়ায় হিজরত করেছেন।এ জন্যে প্রবাসী বাংলাদেশীরা আজও গর্ববোধ করেন।

উন্নযন দর্শন ছাড়াও ভুল  স্বীকার, ক্ষমা প্রর্দশন, আপসরফা এবং শক্রকে মিত্র হিসেবে মেনে নেওয়ার মতো কয়েকটি বিষয় মাহাথিরের কাছ থেকে শেখার আছে বাংরাদেশের।তবে এত দিন যারা বলে আসছিলেন যে, মাহাথিরও উন্নয়নের গণতন্ত্রে বিশ্বাসী, সদাশয় স্বৈরাচার এবং বিরোধীদলীয় মতামত কম গ্রাহ্য করছেন, তবে এবারে অনান্য পর্বে তাকে সেই অভিধায় ফেলা যাবে না। এই পর্বের মাহাথির বাংলাদেশের জন্য বেশি প্রসঙ্গিক।

মহাথির মোহাম্মদ শুধু দুনীর্তির বিরুদ্ধে কথা বলেননি। মালয়েশিয়ার নাজিব রাজাকের সরকার ছিল আপাদমস্তক দুর্নীতিগ্রস্ত।এর বিরুদ্ধে প্রতিবাদে জ্বলে ওঠা মাহাথির মোহাম্মদ শুধু বুলি কপচাতেন না, তিনি ছিলেন প্রত্যয়দৃঢ়, অকুতোভয়,সৎ ও সাহসী হিসেবে মালয়েশিয়ানদের হৃদয়ের সিংহাসনে অধিষ্ঠিত মুকুটহীন  সম্রা্টে। ক্ষমতাসিন প্রধানমন্ত্রী তারই একসময়ের  প্রিয় শিষ্য মাহাথিরের পৃষ্ঠপোষকতায়ই ক্ষমতায় আরোহণ করতে সক্ষম হন। আধুনিক মালয়েশিয়ার জনক মাহাথির মোহাম্মদ টানা ২২ বছর দেশটিতে ক্ষমতাসীন ছিলেন। তিনি যে রাজনৈতিক দলের মাধ্যমে ক্ষমতাসনি ছিলেন, সেই দলটি টানা দীর্ঘ ৬০ বছর দেশটির ক্ষমায় থেকে বিশ্বে দৃষ্টান্ত স্থাপন করে ।

এখানে উল্লেখ্যযে, আজ থেকে প্রায় ২০ বছর আগে মহাথির মোহাম্মদ যখন মালয়েশিয়ার প্রধানমন্ত্রী ছিলেন তখন তার উপ-প্রধান্ত্রী আনোয়ার ইব্রাহিমকে বিভিন্ন অপরাধে, বিশেষ করে দুনর্িিত ও স্বজনপ্রীতির দায়ে তিনি কারারুদ্ধ করেন। তার নির্বাচনী প্রতিশ্রুতি ছিল, ক্ষমতায় এসে যত শিগগিরই সম্ভব রাষ্ট্রীয় সাধারণ ক্ষমার আওতায়  এনে তিনি আনোয়ার ইব্রাহিমের দন্ড মওকুফ তো করবেনই,রাষ্ট্রীয় ক্ষমা ঘোষনার আনুষ্ঠানিকতা সম্পন্নের পর প্রায় দুই বছর ক্ষমতায় থেকে আনোয়ার ইব্রাহিমকে প্রধানমন্ত্রীর আসনে অধিষ্ঠিত করবেন। আনোয়ার ইব্রাহিমের স্ত্রী ওয়ান আজিজাহর  সযত্নে লালিত সংগঠনটির মাধ্যমেই এ লড়াইয়ে তিনি বিজয়ী হয়েছেন। তার এ বিজয় র্দুনীতিগ্রস্ত নাজিব রাজাকের পরাজয় যেমন নিশ্চিত করেছে, তেমনি আনোয়ার ইব্রাহিমের প্রধানমন্ত্রী পদে অধিষ্ঠিত হওয়ার সুযোগ সৃষ্টি করেছে। বিষয়টি সত্যিই চমৎকার । ২০ বছর আগে র্দুনীতির দায়ে যাকে কারারুদ্ধ করলেন, তাকেই ক্ষমতাসীন করার জন্য এ নির্বাচনী তাকে অবতীর্ণ হতে হলো। আনোয়ার ইব্রাহিমকে কারারুদ্ধ করার পর নাজিব রাজাকে

