তিনি সবার উদ্দেশ্যে বলেন ,সামাজিক দ্বায়বদ্ধতা বজায় রেখে কিছু বলতে এসেছেন ফেসবুকে! সময় নিয়ে পোষ্টটি পড়ে সঠিক মন্তব্য করবার জন্য অনুরোধ করেন সকলের কাছে। বর্তমান আলোচিত একটি কথা যা আমরা সব সময় এখন ব্যবহার করি মুখে মুখে সেটি হল রোহিঙ্গা ।
রোহিঙ্গা বলতে যা বুঝি সেটা আমরা অনেকেই জানি যেমন গ্রামের ভাষায় আমরা যা বলি দয়ায় আপদ বাড়ে। সামাজিক রাজনৈতিক ধর্মীয় সত্য, ন্যায়, মিথ্যা, ব্যবসা, খেলাধুলা সম্মান অতিরিক্ত তোষামোদি, হালাল-হারাম এগুলো দৈনন্দিন জীবনে আমরা ব্যবহার করি সময় সাপেক্ষে।
যখন যেটা প্রয়োজন হয় ! এগুলা তখনি ভাল হয়ে উঠে যখন সঠিক সময়ে সঠিক যায়গায় ব্যবহার করা হয় ! এগুলো আমাদের জীবনের সাথে ওতোপ্রতোভাবে মিশে আছে।
আমরা সমাজের মানুষ গুলা যেন কেমন হয়ে যাচ্ছি দিনে দিনে, কি করছি কি করা উচিৎ, কার জন্য করছি কার জন্য করা উচিৎ, কাকে সম্মান করা দরকার কাকে সহযোগীতা করা দরকার সেটা আর আমরা বিচার বিবেচনা এখন আর তেমনটা করি না।
একটা সময় ছিল কয়েকটা গ্রাম মিলিয়ে গুটি কয়েকজন লোক সমাজ পরিচালনা করতো সেই সময়টা মনে হয় ভালো ছিল আর এখন ঘরে ঘরে পরিচালনার লোক রয়েছে এর পর ও যেন শান্তি ভালবাসা সম্মান আদব একতা,সততা, মানবতা এগুলো যেন বিলীন হয়ে যাচ্ছে দিনকে দিন।আসলে এর কারন কি?
তবে কি আমরা ধরে নিবো তাদের কাজের ধারা আমরা কোনো কিছু আসা করিনা। কিংবা যারা এ পর্যায়ে আসতে চায় এরা ঐ পর্যায়ের লোক আদৌ কি হতে পেরেছে এর ব্যখ্যা কি? আসলে অতীত আর বর্তমান হয়তো আমরা অনেকেই ভুলেও মনে করতে চাইনা।
আমি কে? আমার স্থান কোথায় থাকার কথা? আমরা কোথায় নিতে চাই? আদৌ কি সমাজের লোক মেনে নিবে সেটা কি ভাবা উচিৎ নয় এখন আমাদের সকলের?
উদাহরণ দিয়ে তিনি বলেন: “একটি তরকারির মধ্যে অনেক প্রকার মসলা মেশানো হয়,যা একেকটির স্বাদ আলাদা আলাদা। পরবর্তীতে রান্না শেষে যখন আমরা খাবার পরিবেশন করি ঠিক তখনি এর স্বাদ গ্রহন করার পর বুঝতে পারি যে,কোনটিতে কোন মসলার স্বাদ কম হইছে। যা খালি চোখে দেখা সম্ভব নহে। সেটা বুঝতে হলে জিহ্বা কিংবা ডিমাঘ দিয়ে বুঝে নিতে হবে অন্যতায় নয়”
এর পর তিনি বলেন,এখন আসল কথা একটু বলা উচিত। বর্তমান সম্পর্কে, এক জরিপে সবাই জানে ও আমরা শুনতে পাই এবং আমাদের বলেও দোষারোপ করে আমাদের সমাজ সেবায় কিছু লোক যারা আমাদের আশপাশে বিভিন্ন সময় বিভিন্ন ভাবে নিজেকে সমাজের কিছু কিছু কাজ করলে যেটা সমাজের মানুষ বাহ!বাহ! দিবে কিংবা সমাজ সেবক হিসেবে পরিচয় দিয়ে আখ্যায়িত করবে, সমাজে পরিচিতি অর্জন করা যাবে। সেই সব লোক কেনো আমাদের সাথে রাখি? সবার কাছে জবাব চাইলে একটি উত্তর মিলে আর সেটা হল রোহিঙ্গা।
এক কথায় সবাই এভাবেই বলে সমাজিক কাজ করা সেটা ভালো কথা। তবে সেটা নিরপেক্ষ হতে হবে নিজের স্বার্থ কে জলাঞ্জলী দিয়ে।
