শনিবার সন্ধ্যা ৭:২৯, ৭ই পৌষ, ১৪৩১ বঙ্গাব্দ. ২১শে ডিসেম্বর, ২০২৪ ইং

হিজরি (সন থেকে) ও বাংলা সন উদ্ভবের ইতিহাস

৬৪৫ বার পড়া হয়েছে
মন্তব্য ০ টি

আগামীকাল ১১ আগস্ট ২০২১ বুধবার হিজরি ১৪৪৩ বর্ষের প্রথম দিন। খোশ আমদেদ পয়লা মহররম। খোশ আমদেদ হিজরি নববর্ষ। হৃদয়ের সব উষ্ণতা দিয়ে তাকে গ্রহণ করি।

মানব সভ্যতার উন্মেষকাল থেকেই সময়, দিন, সপ্তাহ, পক্ষ, মাস, বছর প্রভূতি হিসাব নির্ণয় করার মননও সঞ্চারিত হয় এবং সেই মনন থেকে সূর্য পরিক্রমের হিসাবেরও যেমন উদ্ভব ঘটে, তেমনি চন্দ্র পরিক্রমেরও উদ্ভব ঘটে। সূর্য পরিক্রমের হিসাবে যে বছর গণনার পদ্ধতির উদ্ভব ঘটে তা সৌর সন নামে পরিচিত হয় আর চন্দ্রের পরিক্রমের হিসাবে উদ্ভাবিত সাল চান্দ্র সন নামে পরিচিত হয়।

হিজরিবর্ষ মূলত চান্দ্র বর্ষ, যা পবিত্র কোরআনে উল্লেখ আছে। এটি পৃথিবীতে বর্ষ গণনায় চাঁদনির্ভর একমাত্র বর্ষপঞ্জি এবং চাঁদ রাতে উদিত হয় বলে রাত দিয়ে তা শুরু হয়। আল্লাহ তাআলা বলেন, ‘লোকেরা আপনার কাছে নতুন চাঁদ সম্পর্কে প্রশ্ন করে। বলুন, এটা মানুষ এবং হজের জন্য সময়-নির্দেশক।’ (সুরা বাকারা, আয়াত : ১৮৯)

সূর্যের নিজ কক্ষপথে একবার ঘুরে আসতে লাগে প্রায় তিন শ’ পঁয়ষট্টি দিন পাঁচ ঘণ্টা আটচল্লিশ মিনিট ছেচল্লিশ সেকেন্ড। একে বলা হয় সৌর বর্ষের দৈর্ঘ্য। অন্যদিকে চন্দ্রকলার হ্রাস ও বৃদ্ধিতে সময় লাগে প্রায় ঊনত্রিশ দিন বারো ঘণ্টা, যে কারণে এক চান্দ্র বছর হতে সময় লাগে প্রায় তিন শ’ চুয়ান্না দিন আট ঘণ্টা আটচল্লিশ মিনিট।

ইসলাম সৌর ও চান্দ্র উভয় সনের গুরুত্ব দেয়। কুরআন মজীদে সূর্য ও চান্দ্র প্রসঙ্গ এনে ইরশাদ হয়েছে : সূর্য ও চন্দ্র আবর্তন করে নির্ধারিত কক্ষপথে (সূরা আর রহমান : আয়াত ৫), ‘তিনি (আল্লাহ্) তোমাদের কল্যাণে নিয়োজিত করেছেন সূর্য ও চন্দ্রকে, যা অবিরাম একই নিয়মে অনুবর্তী এবং তোমাদের কল্যাণে নিয়োজিত করেছেন রাত ও দিনকে। (সূরা ইব্রাহীম : আয়াত ৩৩)

আল্লাহ্ জাল্লা শানুহু আরও ইরশাদ করেন : আমি রাত ও দিনকে করেছি দু’টি নিদর্শন, রাতের নিদর্শনকে অপসারিত করেছি এবং দিনের নিদর্শনকে করেছি আলোকপ্রদ, যাতে তোমরা তোমাদের রবের অনুগ্রহ অনুসন্ধান করতে পারো এবং যাতে তোমার বর্ষসংখ্যা (সন) ও হিসাব নির্ণয় করতে পারো (সূরা বনী ইসরাঈল : আয়াত ১২)।

আল্লাহ তাআলা কুরআনুল কারিমে সুরা ইউনুসের ৫নং আয়াতে বলেন- ‘তিনিই সেই সত্তা যিনি সূর্যকে করেছেন দ্বীপ্তিমান তেজস্বী এবং চন্দ্রকে জ্যোতির্ময় আলোকোজ্জ্বল করেছেন। আর ওর (চন্দ্রের গতির) জন্য কক্ষ বা মানজিলসমূহ নির্ধারিত করেছেন। যাতে তোমরা বছরসমূহের সংখ্যা গণনা ও সময়ের হিসাব জানতে পার।’