ক্ষমতায় বসানো হলে দুর্নীতি তো কমেই,বরং বিশাল আকার ধারন করে। মাহাথির মোহাম্মদ মরুভূমির নিষ্কলুষ সূর্যরশ্মির মতো স্বচ্ছ ও সাবললি একটি সত্তা। তাই তার হৃদয়ে একটা অদ্ভুতপ্রতিক্রিয়ার জন্ম নেয়। তার হয়তো মনে হয়েছে , আনোয়ার ইব্রাহিম ২০ বছর কারাভোগ করে পাপের চাইতে বেশি শাস্তি ভোগ করেছেন; তার প্রায়শ্চিত্ত হয়ে গেছে।এখন ক্ষমতাসনি হলে তিনি নিশ্চয়ই শুচিশুদ্ধ মন নিয়ে দেশ শাসন করবেন।ভবিষ্যতের প্রদানমন্ত্রী আনোয়ার ইব্রাহিমও এ বিশ্বাসকে লালন করেই র্দুনীতি-বিমুক্ত শুচিশুদ্ধ মন নিয়ে মালয়েশিয়াকে সুচারুরূ পরিচালনা করবেন-এটি আশা করা যায়। মালয়েশিয়ার রাজনৈতিক ইতিহাসে নির্বাচনে কখনোই কোনো ব্যাপক ধরনে কারচুপি হয় নি;এমনকি নাজিব রাজাক সরকারও করেনি।তবে র্দুনীতির দায়ে অভিযুক্ত সাবেক এই প্রধানমন্ত্রীর র্দুসময়ে রাষ্ট্রের পুলিশ বাহীনিও তার কোনো সাহায্যে এগিয়ে আসছে না;যেই পুলিশবাহিনী তার হুকুমে চলতো, সেই পুলিশবাহিনীই তাকে গ্রেফতার করেছে। মহাথিরের নির্বাচনী অঙ্গীকরের অংশ হিসেবে নাজিবের বিরুদ্ধে পুলিশ বাহিনী তদন্ত শুরু করেছে। তাকে জামিন না দেওয়ার ব্যাপারে আদালতের ওপর সরকার কোনো চাপ সৃষ্টি করেনি। বরং অ্যাটর্নি জেনারেল তার জামিনের অনুকূলে সমর্থন দিয়েছেন। এটাই আইনের শাসনের কথা,যা আমাদেরদেশে অনুসরন করা হয় না। ফলে আইনের শাসনের ধারনাটি সম্পূর্ণভাবে ঝুঁকির মুখে রয়েছে।

কারও বিরুদ্ধে দুর্নীতির মামলা শুরু হলে তাকে অপরাধী হিসেবে দেখা ঠিক নয়।আদালতের বিচারে দোষী সাব্যস্ত না হওয়া পযর্ন্ত একজন অভিযুক্তকে নির্দোষ হিসেবে দেখতে হবে। অ্যাটর্নি জেনারেল আদালতের প্রধান আইন কর্মকর্তা। সরকারের চাকুরি জীবি নন। আমাদের এখানে রাজনীতির নামে চলছে মোসাহেবি এবং দুর্নীতি।