সেটা না করে মানুষ সেবার নামে বড় বড় অনুষ্টান করে অর্থ বিত্ত শালি অযোগ্য বিতর্কিত লোকদের কাছ থেকে টাকা নিয়ে প্রধান অতিথি, বিশেষ অতিথি করে দামি দামি সম্মাননা স্বারক প্রদান করে নিজেরাই ভূষিত করেন, সমাজ সেবক দানবীর ব্যক্তি অথচ এদের খোঁজ নিলে দেখা যাবে এরা আসলেই পাশের ঘরের অসহায় লোকদের না খেয়ে থাকার খবরটাও ঠিক মত জানেনা।
আমাদের সমাজে অনেকেরই টাকা পয়সা অর্থ-বৃত্ত আছে
তবে যেটা নেই সেটা হল সম্মান। আর এদেরকেই এই সব লোক মুখে মাখা মধু , বচন বঙ্গি , ধর্মীয় লেবাস, কথার যাদুর চন্দ্র দিয়ে নিজেরাই যেমন পরিচিত হচ্ছেন সমাজ সেবক হিসেবে তেমনি সম্মানহীন লোকদের কে নিজেরাই সমাজে সম্মান প্রদান করছেন। মূলত ক্রেস্ট প্রদান করা হচ্ছে তাদের একটি ব্যবসা ও পূজি। যেহেতু আমি একটি পরিষদের সম্পাদক সেই দায়বার থেকে প্রতিবাদ করলে কোনো প্রতিকার মিলেনি। তাহারা যে শুনতেই হবে সেটা বাধ্যতামূলক নয়। সেটা শুধুমাত্র তার নীতি নৈতিকতার উপর নির্ভর করে।
মূলত এরকম অনুষ্টানে যে টাকা ব্যয় হয় তার দ্বারা অনেক অসহায় লোক তাদের জীবন যাত্রার পথে অনেকটাই ভাল হতো।
আবার অনেক আছেন দেশে একেকটা ইস্যু নিয়ে একেক সময় রাস্তায় মানববন্ধনের মাধ্যমে রাজনৈতিক ফায়দা হাসিল করেন,যা রাজনৈতিক ব্যানারে আসা সম্ভব নয়। আসলেই কি এগুলা নীতির পরিপন্তি নয়? একজন মানুষ কিংবা এক গ্রামের এক লোক অপরাধ করলে আমরা তার পরিবার কিংবা তার গ্রামের নাম ধরে গালাগাল করি এটাই আমাদের স্বভাব, ব্যক্তিকে নয়।
মৌলভীবাজার শহরে এসে অনেকেই পরিচয় গোপন রেখে শুধু মাত্র নিজের স্বার্থের জন্য সামাজিক ,মানবিক এবং ধর্মীয় কাজে তাদেরকে নিয়োজিত করে এ জেলার সহজ সরল মানুষের পকেট মেরে মাস্তিতে দিন পার করছে ।
ভালো কাজ সকলে করতে হবে সেটা সকল ধর্মে নির্দেশ দিয়েছে। তবে সততা নীতি নৈতিকতা আদর্শ সঠিক যায়গায় রেখে। আসলে তারা ধর্মীয় পোষাক পরে ধর্ম ব্যবসা এবং সামাজিক কাজের নামে সমাজের জীবিত এবং মৃত মানুষদেরকে নিয়ে অভিনব কায়দায় ব্যবসা চালিয়ে নিজেদের স্বার্থ পূর্ণ করছে। এদের থেকে আমাদের সমাজকে নিরাপদ রাখতে হবে সেটা যেভাবেই সম্ভব।
অথচ একটি বারের জন্যও ভাবছে না এই শহর ও সমাজের মানুষ গুলোর সাথে কেনো এই ফন্দি ফিকির করছে এরা তো এমনিতেই উদার মনের মানুষ ।
সব রোহিঙ্গা মানেই মীর জাফর সেটা নয়,তবে কিছু কিছু রোহিঙ্গাদের কাছ থেকে আমাদের সমাজ ও শহর নিরাপদ থাকতে এবং রাখতে হবে। তাই তাদের তৈলযুক্ত কথার মালিশ থেকে সমাজের প্রতিনিধি সুশীল ও যুব সমাজ এবং সামাজিক কর্মকান্ডের সাথে জড়িত এদের কাছ থেকে সকলকে সচেতন থাকার আহবান জানিয়েছেন সর্বস্তরের জনসাধারন জনগণ কেও।
তিনি আরও বলেন ,তিনি একজন সমাজ সেবক , সাংস্কৃতিক ব্যক্তি, ক্রিড়াবীদ, মানবাধিকার কর্মী,রাজনৈতিকবীদ শ্রমিক নেতা হিসেবে জীবনে দীর্ঘ ২০ বছর ধরে কাজ করে আসছেন বিভিন্ন যায়গায়,ভিন্ন ভিন্ন সময়ে, যেই যায়গায় যে সময়ে কাজ করেছেন সেই যায়গায় সততা নিষ্ঠার সাথে আদর্শ কে বজায় রেখে মানুষের কল্যানকর কাজ করার ক্ষুদ্র চেষ্টা করেছেন মাত্র।