হিজরি সন সূচনার ইতিহাস:
হিজরি সনের সঙ্গে জড়িয়ে আছে বিশ্বমানবতার মুক্তির দূত রাসূল সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লামের পুণ্যময় জন্মভূমি মক্কা ত্যাগ করে মদিনায় গমনের ঐতিহাসিক ঘটনা। প্রিয়নবি সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম আল্লাহর পক্ষ থেকে নবুওয়াত প্রাপ্তির পর সকল মানুষকে যখন একত্ববাদের (আল্লাহর পথে) দিকে আহবান করা শুরু করেন; যখন তাঁকে একত্ববাদের দাওয়াতের মিশন থেকে বিরত রাখা যাচ্ছিল না, তখন কাফের মুশরিকরা দারুন নাদওয়া বৈঠকে সে রাতেই তাঁর বাড়ি ঘেরাও করে তাঁর জীবনের পরিসমাপ্তি ঘটানোর চূড়ান্ত সিদ্ধান্ত গ্রহণ করে। মুশরিকদের ষড়যন্ত্রের ফলে আল্লাহর নির্দেশে সে রাতেই প্রিয়নবি মদিনায় হিজরত করলেন।

যখন থেকে হিজরি সন গণনা শুরু হয়:
তিনি ৬২২ খ্রিস্টাব্দের ১২ সেপ্টেম্বর মোতাবেক ২৭ সফর মক্কা মুকাররামা থেকে মদিনার উদ্দেশে হিজরত শুরু করেন। ২৩ সেপ্টেম্বর ৬২২ খ্রিস্টাব্দে মোতাবেক ৮ রবিউল আউয়াল মদির পাশ্ববর্তী স্থান কুবায় এসে পৌঁছেন। অবশেষে ২৭ সেপ্টেম্বর ৬২২ খ্রিস্টাব্দে মোতাবেক ১২ রবিউল আওয়াল মদিনা মুনাওয়ারায় পৌঁছেন প্রিয়নবি সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম। ১৪শ বছর ধরে  হিজরতেরই স্মৃতিবহন করে আসছে আরবি হিজরি সন।

➤বিদায় হজের দিন প্রিয়নবি সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম ঘোষণা করেন-‘হজরত আবু বকর রাদিয়াল্লাহু আনহু প্রিয়নবি সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম থেকে বর্ণনা করেন, তিনি বলেন, ‘আসমান-জমিন সৃষ্টির দিন যে বিন্যাসে আল্লাহ তাআলা মাহকালকে বিন্যাস্ত করেছিলেন আবার সে বিন্যাসেই তা ফিরে এসেছে। বারো মাসে এক বছর, এর মধ্যে চারটি মাস মহিমান্বিত।’ (মুসলিম)

হিজরি সনের পূর্ণতা লাভ:
রাষ্ট্রীয় কাজে সন তারিখ ব্যবহার না করায় হজরত ওমর রাদিয়াল্লাহু আনহুর খিলাফতের সময় রাষ্ট্র পরিচালনায় প্রশাসনিক জটিলতা দেখা দেয়। এ সমস্যা সমাধানকল্পে ১৭ হিজরির ১০ জমাদিউল আউয়াল হজরত আবু মুসা আশয়ারি খলিফাতুল মুসলিমিন হজরত ওমরের দৃষ্টি আকর্ষণ করেন। হজর ওমর সাহাবায়ে কেরামদের মজলিসে শুরায় সবার পরামর্শক্রমে প্রিয়নবি সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লামের হিজরতকে ভিত্তি করে হিজরি সন গণনার সিদ্ধান্ত নেন।

হিজরি সন কেন মহররম দিয়ে শুরু?
রাসুলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম যখন মদিনা মুনাওয়ারায় আসেন, তখন মাসটি ছিল রবিউল আওয়াল। আর হজরত ওমর রাদিয়াল্লাহু আনহু হিজরি সনের প্রথম মাস ধরেন মহররমকে। যদিও প্রিয়নবি সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম মদিনায় পৌঁছেন রবিউল আওয়াল মাসে। কিন্তু হিজরতের পরিকল্পনা হয়েছিল নবুওয়তের ১৩তম বর্ষের হজের মৌসুমে। সময়টি ছিল মদিনার আনসারি সাহাবাদের সঙ্গে আকাবার দ্বিতীয় শপথ সংঘটিত হওয়ার পর। তখন ছিল জিলহজ মাস। আর তার পরের মাসই হলো মহররম।

প্রিয়নবির হিজরতের আগে মক্কার মুসলমানদের মধ্য থেকে হিজরতকারী প্রথম দলটি মদিনা মুনাওয়ারায় পৌঁছেন মহররম মাসে। মুসলমানদের এ হিজরত ছিল রাসুলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লামের মদিনায় হিজরতের শুভ সূচনা।

