পত্রিকা এবং অনলাইন নিউজ পোর্টালে লেখা লেখি করতে করতে আটটা বছর কেটে গেল। সবই সাধারণ, তবে এ জগতের ‘মানুষরা জটিল’। তবু লিখছি, হয়তো আর লিখবো না এমন সিদ্ধান্ত নিয়ে ফেলি কিন্তু অপর দিক থেকে আবার কেউ না কেউ সুড় সুড়ি দেয়, যে যাই বলুক না কেন- কখনো লেখা লেখিটা ছাড়বেন না। তবুও বলি- এরই মধ্যে কিছু কিছু অপূর্ণতা আমাকে জেকে বসেছে।
যখন লিখতে বসি,- ঠিক তখন কতো কিছুই তো লিখতে ইচ্ছে করে কিন্তু সব কিছুই কি আর লিখা যায়! সারা জীবনের বৈচিত্রময় গল্প, সেখানে কখনো ছন্দের মিল থাকে, আবার কখনো যেন থাকেও না। আমার নিজের জানতে ইচ্ছে করে,- মানুষের কেমন করে জীবন কাটে, অন্য মানুষের জীবনের দিন-রাতটাই বা কেমন। ভালো-মন্দ, হাসি-কান্না মিলিয়ে চলার পথটা কি মসৃণ, না অমসৃণ। এ সব কি জানার ইচ্ছা আপনার কখনোই হয় না?
আমার ভাবনার জগতেই বহু বার বাঁধা হয়ে দাঁড়িয়েছে ‘অসাধু কিছু মানুষ’, তারা এইগুলো চান না। আত্মকথা বলার কি আছে? অন্যকিছু নিয়ে আসেন। আত্মকথাগুলি নাকি তাদের কাছে প্যাঁচাল। ভুলে গেলে চলবে না, ”জীবন” দিয়েই কিছু। জীবন ছাড়া অন্য কিছু কি আসে। আপনার আমার এ সময়টা ছুটে চলে আপন গতিতে। ঝর্ণা যেমন চলার পথে কোথাও আঘাত কিংবা বাঁধা পেয়ে তৈরী করে ‘সরোবর’। আবার কোথাও গহীন অরণ্যের সৃষ্টি করে গড়ে তোলে ”গভীর খাঁদ”। মানুষরাও তেমনি সময়ের সঙ্গে পাল্লা দিয়ে ছুটে চলার পথে জেনে না জেনে বা বুঝে না বুঝে তৈরী করে কতো- “গৌরবময় সৃষ্টি”, আবার কখনো কখনো কুৎসিত কদাকার বীভৎস রূপের মাঝেই হাবু ডুবু খায়। এ সব জানার কি কোনোই দরকার নেই। কিভাবেই চিনবেন আপনার সঠিক পথ বা ভালো-মন্দ।
আত্মকথার জীবনী লেখাটার বড় সমস্যা হলো, ইতিহাস আর গল্পের জগাখিচুড়ি পাকানোই বড় সমস্যা। সব কথা বলার মতো হবে না। কিছু থাকবে লুকিয়ে রাখার মতো, আর কিছুতে হয়তো বা চড়াতেই হবে- একটুখানি “রঙ”। বেছে বেছে কিছু টুকরা কাহিনী। কিছু থাকবে আভাসে, কিছুবা থাকবে আবরণের বাইরে খোলামেলা। জীবনের কিছু যায় সদরে, আর কিছু থেকে যায় অন্দরে। এভাবে হয়েছে গুণীজনের সাহিত্য।
যাক! মাঝে মাঝে অভিমান হয় আর কখনোই লিখবো না, অনেক অসচেতন কিংবা হিংসুটে মানুষদেরকে ফেসবুক আইডি থেকে আনফ্রেড করে শান্তিতেই থাকতে চাইছি, আবার তা করেছি! কিন্তু সচেতন কিছু মানুষ কিংবা ভালো মানুষ আবারও ফিরে আনে। আবারও ভাবছি কিছু প্রেম ভালবাসা, বেশ কিছু স্মৃতিময় ঘটনা ও কিছু দুঃখ কষ্ট যা মানুষের সবসময়েই মনে থাকবে। এসব কিছুকথা নিতান্তই যেন সহজ সরল ভাবেই লিখবো। তা যদি হয়েই যায়- একটা ধারাবাহিক রচনা, যাক না! সাহিত্যগুণ তাতে ইনশাআল্লাহ রাখবো।
থাকবে ছোট প্রাণ ছোট ব্যথা বা ছোট ছোট দুঃখ কথা। সেইখানে জীবনের সব কিছুতেই থাকবে স্বাভাবিকতার নান্দনিক ছোঁয়া। তাছাড়াও তাতেই থাকবে হাসি-কান্না, আনন্দ-বেদনা, গান, কবিতা বা স্মৃতি। পরিশেষে আরো বলতে চাই, নিজের পৃথিবী, নিজের ইচ্ছা, নিজের লক্ষ্য ঠিক রেখেই চলতে হবে’, কাউকে আঘাত বা হিংসা করা সঠিক কাজ নয়। নিজের সিদ্ধান্তে কিংবা কর্মে বার বার হোঁচট খাওয়া ভালো। তবুও সঠিক মানুষের সঠিক কর্মগুলোকে প্রসংশা না করি, নিন্দা যেন না করি। ধন্যবাদ।
লেখক: নজরুল ইসলাম তোফা
শিক্ষক, লেখক ও সমাজকর্মী
Some text
ক্যাটাগরি: আত্মজীবনী, নাগরিক সাংবাদিকতা, মতামত
[sharethis-inline-buttons]