ব্রাহ্মণবাড়িয়ার সরাইলে মেঘনা নদীর ভাঙনে আতঙ্কে শতাধিক পরিবার। উপজেলার পানিশ্বর ইউনিয়নের পালপাড়া, সাখাইতি ও লায়ারহাটি এলাকার ২ কিলোমিটার এলাকাজুড়ে মেঘনা নদীর ভাঙন অব্যাহত রয়েছে। নদী ভাঙন এলাকা ঘুরে দেখা যায়, পানিশ্বর ইউনিয়নের মেঘনা নদীর ভাঙনে ঘরবাড়ি, মসজিদ ও চাতালকলসহ বিভিন্ন স্থাপনা নদী গর্ভে বিলীন হয়ে যাচ্ছে। নদী ভাঙনে শত শত পরিবার আতঙ্কে দিনযাপন করছেন।
এ ব্যাপারে পানিশ্বর শাখাইতি এলাকার হাজী ছমির বাড়ির কুতুব উদ্দিন ভূঁইয়া বলেন, নদী ভাঙনে অত্র এলাকার ২০ থেকে ২৫টি চাতাল মিল নদী গর্ভে বিলীন হয়ে গেছে। একেকটি চাতাল মিলে কয়েক’শ শ্রমিক কাজ করতো। এখন তারা কর্মহীন হয়ে মানবেতর জীপন-যাপন করছে। শাখাইতি গ্রামের ওসমান গণি বলেন, আমি বাল্যকাল থেকে দেখেছি আমাদের বাড়ির ৩ শত মিটার পশ্চিমে মেঘনা নদী ছিল।
সময়ের আবর্তে এই ৩ শত মিটার নদী গর্ভে বিলীন হয়ে গেছে। এখন আমরা আতঙ্কে আছি। দ্রুত এখানে প্রতিরক্ষা বেড়ি বাঁধ না দিলে যে কোনো সময় আমাদের বাড়ি-ঘরও নদী গর্ভে বিলীন হয়ে যাবে। পানিশ্বর ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান মোঃ দ্বীন ইসলাম বলেন, গত ৪-৫ বছর ধরে মেঘনা নদীর ধারাবাহিক ভাঙনে ২৫ টি চাতাল মিলের ৬০ ভাগ নদীতে বিলীন হয়ে গেছে। নদী ভাঙনের ফলে ভিটিবাড়ি হারিয়ে এখানকার অগণিত পরিবার রাস্তায় মানবেতর জীবন-যাপন করছেন।
পালপাড়া এলাকা থেকে ২ কিলোমিটার এলাকাজুড়ে নদী ভাঙন অব্যাহত রয়েছে। তিনি আরো বলেন নদী ভাঙন ঠেকাতে স্থায়ী প্রতিরোধ ব্যবস্থা গ্রহন করা না হলে এক সময় পুরো পানিশ্বর এলাকা নদী গর্ভে বিলীন হয়ে যাবে। মেঘনা নদীর ভাঙন ঠেকাতে স্থায়ী বেড়ি বাঁধ নির্মাণ করার জন্য পানিশ্বর এলাকাবাসী দাবি জানিয়েছেন।
Some text
ক্যাটাগরি: মতামত
[sharethis-inline-buttons]