শনিবার রাত ১২:৩৯, ৯ই অগ্রহায়ণ, ১৪৩১ বঙ্গাব্দ. ২২শে নভেম্বর, ২০২৪ ইং

ক্ষমা করিস প্রিয় উদয়

মনিরুল ইসলাম শ্রাবণ

ব্রাহ্মণবাড়িয়ার উদীয়মান আলোকিত তরুণ, রেফাতুল ইসলাম উদয় (অরেক নাম মোরশেদ)। সদা হাসি-খুশি, সদা চঞ্চল, বন্ধুসুলভ, ঘুরতে ভালোবাসা, ভালো কিছু করতে সদা চেষ্টা করা এক উদীয়মান যুবক।

প্রিয় উদয়, তোর সাথে আমার প্রায় ১২ বছরের সম্পর্ক। সুখ-দুঃখ, মান-অভিমান, হাঁসি-কান্নার একযুগ। বয়সে ছোট হয়েও তুই আমার ভাই, বন্ধু, সহকর্মী, সহযোদ্ধা ছিলে। তুই ছিলে আমার ছায়া। এক সময় ছায়ার মত অনুসরণ করে অনেকটা পথ চলেছিস আমারই সাথে। তারপর এগিয়ে গিয়েছিলে আমার চেয়েও বেশি। এতো অল্প সময়ে এতো স্মৃতি রেখে পরপারে পাড়ি দিলে? কী করে সেসব ভোলা যায়! তোর জন্য অনেক দোয়া। পরপারে ভালো থাকিস দোস্ত। আল্লাহ তোকে জান্নাত নসিব করুন, আমিন। জানি, বেহেস্তেই থাকবি তুই, কারণ তোকে কখনো কারো ক্ষতি করতে দেখিনি।

ব্রাহ্মণবাড়িয়ার উদীয়মান আলোকিত তরুণ, রেফাতুল ইসলাম উদয় (অরেক নাম মোরশেদ)। সদা হাসি-খুশি, সদা চঞ্চল, বন্ধুসুলভ, ঘুরতে ভালোবাসা, ভালো কিছু করতে সদা চেষ্টা করা এক উদীয়মান যুবক। একসময়ের ছাত্রলীগ কর্মী ও যুবলীগ কর্মী। কাজ করেছে স্থানীয় কয়েকটি সংবাদ মাধ্যমে। ব্রাহ্মণবাড়িয়া যুব রেড ক্রিসেন্টের সক্রিয় সদস্য ছিলো। ছিলো ন্যাশনাল চিলড্রেন ট্রাকফোর্স এন.সি.টি.এফ এর জেলা কমিটির সাবেক সহ-সভাপতি ও কেন্দ্রীয় কমিটির সাবেক সদস্য।

পাশাপাশি চলা, এক সাথে কাজ করার হাজারো স্মৃতি রেখে এই ভাইটি আমার সেদিন না ফেরার দেশে পাড়ি দিয়েছে। মোটর সাইকেল এক্সিডেন্টে মৃত্যুর মুখোমুখী থাকে প্রায় ১৬ ঘণ্টা। কি শান্ত্বনা দেব নিজেকে, কি শান্ত্বনা দেব ওর বাবা-মা ও ভাইদেরকে? কার সাধ্য আছে ওর স্ত্রীকে শান্ত্বনা দেয়ার?

শিশু সংগঠন ঝিলমিল এর প্রতিষ্ঠাকালীন থেকে এর সদস্য, সম্পাদক, পরিচালক ও নাট্যকর্মী হিসেবে কাজ করেছে। লেখাপড়া করেছে নিয়াজ মোহাম্মদ উচ্চ বিদ্যালয়, ব্রাহ্মণবাড়িয়া আইডিয়েল হাই একাডেমি ও ব্রাহ্মণবাড়িয়া উন্মুক্ত বিশ্ববিদ্যালয়ে। মৃত্যুর আগ পর্যন্ত একটি অনলাইন সংবাদ মাধ্যম, একটি হাসপাতাল ও ইন্সুরেন্স কম্পানিতে কাজ করত।

মনিরুল ইসলাম শ্রাবণ : উদয়ের বন্ধু

২০০৮ সালে শিশু সংগঠন ঝিলমিল প্রতিষ্ঠার আগে থেকে ওর সাথে আমার পরিচয়। ঝিলমিল প্রতিষ্ঠার পর থেকেই আমার সাথে সম্পৃক্ত। আমার সাথেই ঝিলমিলের পাশাপাশি যুব রেড ক্রিসেন্ট ও স্থানীয় সংবাদ মাধ্যমে কাজ করেছে। আমার সাথে ব্রাহ্মণবাড়িয়ার সাবেক মেয়র মহোদয়ের সহকর্মী হিসেবেও কাজ করেছে সে।

পাশাপাশি চলা, এক সাথে কাজ করার হাজারো স্মৃতি রেখে এই ভাইটি আমার সেদিন না ফেরার দেশে পাড়ি দিয়েছে। মোটর সাইকেল এক্সিডেন্টে মৃত্যুর মুখোমুখী থাকে প্রায় ১৬ ঘণ্টা। কি শান্ত্বনা দেব নিজেকে, কি শান্ত্বনা দেব ওর বাবা-মা ও ভাইদেরকে? কার সাধ্য আছে ওর স্ত্রীকে শান্ত্বনা দেয়ার? উদয়ের চার বছরের আদরের ছোট ছেলে, যে কি না এখনো বোঝে না বাবা হারানোর বেদনা। তাকে কী বলব, কী বলা যায়!

উদয়ের আত্মার মাগফেরাত কামনা করার জন্য সকলের কাছে দোয়া চাই। ওর সকল আত্মায়ী-স্বজনের জন্য দোয়া করবেন। ওর বাচ্চাটার জন্য দোয়া করবেন।

মনিরুল ইসলাম শ্রাবণ : প্রতিষ্ঠাতা পরিচালক,

ঝিলমিল শিশু-কিশোর একাডেমি

ক্যাটাগরি: মিনি কলাম

ট্যাগ:

[sharethis-inline-buttons]

Leave a Reply