মাহাথির মোহাম্মদ বিশ্বের নন্দিত রাজনীতিবিদদের একজন। তাকে সফল রাষ্ট্রনায়ক বলে বিবেচনা করা হয়। বিশেষ করে মুসলিম বিশ্বে গনতন্ত্রের অনুশীলন ও অনুকরণ নিয়ে পাশ্চাত্যে যখন নেতিবাচক ধারণা তখন মালয়েশিয়ায় একটি  উজ্জবল উদাহরনণ। মহাথির মোম্মদের ভাষায়,‘বর্তমান উন্নয়শীল বিশ্বে সর্বাধিক উন্নত দেশগুলোর মধ্যে একটি মালয়েশিয়া।সে আন্তর্জাতিক ক্ষেত্রে তাৎপর্যপুর্ণ ’ভূমিকা পালন করে,বিশেষ করে আলোকপাত করে দরিদ্র দেশগুলোর বিরুদ্ধে ধনী দেশগুলোর অন্যায়-অবিচারের উপর।ইসলামি দেশগুলোর মধ্যে মালয়েশিয়াই সবচেয়ে বেশি সোচ্চার’। আন্তর্জাতিক ক্ষেত্রে তার ভূমিকার সাথে সথে নিজ দেশেও দারিদ্রনিপীড়ন ও অনাচারের বিরুদ্ধে রয়েছে তার অব্যাহত সংগ্রাম। পাশ্চাত্য তাকে কখনো কখনো বিরূপ ব্যক্তি,বর্ণবাদী,দাম্ভিক ও ইহুদি বিরোধী হিসেবে বর্ণনা করেছেন।কিন্তু আন্তর্জাতিক বিশ্লেষকরা তাকে‘তৃতীয় বিশ্বের ও প্রকৃত ইসলামের প্রেরনাদায়ক,সৎ, সাহসী এবংস্পষ্টভাসী’হিসেবে সব সময় মনে করেন।মহাথির মোহাম্মদ তার শাসনের প্রতিটি বাঁকে বাঁকে সৃজনশীলভাবে ইসলাম ও আধুনিকতার সংমিশ্রনে নতুন এক মূল্যবোধ ও শাসনব্যবস্থা গড়ে তুলেছেন।তৃতীয় বিশ্ব তাকে দেখে একজন সফল স্বপ্নদ্রষ্টা হিসেবে।একথা নিসন্দেহে বলা যায় যে,তিনিই সেই দুর্লভ নেতা যিনি তৃতীয় বিশ্বের প্রতিটি মানুষকে মাথা উচুঁ করে দাঁড়ানোর প্রেরনা জুগিয়েছেন।মহাথির মোহাম্মদ বাংলাদেশের কোটি কোটি মানুষের কাছে প্রেরণার অফুরন্ত উৎস।

ডাঃ মহাথির কতৃর্ক‘ মালয়েশিয়ায় গণতন্ত্রের পুনঃপ্রতিষ্ঠার সংগ্রাম’ এ দেশে যারা গণতন্ত্রের জন্য নিরন্তর আন্দোলন করছেন,তাদের কাছে এটি একটি রোলমডেল বলে অব্যশই বিবেচিত হবে। গোটা বিশ্বে যখন বিকারগ্রস্ত ব্যক্তিতন্ত্রের প্রবল প্রতাপ, তখন মালয়েশিয়ায় তার সম্মিলিত প্রচেষ্টার বিজয় এ দেশের গনতন্ত্রের আন্দোলন-সংগ্রামকে ত্বরান্বিত করবে।

বিগত নাজিব রাজাক সরকার মালয়েশিয়ার জনগনের মধ্যে ভাঙন ধরানোর আপ্রান চেষ্টা করেছে। চীনা ও ভারতীয় বংশোদ্ভ’তদের ব্যবহার করতে চেয়েছে গরিষ্ঠ মালয় জনগনের বিরুদ্ধে।অপর দিকে মহাথির মোহাম্মদ মালয় জনগনের স¦প্নের অভিন্ন রাষ্ট্র কাঠামোয় একত্রীভূ’ত করে জাতীয় ঐক্য নিশ্চিত করেছেন। বিভিন্ন ভাষাভাষী ও ধর্ম অনুসারীদের সম্বয়ে গঠিত জাতীয় ঐক্যের নীতি মহাথিরের বিজয়কে অনেক দূর এগিয়ে নিয়ে গেছে।মহাথির মোহাম্মদের সাথে একীভূত হয়েছে নিপীড়নবিরোধী জনগণ।তিনি নির্বাচনী ইস্তেহারে ঘোষনা করেছেন-চাঁদাবাজি বন্ধ করবেন, দুর্নীতির লাগাম টেনে ধরবেন এবং বন্ধ হওয়া ছাত্র ঋন পুনরায় চালু করবেন। বিদেশী বিনিয়োগে দুর্নীতির অবসান ঘটাবেন। বন্ধুত্বের নামে যেসব অসমচুক্তি ও বিনিয়োগ হয়েছে ,সেই গুলোতে স্বচ্ছতা আনবেন;প্রয়োজনে তদন্ত করে যথার্থ সিদ্ধান্ত নিবেন। নাজিব রাজাক সরকারের সময় ভিন্ন মত প্রকাশের স্বাধীনতা সীমিত হওয়ায় মহাথিরের জন্য জনগনের পক্ষে কথা বলা কঠিন হয়ে পড়েছিল।এই অবস্থায় তিনি একপর্যায়ে নিবার্চনী প্রচারনা স্থগিত করে দেন।অতঃপর তিনি আইনি প্রক্রিয়া ও গন-আন্দোলনের মাধ্যমে এসবের মোকাবেলা করেন।