অন্যায়ের প্রতিবাদ করে এসেছেন কঠোর ভাষায় সেটা রাজনৈতিক নেতা সামাজিক ব্যক্তি পাশের ছোট বড় বন্ধু-বান্ধব, আপন-পর সকলের বেলায়। কে ভালবাসলো কে ঘৃণা করলো সেটা নিয়ে কখন আপসোস করেন নাই বরং ভালো যা কিছু করেন সেটা তার রাতের নিদ্রায় প্রশান্তি ফিরিয়ে আনার জন্য, মানুষ দেখানোর জন্য নহে।
অনেক সময় জীবন বাজি রেখেও সত্যের পক্ষে উপকার করতে গিয়ে নিজেকে বিলিয়ে দিয়েছেন। মানুষের ক্ষতি হয় এমন কাজ নিজের অজান্তে হয়ত হতে পারে,তবে জানা স্বত্বে নয়। ভুল হয়না শয়তানের এর কারণ সে ক্ষতি করার জন্যই পৃথিবীতে এসেছে।
তাই মানুষ হিসেবে চলতে ফিরতে ভুল হবে সেটা অবাস্তব কিছু নয়,কারন- তিনি মানুষ। তিনি বলেন তার ভুল হবে অনেক যায়গায় অনেক সময়, কাজ করেছেন পক্ষ বিপক্ষের লোক অবশ্যই থাকবে সেটা স্বাভাবিক। কাজের মধ্যে ভুল হলে সেটা একজন মানুষ কিংবা ভাই বন্ধু সহপাঠি হিসেবে ধরিয়ে দিবেন এই প্রত্যাশা করছেন সকলের কাছে। সেটা ফোন কলে কিংবা পার্সনাল মেসেঞ্জারে যেনো ভুলটা সঠিক করার জন্য তিনি সকলের কথায় মানসিকভাবে আরোও বেশী প্রস্তুত হতে পারেন।
বি:দ্র: তিনি আরও বলেন এই পোষ্ট ফেইসবুকে প্রকাশ হবার পর যে এর বিরূপ প্রতিক্রিয়া ব্যক্ত করবে, সামাজিক যোগাযোগের মাধ্যমে আপনারা ধরে নিবেন এই সকল লোক আমাদের সমাজের আবর্জনা, কারণ উনার এই লেখনী কারও নাম উল্লেখ্য করেননি সেটা ভালো ভাবে সকলে পরলেই বুঝবেন।
যারা সমাজে ভালোর সাইন লাগিয়ে সমাজকে ধোকা দিচ্ছে কেবল মাত্র এই পোস্টে তাদেরই এলার্জির ভাব আসবে বিষক্রিয়া হয়ে বের হবে তাদের মন্তব্যে।
একজন সাধারণ সমাজ কর্মি হিসেবে বর্তমানে অরাজনৈতিক চিন্তা চেতনা বুকে লালন করে চলার চেষ্টা করেন শুধু মাত্র ।
তিনি বর্তমানে যেসকল দায়িত্বে নিয়োজিত আছেন ,
আন্তর্জাতিক সংস্থা ( আসক) ফাউন্ডেশন মৌলভীবাজারের সভাপতি ,মাদক বিরোধী সংগঠন জেলা যুব কল্যান সংস্থা,মৌলভীবাজারের সভাপতি,সাধারন সম্পাদক ,সম্মিলিত সামাজিক উন্নয়ন পরিষদ, মৌলভীবাজার ও সাধারন সম্পাদক ,সি এন জি শ্রমিক ইউনিয়ন (রেজি নং মৌল-০০৪)
তিনি একজন রাজনৈতিক ব্যক্তি হিসেবে সমাজে তার একটি অবস্থান ছিল। বর্তমানে রাজনৈতিক থেকে সামাজিক কর্মকান্ডে বেশিরভাগ সময়ই প্রাধান্য দিচ্ছেন। ২০০৯-১০-১১-১২ সালে দাপটের সহিত কাবাডী খেলোয়ার হিসেবে বৃহৎ সিলেট প্রথম সারিতে খেলা করে এসেছেন।
একের পর আরেক চ্যাম্পিয়ানশিপ অর্জন করেছেন। মৌলভীবাজার জেলার পক্ষে সিলেট, হবিগঞ্জ, সোনামগঞ্জকে হারিয়েছেন বার বার এবং কুমিল্লা ও ঢাকায় অংশগ্রহণ করেছেন অনেকবার।
মৌলভীবাজারে সেই সময়ে তার একটি ক্লাব ছিল ( হালিম কাবাডি দল)। যার খেলা দেখতে হাজার হাজার দর্শক উপস্থিত হতো হারলেও যেভাবে তিনি খেলা করতেন জিতলেও সেভাবে খেলা করতেন এজন্য তাকে দর্শক তাকে অনেক ভালবাসতো । সাংস্কৃতিক অঙ্গনেও তার কয়েকটি গান রেকর্ড হয়েছে।