তাছাড়া আরবি বর্ষ গণনায় বিভ্রান্ত লক্ষ্য করে স্বয়ং আল্লাহ্-এর সংশোধনের জন্য একটি আয়াত নাযিল করেন। আয়াতে হিজরি সনের ১ম মাস মহররম, সপ্তম মাস রজব, ১১তম মাস জ্বিলকদ আর ১২তম মাস জিলহজ বলে উল্লেখ আছে। যা ১০ হিজরিতে অবর্তীন হয়।

বাংলাদেশে হিজরি সনের প্রচলন:
নিত্যদিন আমরা যে সন, সাল, তারিখ শব্দগুলো  ব্যবহার করি এর মধ্যে সন ও তারিখ শব্দ দুটো আরবি এবং সাল শব্দটি ফারসি। ৬৩৮ খ্রিস্টাব্দে হজরত ওমর রাদিয়াল্লাহু আনহু কর্তৃক হিজরি সন প্রবর্তিত হওয়ার এক/দুই বছর পরই ৬৪০ খ্রিষ্টাব্দের দিকে আরব বণিকদের আগমনের মাধ্যমে ভারতীয় উপমহদেশে ইসলামের প্রচার-প্রসার ও হিজরি সনের প্রচলন শুরু হয়।পঞ্জিকার ব্যবহার রাজরাজড়া আর হাতেগোনা পন্ডিতদের মধ্যে যেখানে সীমিত ছিল, সেখানে হিজরী সন এসে এটা যারা এখানে ইসলাম গ্রহণ করলেন ইসলামের নানা ইবাদত-বন্দেগী এবং আচার-অনুষ্ঠানের কারণে তাদের মধ্যে সমানভাবে ব্যবহ্নত হতে লাগল।

পরবর্তীতে ৫৯৮ হিজরি মোতাবেক ১২০৯ খ্রিস্টাব্দে ইখতিয়ার উদ্দীন মুহাম্মদ বিন বখতিয়ার খিলজীর বঙ্গবিজয়ের মাধ্যমে বাংলার জমিনে মুসলিম শাসনের ইতিহাস সূচিত হয়। এর ফলে হিজরি সন রাষ্ট্রীয় মর্যাদা লাভের মাধ্যমে জাতীয় সন গণনায় পরিণত হয়। সন গণনায় ৫৫০ বছর রাষ্ট্রীয়ভাবে কার্যকর থাকার পর ১৭৫৭ খ্রিস্টাব্দের ২৩ জুন পলাশীর যুদ্ধের পরাজয়ের মধ্যমে হিজরি সনের রাষ্ট্রীয় মর্যাদার অবসান হয়।

হিজরী সনের রাষ্ট্রীয় মর্যাদা অবসান হলেও মুসলিম জীবনে এর ব্যবহার পবিত্রতার মহিমা নিয়ে অব্যাহতই থেকে যায়। একপর্যায়ে এই হিজরী সনের গণনা পদ্ধতিকে সৌর গণনায় আনা হয় ঋতুর সঙ্গে সম্পর্ক স্থির করার জন্য এবং তা করা হয় রাজস্ব আদায়ের সুবিধার্থে বাদশাহ্ আকবরের সময়। ১৫৫৬ খ্রিষ্টাব্দ মুতাবিক ৯৬৩ হিজরীতে মুঘল বাদশাহ্ আকবর তার পিতা বাদশাহ্ হুমায়ূনের ইন্তেকালে স্থলাভিষিক্ত হয়ে শাহী মসনদে অধিষ্ঠিত হন। তিনি বহু সংস্কারমূলক কাজের আঞ্জাম দেন। প্রজাসাধারণের আরজির পরিপ্রেক্ষিতে তিনি অনুধাবন করেন যে. হিজরী সন চান্দ্র সন হওয়ায় ঋতুর সঙ্গে এর মাসগুলোর সম্পর্ক না থাকায় কয়েক বছর পরপরই প্রজাসাধারণকে ধার্যকৃত হিজরী মাসগুলোর নির্দিষ্ট তারিখের মধ্যে খাজনা দেয়ার ক্ষেত্রে ক্ষতির শিকার হতে হচ্ছে।