সমগ্র মালয়েশিয়ার আয়তন বাংলাদেশ থেকে দেড় গুন বড় এবং লোকসংখ্যা বর্তমানে প্রায় তিন কোটি। ফলে মালয়েশিয়ার দক্ষ জনগোষ্ঠী তো বটেই, সাধারণ মানুষেরও কর্মসংস্থান হলো দ্রুগতিতে।শিল্প-কারখানা,বৃহৎ বৃহৎ অট্টালিকা,সুপ্রশস্ত নির্ভরযোগ্য বিস্তীর্ণ রাস্তা বিনিমার্ণে সরগম হয়ে উঠল গোটা দেশটি। বাংলাদেশ থেকেও প্রচুর শ্রমিকের কর্মসংস্থান হলো মালয়েশিয়ায়। তাদের বনজ সম্পদকে প্রায় অক্ষত রেখেই আধুনিক মালয়েশিয়া হিমালয় পর্বতের মতো মাথা উচু করে দাড়াতে সক্ষম হলো একটিমাত্র মানুষের সততা ও সদিচ্ছার ওপর ভিত্তি করে;আর সেই মানুষটি হলো আধুনিক মালয়েশিয়ার স্বপ্নদ্রষ্ট্রা দাতোক ডাঃ মহাথির মোহাম্মদ।

বাংলাদেশের অর্থনীতি আজ বিপর্যস্ত। আর্থিক কোষাগার কেবলই নিচের দিকে নেমে আসছে। দুর্নীতির বিস্তার আজ যেন অপ্রতিরোধ।মূল্যবোধের অবক্ষয় ও শিক্ষা-সংস্কৃতির দেউলিয়াত্বে জাতি আজ নিপতিত।কিন্তু শোষন-নির্যাতনের বিরুদ্ধে সংগ্রাম করার রাজনৈতিক ইতিহাস আমাদের রয়েছে। আর্ন্তজাতিক মানের ত্যাগী নেতাদের উত্তরাধিকার আমরা বহন করে চলেছি, যারা আমাদের আইনের শাসন ও গণতন্ত্রের পথে চলতে শিখিয়ে গেছেন।কিন্তু পরিতাপের বিষয়-সামরাজ্যবাদের গভীর ষরযন্ত্রের কারনে আমাদের দেশের নেতৃত্ব নতুন প্রজন্মকে মেধাহীন জড়পদার্থে দলীয় অনুগত বাহিনীতে পরিণত করার এক ভয়াবহ আত্মঘাতী খেলায় উন্মত্ত; এই ভয়াবহ অবস্থা থেকে আমাদেরকে অবশ্যই বেরিয়ে আসতে হবে। তাই আমাদের দেশেও একজন মহাথির মোহাম্মদ খুবই প্রয়োজন।সেই মহাথির মোহাম্মদকে  হৃদয়-মন  উজার করে ফুল মাল্য সমেত বরণ  করার জন্য বরণ ডালা নিয়ে প্রতীক্ষায়  রইলাম।

আমাদের দেশের আপামর জনগণ দৃঢ় ভাবে বিশ্বাস করে এককভাবে হোক অথবা সমষ্টিগতভাবে হোক এ মুহূর্তে একজন মহাথির মোহাম্মদদের আগমন,আবির্ভাব ও প্রকাশ অনিবার্য। ১৬ কোটি মানুষের এই দেশ সে প্রতীক্ষার প্রহর গুনছে। আমার দৃঢ় বিশ্বাস প্রান্তিক জনগণের এই আশা পূর্ণ হবে।

Some text

ক্যাটাগরি: চিন্তা, মতামত, স্মৃতিচারণ

[sharethis-inline-buttons]

Leave a Reply

আমি প্রবাসী অ্যাপস দিয়ে ভ্যাকসিন…

লঞ্চে যৌন হয়রানি