শনিবার রাত ৮:৫০, ৯ই অগ্রহায়ণ, ১৪৩১ বঙ্গাব্দ. ২৩শে নভেম্বর, ২০২৪ ইং

দেশি মেয়ের ওয়েস্টার্ন পোশাক!

সাবরিন সাকেমো

তথাকথিত মেম না সাজালে যেন তারা অফিস-আদালতে বেমানান। আর আমাদের মেয়েরা হল মোমের পুতুল। তাদের নিজস্ব কোনো আত্মমর্যাদা নাই। আমরা পড়ে আছি এখনো সেই মধ্যযুগে।

একটা জিনিষ আমার কখনোই বোধগম্য হয় না। যদি আপনি সংবাদপত্র কিছুদিন ঘাঁটাঘঁটি করেন, টেলিভিশন দেখেন, অথবা বিলবোর্ডের দিকে মনযোগ দিয়ে তাকান, দেখতে পাবেন সেখানে যখনই কর্পোরেট কোনো মেয়েকে তুলে ধরা হচ্ছে, তাকে ওয়েস্টার্ন পোশাক পরানো হচ্ছে।

আপনি যদি কোনো চ্যানেলে বাণিজ্য সংবাদ দেখেন, দেখবেন একটা মেয়ে শার্ট পরে, মুখে পাওডার লাগিয়ে ঠোঁট বাঁকিয়ে বাঁকিয়ে বলছে “চীন- যুক্তরাষ্ট্রের মধ্যে যে বাণিজ্য যুদ্ধ চলছে তাতে ক্ষতিগ্রস্থ হচ্ছে ……”

ইউরোপ-আমেরিকার মেয়েরা সাধারণত এমন পোশাকে অফিসে যায়। শুধু যে তারা অফিসে যায় বিষয়টা এমন নয়। তারা অফিস-আদালত-বাড়ি-বাজার সব জায়গাই এই পোশাক পরে যায়। সেই পোশাক ভাল না খারাপ সেই বিতর্কে আমি যেতে চাই না। কিন্তু আমাদের দেশের মেয়েরা সাধারণত সালোয়ার-কামিজ, শাড়ি পরে থাকে। সালোয়ার-কামিজ, শাড়ী কি স্মার্টনেসের প্রতীক হতে পারে না? যে স্মার্ট হবার জন্য আমাকে অন্যদেশের পোশাক পরিধান করতে হবে?

বাঙালি মেয়েরা সাধারণত শাড়ি, সালোয়ার-কামিজ পরে শুধু বাড়ির কাজে থাকত একসময়। তাদেরকে বাড়িতে দেখতেই আমাদের সমাজ সাচ্ছন্দ্যবোধ করে। তাই যখন তারা এই সালোয়ার–কামিজ বা শাড়ি পরে অফিসে যায়, আমাদের নীচু সমাজ তবু তা সম্মান করতে পারে না। তাদের তথাকথিত মেম না সাজালে যেন তারা অফিস-আদালতে বেমানান। আর আমাদের মেয়েরা হল মোমের পুতুল। তাদের নিজস্ব কোন আত্মমর্যাদা নাই। আমরা পরে আছি এখনো মধ্য যুগে।

ক্যাটাগরি: নারী,  মিনি কলাম,  সম্পাদকের বাছাই

ট্যাগ:

[sharethis-inline-buttons]

Leave a Reply