পড়ুন> লেখকের সব লেখা

এই অসুবিধার একটা সঠিক সুরাহা করার লক্ষ্যে তিনি হিজরী সনের পবিত্রতা ও মর্যাদা অক্ষুন্ন রেখে একটি সৌর সন উদ্ভাবনের জন্য জ্যোতির্বিজ্ঞানী ও অঙ্কবিশারদ আমীর ফতেহুল্লাহ্ সিরাজীকে ১৫৮৪ খ্রিষ্টাব্দে নিয়োগদান করেন। আমীর সিরাজী তদানীন্তনকালে প্রচলিত সব বর্ষপঞ্জি পর্যালোচনা ও পরীক্ষা-নিরীক্ষা করে হিজরী সনের বর্ষকে অক্ষুন্ন রেখে বাদশাহ্ আকবরের মসনদে অধিষ্ঠানের বছর ৯৬৩ হিজরীকে ৩৫৪ দিনে গণনার স্থলে ৩৬৫ দিনে এনে একটি প্রস্তাবনা বাদশাহর দরবারে পেশ করেন ১৫৮৫ খ্রিষ্টাব্দে। ৯৬৩ হিজরী ঠিকই থাকে, শুধুমাত্র পরবর্তী বছর থেকে ৩৬৫ দিনে তা গণনায় আনায় ঋতুর সঙ্গে এর সম্পর্ক স্থিত হয়ে যায়।

১৫৮৫ খ্রিষ্টাব্দেই বাদশাহ্ আকবর হিজরী চান্দ্র সনের এই বিশেষ সৌর সনের গণনাকে অনুমোদনদান করেন এবং রাজত্বের সর্বত্র এক ফরমান জারির মাধ্যমে এই নতুন সন অনুযায়ী রাজস্ব আদায়ের ঘোষণা দেন। এই সন ইলাহী সন, ফসলি সন প্রভৃতি নামে শাহী দরবারে পরিচিত হলেও বাদশাহ্ কর্তৃক গঠিত সুবা বাঙ্গালা বা বাংলা প্রদেশে এসে এই সন বাংলা সন নামে ব্যাপকভাবে গৃহীত হয়।

বাংলা সাল যে হিজরী সালেই সৌররূপ সে সম্পর্কে ১৯৬৬ খ্রিষ্টাব্দে বাংলা একাডেমি কর্তৃক প্রাচ্যের শ্রেষ্ঠ ভাষাবিজ্ঞানী ডক্টর মুহাম্মদ শহীদুল্লাহকে সভাপতি করে গঠিত বাংলা পঞ্জিকা সংস্কার উপসংঘের সুপারিশমালার প্রারম্ভেই সুস্পষ্টভাবে উল্লেখ করা হয়েছে। এই কমিটির সুপারিশমালার প্রথম ধারাতেই বলা হয়েছে, ‘মুঘল আমলে বাদশাহ আকবরের সময় হিজরী সালের সঙ্গে সামঞ্জস্য রক্ষা করে যে বঙ্গাব্দ প্রচলন করা হয়েছিল তা থেকে বছর গণনা করতে হবে।’

হিজরী চান্দ্র সালকে সৌর সালের হিসাবে গণনায় এনে বাংলা সালের উদ্ভব হলেও এর প্রত্যেক মাসের যে বিভিন্ন তিথির যোগসূত্র রয়েছে তা চাঁদের সঙ্গে সম্পৃক্ত। চান্দ্র মাসের হিসাবে রয়েছে ৩০টি তিথি। এই তিথিগুলো দুই পক্ষে বিভক্ত আর তা হচ্ছে শুক্লপক্ষ ও কৃষ্ণপক্ষ। এই পক্ষগুলোতে রয়েছে অমাবস্যা, প্রতিপদ, দ্বিতীয়া, তৃতীয়া, চতুর্থী, পঞ্চমী, ষষ্ঠী, সপ্তমী, অষ্টমী, নবমী, দশমী, একাদশী, দ্বাদশী, এয়োদশী, চতুর্দশী। রয়েছে পূর্ণিমা-অমাবস্যার গাঢ় অন্ধকার দূর করে দিয়ে পশ্চিম দিগন্তে সাঁঝের বেলায় চিকন চাঁদ উঠে নতুন আলোর আগমনের বারতা ঘোষণা করে। তা দিনকে দিন মোটা হতে হতে গোলাকার আলোর আগমনের থালার রূপ নেয়, আসে পূর্ণিমা। বাংলা সনের মাস গণনা সৌর হিসাবে হলেও তার অবয়বজুড়ে চাঁদের যে সম্পর্ক এবং মাসগুলোর নামকরণে যে নক্ষত্ররাজির সম্পর্ক তা লক্ষণীয়।

মুসলিম উম্মাহর জন্য চন্দ্র মাসের হিসাব রাখা ফরজে কেফায়া। প্রিয়নবি সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম ও খোলাফায়ে রাশেদার সুন্নাত। যার অনুসরন, অনুকরণ করা মুসলিম উম্মাহর জন্য পূন্যময় ও কল্যাণকর আমল।

লেখক: :

কবি ও গবেষক

Some text

ক্যাটাগরি: ইতিহাস, ধর্ম

[sharethis-inline-buttons]

Leave a Reply

আমি প্রবাসী অ্যাপস দিয়ে ভ্যাকসিন…

লঞ্চে যৌন হয়রানি