সকালে ফজর নামাজের পর নারায়ণগঞ্জ থেকে বাসে উঠেছি কমলাপুরের উদ্দেশ্যে। বৃহস্পতিবার হওয়ায় রাস্তায় প্রচণ্ড জ্যাম। ভয়ে ছিলাম, ঠিক টাইমে পৌঁছতে পারবো কি না!
জ্যাম থাকায় সময় বেশি লেগেছে, তবে আল্লাহর রহমতে পৌঁছেছি টিক টাইমেই।
কমলাপুর এসেই এক মহিলা কাউন্টারকে জিজ্ঞেস করলাম, তিতাসের টিকেট পাওয়া যাবে? হাতে ইশারা দিয়ে দেখিয়ে দিলেন- পুব দিকে যান।
গেলাম পুব দিকে। জানতে পারলাম, এখানেও না, টিকেট দেয়া হচ্ছে স্টেশনের বাইরে। এতদিন যেখানে দেয়া হতো সেখানে না, মূল প্লাট ফরমের বাইরে।
লাইনে দাঁড়ালাম। প্রচণ্ড রোদ। মূল স্টেশনের বাইরে হওয়ায় রোদ ফিরানোর ব্যবস্থা নেই। তেমন ভিড় নেই। লোক সংখ্যা কম। টিকেট ছাড়েনি এখনো। সময় তখন প্রায় সাতটা চল্লিশ। কাউন্টার থেকে জানানো হলো- টিকেট ছাড়বে সাড়ে আটটায়। তার মানে- প্রায় এক ঘন্টা প্রচণ্ড রোদে দাঁড়িয়ে টিকেটের জন্য অপেক্ষা করতে হবে!
কিছুক্ষণ পর লাইনে দাঁড়ানো অনেকেই চিল্লচিল্লি শুরু করে দিলেন। এই রোদে দাঁড়িয়ে থাকা সম্ভব? আপনারা রোদ ফিরানোর ব্যবস্থা করলেন না কেনো? আগের জায়গায় তো ভালো ছিলো, এখানে আনলেন কেনো? সাড়ে আটটা বাজলেই টিকেট দিতে হবে? একটু আগে দিলে সমস্যা কী?- কর্তৃপক্ষকে উদ্দেশ্যে করে ইত্যাদি বলতে থাকলেন ক্ষুদ্ধ যাত্রীরা।
এসব কথাবার্তা শোনতে শোনতে আমার সিরিয়াল এলো। টাকা হাতে হাত বাড়ালাম। মনে মনে দোয়া করছিলাম, একটা সিট যেন পায়।
টিকেট দিলেন, দেখলাম, তাতে লেখা- ঝ-বগি- সিট নং পনের। আমি তৃপ্তির হাসি নিয়ে আস্তে আস্তে লাইন থেকে বেরিয়ে আসলাম।
জুনায়েদ আহমেদ: শিক্ষার্থী
Some text
ক্যাটাগরি: খবর, নাগরিক সাংবাদিকতা
[sharethis-inline-buttons]