আওয়ামী সরকারের সাবেক মন্ত্রী ও বামপন্থী কথিত নেতা রাশেদ খান মেনন তার ক্যাসিনো সম্পৃক্ততার কারণে যে কোনো মুহূর্তেই হতে পারেন গ্রেফতার। সরকারের উচ্চপর্যায় থেকে এমনই আভাস পাওয়া যাচ্ছে। তবে গত ১৯ অক্টোবর জাতীয় একাদশ নির্বাচন নিয়ে এক বেফাঁস মন্তব্য করলে সরকার কিছুটা বিপাকে পড়ে। ধারণা করা হচ্ছে, মূলত গ্রেফতার এড়াতেই তিনি সরকারের কিছু ভেতরের খবর প্রকাশ করেন। অবশ্য এরপরও তিনি গ্রেফতার এড়াতে পারবেন বলে মনে হচ্ছে না। কারণ ইতোমধ্যেই তার ক্যাসিনো সম্পৃক্ততার যথেষ্ট প্রমাণ সরকার হাতে পেয়েছে বলে জানা যায়।
এদিকে রাশেদ খান মেননের নিজ দলও তার সে বক্তব্যের দায় নিচ্ছে না। ফলে চৌদ্দদল থেকেও তিনি বহিষ্কার হতে পারেন। সবমিলিয়ে তার গ্রেফতারের আশঙ্কা দিন দিন জোরালো হচ্ছে। অন্যদিকে তিনি ক্যাসিনো সম্পৃক্ততায় গ্রেফতার এড়াতে বারবারই তার অবস্থান পরিবর্তন করছেন, সে বক্তব্যের জন্য ভুল স্বীকার করছেন এবং সরকারের সঙ্গে সমঝোতার দেনদরবার চালিয়ে যাচ্ছেন। তাছাড়া তার ক্যাসিনো সম্পৃক্ততার খবর এখন জনগণেরও মুখে মুখে। সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমগুলোতে চলছে তোলপাড়, চলছে সমালোচনার ঝড়।
উল্লেখ্য, প্রায় পঞ্চাশ বছর ধরে বাংলাদেশের ‘প্রথম সারি’র জাতীয় কয়েকটা দৈনিকে নীতি-নৈতিকতার উপদেশ বর্ষণ আর ক্ষমতাসীন সরকারের প্রবল সমালোচনা করে কলাম লিখে আসা ‘আদর্শবান’ ব্যক্তিটি সামান্য সময়ের ক্ষমতা পেয়েই কীভাবে ‘ডিজিটাল জোয়ার ব্যবসায়’ নেমে পড়লেন তা অধিকাংশ জনগণই এখনো বোঝে উঠতে পারছেন না। তবে সমাজবিশেষজ্ঞদের মতে, এ জাতীয় ফাঁকা আদর্শবাদীদের ভেতরগত চরিত্রটা প্রকৃতপক্ষে সবসময়ই এমন, যদিও সাধারণ জনগণ তা বুঝেন না। কারণ সাধারণ জনগণের সামনে তারা একটা শিক্ষিত মুখোশ পড়ে থাকেন।
ক্যাটাগরি: প্রধান খবর, শীর্ষ তিন
[sharethis-inline-buttons]