শনিবার রাত ৯:১৪, ৯ই অগ্রহায়ণ, ১৪৩১ বঙ্গাব্দ. ২৩শে নভেম্বর, ২০২৪ ইং

ইজ্জতওয়ালা ‘আলেম’ ও মেয়ে-সমাজ

জাকির মাহদিন

আমাদের হুজুররা কত ‘কৌশলী’! তারা আল্লাহর সাথেও কৌশল করেন। জাকাতের টাকা ‘কৌশল’ করে নিলে তাদের ইজ্জত যায় না, ইজ্জত যায় বৈধভাবে সরাসরি খেলে।

এক. মাদরাসায় চাকরি করা অনেক হুজুরের আর্থিক অবস্থা খুবই খারাপ। জাকাত খাওয়া তার জন্য বৈধ। মাদরাসায় জাকাত নেয়াও হয় প্রচুর। কিন্তু সেই জাকাতের টাকা সেসব হুজুর সরাসরি না খেয়ে (যা আল্লাহ হালাল করেছেন) খান অন্যভাবে, গরিব ছাত্রদের দিয়ে তাদের কাছ থেকে আবার মাদরাসায় দান হিসেবে তাৎক্ষণিক (খুবই জঘন্য কাজ) নিয়ে নেওয়া হয়। তারপর বেতন হিসেবে (যা খাওয়ার প্রশ্নে মতানৈক্য আছে) সেসব জাকাতের টাকায় উদরপুর্তি করা হয়। আমাদের হুজুররা কত ‘কৌশলী’! তারা আল্লাহর সাথেও কৌশল করেন। জাকাতের টাকা ‘কৌশল’ করে নিলে তাদের ইজ্জত যায় না, ইজ্জত যায় বৈধভাবে সরাসরি খেলে।

দুই. আমাদের সমাজে অনেক তালাকপ্রাপ্তা ও বয়স্ক অবিবাহিতা মেয়ে আছে, যারা চাইলে বৈধভাবে কোনো ছেলেকে গ্রহণ করে বৈধভাবেই কথাবার্তা ও মেলামেশা করতে পারে। এটা আল্লাহ হালাল করেছেন। এমন কিছু ছেলেও আছে যারা বৈধভাবে তেমন মেয়েদের গ্রহণ করতে প্রস্তুত। কিন্তু সেসব মেয়েরা বৈধপথে না গিয়ে, বৈধ প্রস্তাব ফিরিয়ে দিয়ে অবৈধভাবে বিভিন্ন ছেলের সঙ্গে মেলামেশা করেন। এতে তাদের ইজ্জত যায় না। ইজ্জত যায় কেবল তার থেকে বয়সে ছোট বা সামাজিক মর্যাদা কম- এমন ছেলেকে বৈধভাবে গ্রহণ করলে। এসব মেয়ে কিন্তু আবার প্রচণ্ড ধার্মিকও। কথা-বার্তায় অনেক ভালো মানুষ। কেউ কেউ বিপ্লবীও! সমাজ-জাতির ইতিবাচক পরিবর্তন চান। কিন্তু নিজে কোনো কষ্ট করতে বা কাউকে ছাড় দিতে রাজি নন।

ক্যাটাগরি: মিনি কলাম,  সম্পাদকের বাছাই

ট্যাগ:

[sharethis-inline-buttons]

Leave a Reply